শুক্রবার | ৯ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৫:৩২
Logo
এই মুহূর্তে ::
রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজী ও শান্তিনিকেতন : প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বাঙালী রবীন্দ্রনাথ : সৈয়দ মুজতবা আলী অনেক দূর পর্যন্ত ভেবেছিলেন আমাদের ঠাকুর : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথের প্রথম ইংরেজি জীবনী : সুব্রত কুমার দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (প্রথম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস শুক্লাম্বর দিঘী, বিশ্বাস করে দিঘীর কাছে কিছু চাইলে পাওয়া যায় : মুন দাশ মোহিনী একাদশীর ব্রতকথা ও মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত নিজের আংশিক বর্ণান্ধতা নিয়ে কবিগুরুর স্বীকারোক্তি : অসিত দাস ঝকঝকে ও মজবুত দাঁতের জন্য ভিটামিন : ডাঃ পিয়ালী চ্যাটার্জী (ব্যানার্জী) সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা : লুৎফর রহমান রিটন সংস্কৃতি জগতের এক নক্ষত্রের নাম বসন্ত চৌধুরী : রিঙ্কি সামন্ত আংশিক বর্ণান্ধতাজনিত হীনম্মন্যতাই রবীন্দ্রনাথের স্কুল ছাড়ার কারণ : অসিত দাস পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ কি অবশ্যম্ভাবী : তপন মল্লিক চৌধুরী সাত্যকি হালদার-এর ছোটগল্প ‘ডেলিভারি বয়’ নব নব রূপে এস প্রাণে : মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য ভারতের সংবিধান লেখার সেই ঝর্না কলমটা… : দিলীপ মজুমদার গীতা রাজনৈতিক অস্ত্র নয়, ভারতাত্মার মর্মকথা : সন্দীপন বিশ্বাস সিন্ধুসভ্যতা ও সুমেরীয় সভ্যতায় কস্তুরীর ভূমিকা : অসিত দাস রবি ঠাকুর ও তাঁর জ্যোতিদাদা : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী তরল সোনা খ্যাত আগর-আতর অগুরু : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সাদা-কালো রীল’ গঙ্গার জন্য লড়াই, স্বার্থান্বেষীদের ক্রোধের শিকার সাধুরা : দিলীপ মজুমদার সিন্ধুসভ্যতার প্রধান মহার্ঘ রপ্তানিদ্রব্য কস্তুরী : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি রোহিঙ্গা সংকট ও মানবিক করিডোর : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন রামকৃষ্ণ মিশন মানে ধর্মকর্ম নয়, কর্মই যাঁদের ধর্ম তাঁরাই যোগ্য : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে সিংহবাহিনী মন্দির, নবগ্রাম (ঘাটাল) : কমল ব্যানার্জী পরিবেশ মেলা ২০২৫ : ড. দীপাঞ্জন দে মন্দির-রাজনীতি মন্দির-অর্থনীতি : দিলীপ মজুমদার স্বাধীনতা-সংগ্রামী মোহনকালী বিশ্বাস স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে অক্ষয়তৃতীয়া, নাকি দিদিতৃতীয়া : অসিত দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ট্রেড এন্ড কমার্সিয়াল অর্গানিজেশন ইন বেঙ্গল : সুশীল চৌধুরী (৪৮ নং কিস্তি), অনুবাদ : বিশ্বেন্দু নন্দ

বিশ্বেন্দু নন্দ / ৩৪১ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ২০ মে, ২০২৩

ট্রেড এন্ড কমার্সিয়াল অর্গানিজেশন ইন বেঙ্গল ১৬৫০-১৭২০, উইথ স্পেশাল রেফারেন্স টু দ্য ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি

ষষ্ঠ অধ্যায়

চিনি, সুতো এবং অন্যান্য রপ্তানি পণ্য

চিনি

১৬৫০-এর পর থেকে ব্রিটিশ ইট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার চিনি খুব কম পরিমানে ইংলন্ডে রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয়। ব্রিটিশ বাজারে যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ব্রাজিলিয় চিনির দখল ছিল তাই ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার চিনি খুব বেশি লন্ডনে রপ্তানি করে নি। কিন্তু কোম্পানির আন্তঃএশিয় বাণিজ্যে বেশ কয়েক বছর বাংলার চিনি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ছিল, বিশেষ করে সুরাট এবং পারস্যের বাজারে। কিন্তু এখানেও সপ্তদশ শতকে খুব তাড়াতাড়ি ব্রিটিশ, ডাচ কোম্পানির রপ্তানি করা জাভা চিনির আধিপত্য বাজার থেকে বার করে দেয় (কে গ্লানম্যান, ডাচ এশিয়াটিক ট্রেড, ১৫২)। যদিও চিনি ছিল পরম্পরার জাহাজের খোল ভরার পণ্য — ব্লাস্ট, কিন্তু ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলা বাণিজ্যের কুঠিয়ালেরা তাদের রপ্তানি বাণিজ্যে চিনির বদলে সোরাকে সেই কাজে ব্যবহার করেছে।

বাংলার চিনির প্রতি কোম্পানির আগ্রহ তৈরি হয়, কোম্পানির কর্তাদের বাংলায় আসার পর থেকেই। ১৬৩৪ সালে ব্রিটিশ কুঠিয়ালেরা লন্ডনের কর্তাদের জানিয়েছিল, বাংলার চিনির দাম ব্রিটিশ পাউণ্ডের আড়াই পেন্স (ওসি, ৫ অক্টোবর, ১৬৩৪, ১৫৩৬, ১৫ খণ্ড)। ১৬৪৯ ব্রিটিশ কুঠিয়াল সোয়ালি মেরিন বলেন প্রয়োজন হলে প্রচুর পরিমানে চিনি তারা আগরা বা তার আশেপাশে থেকেই কিনতে পারেন, শুধু চিনি কেনার জন্যে সুদূর বাংলায় যাবার দরকার নেই, কিন্তু কোম্পানির বাংলা কর্তারা মনে করে দিচ্ছিলেন বাংলার চিনির গুণমান দক্ষিণ এশিয়ার যে কোনও জায়গার চিনির থেকে অনেক ভাল এবং শস্তাও (ওসি, ৩১ জানু, ১৬৪৯, ২১১৩, ২১ খণ্ড; ইএফআই, ১৬৪৬-৫, ২৫৫)। একই বছরে এই কুঠিয়াল সোয়ালি মেরিনই লন্ডনের কর্তাদের জানাল বাংলার চিনি শস্তা এবং ভাল, তাই (অন্য) কোনও চিনি কেনা হয় নি (ওসি, ৫ এপ্রিল, ১৬৪৯, ২১২১, ২১ খণ্ড; ইএফআই, ১৬৪৬-৫৪, ২৫৮)। ১৬৫০-এর ডিসেম্বরে কোম্পানিতে জেমস ব্রিজম্যান চিঠি লিখে জানান যে ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে বাংলায় বিপুল পরিমানে চিনি পাওয়া যায়, যার প্রতি বেল সাড়ে সাত থেকে আট টাকা এবং জাহাজ ছাড়ার সময় দাম ৫০% বেড়ে দাঁড়ায় ১১-১২টাকায় (ওসি, ১৬ ডিসে, ১৬৫০, ২১৮৮, ২২ খণ্ড; ইএফআই, ১৬৫১-৫৪, ৩৩৭-৩৮)। ১৬৫১তে বে অঞ্চলের কুঠিয়ালেরা বাংলাকে জানায় তারা যেন মোট বিনিয়োগের একের আট শতাংশ চিনি ব্যবসায় বিনিয়োগ করে (ওসি, ১৯ ফেবরুয়ারি ১৬৫১, ২২০৮, ২২ খণ্ড; ইএফআই, ১৬৫১-৫৪, ৪৫)। কিন্তু তথ্যের অভাবে আমরা আজ আর বলতে পারি না পঞ্চাশের দশক থেকে সপ্তদশ শতক পর্যন্ত কোম্পানি চিনি ব্যবসায় কত পরিমান ইওরোপে রপ্তানি করেছিল।

১৬৫৭তে ৩০০ টন বাংলার চিনি সংগ্রহ করেছিল ব্রিটিশেরা (ডিবি, ৩১ ডিসে, ১৬৫৭, ৮৪ খণ্ড, ৩৮৮)। পরের বছর বাংলা চিনির চাহিদা অল্প বাড়ে। ১৬৫৯ সালে লন্ডনের কর্তারা ৭০০ টন সাদাতম শুকনোতম চিনির বরাত দেন (ডিবি, ২৮ জানুয়ারি, ১৬৫৯, ৮৪ খণ্ড, ৪১২)। কিন্তু বাংলা চিনির ব্রিটিশ চাহিদা খুবই কম সময়ের জন্যে টিকল। ১৬৬০-এর ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনের কর্তারা চাহিদা ৪০০-৫০০ টনে নামিয়ে আনে এবং এর দাম বলা হল ১০-১২ পাউণ্ড প্রতি টন। এই দামে যদি পাওয়া যায় তবেই কোম্পানি এটা কিনবে। চাহিদা কমিয়ে দেওয়ার কারণ স্পষ্ট। ইংলন্ডে চিনির সরবরাহ বিপুল, বিভিন্ন দেশের বাগিচা থেকে যত শস্তার চিনি আসছে সেগুলি দেশের বাজার ছেয়ে ফেলছে। ফলে তাদের পক্ষে বাংলার দামি চিনি তাদের দেশে বিক্রি করা খুব কঠিন কাজ হয়ে উঠছিল (ডিবি, ২২ ফেব, ১৬৬০, ৮৫ খণ্ড, ২৮৪)। ১৬৬০-এর সেপ্টেম্বরে কর্তাদের থেকে এরকম হতাশাব্যাঞ্জক আদেশ আসছে বাংলায়। কুঠিয়ালদের ইংলন্ড বা পারস্যের বাজারে বিক্রির জন্যে বাংলার চিনিতে বিনিয়োগ করতে বারণ করে কারণ বাজারে চিনির দাম এতই কমে গিয়েছে যে সেই বিনিয়োগ থেকে লাভ তোলা খুব কঠিন (ডিবি, ১৪ সেপ্ট, ১৬৬০, ৮৫ খণ্ড,  ৩৩৫; ৮ জানু, ১৬৬১, ৮৫ খণ্ড, ৩৬৭)। আমাদের মনে হয় এর পর থেকে ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলার চিনিতে আর বিনিয়োগ করে নি। শুধু ১৬৫৮/৫৯ সালে উল্লেখ পাচ্ছি বালেশ্বর থেকে ইওরোপের দিকে ছেড়ে যাওয়া লাভ আর ব্ল্যাকমোর নামক দুই জাহাজে ৩৫৯৩ পরিমান অর্থাৎ ৭৬৩২.৫ মণ বা ৫,৭২,৪৪০ পাউণ্ড চিনি রপ্তানি হিওয় আর মূল্য ছিল ৩৩,১৬৩ টাকা বা ৪১৪৫ পাউণ্ড (রাওল, সি-৩৯৫, ১৭, ২৫এ)। (চলবে)


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন