শনিবার | ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:০৬
Logo
এই মুহূর্তে ::
যুদ্ধ দারিদ্র কিংবা বেকারত্বের বিরুদ্ধে নয় তাই অশ্লীল উন্মত্ত উল্লাস : তপন মল্লিক চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ, পঁচিশে বৈশাখ ও জয়ঢাক : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজী ও শান্তিনিকেতন : প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বাঙালী রবীন্দ্রনাথ : সৈয়দ মুজতবা আলী অনেক দূর পর্যন্ত ভেবেছিলেন আমাদের ঠাকুর : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথের প্রথম ইংরেজি জীবনী : সুব্রত কুমার দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (প্রথম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস শুক্লাম্বর দিঘী, বিশ্বাস করে দিঘীর কাছে কিছু চাইলে পাওয়া যায় : মুন দাশ মোহিনী একাদশীর ব্রতকথা ও মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত নিজের আংশিক বর্ণান্ধতা নিয়ে কবিগুরুর স্বীকারোক্তি : অসিত দাস ঝকঝকে ও মজবুত দাঁতের জন্য ভিটামিন : ডাঃ পিয়ালী চ্যাটার্জী (ব্যানার্জী) সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা : লুৎফর রহমান রিটন সংস্কৃতি জগতের এক নক্ষত্রের নাম বসন্ত চৌধুরী : রিঙ্কি সামন্ত আংশিক বর্ণান্ধতাজনিত হীনম্মন্যতাই রবীন্দ্রনাথের স্কুল ছাড়ার কারণ : অসিত দাস পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ কি অবশ্যম্ভাবী : তপন মল্লিক চৌধুরী সাত্যকি হালদার-এর ছোটগল্প ‘ডেলিভারি বয়’ নব নব রূপে এস প্রাণে : মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য ভারতের সংবিধান লেখার সেই ঝর্না কলমটা… : দিলীপ মজুমদার গীতা রাজনৈতিক অস্ত্র নয়, ভারতাত্মার মর্মকথা : সন্দীপন বিশ্বাস সিন্ধুসভ্যতা ও সুমেরীয় সভ্যতায় কস্তুরীর ভূমিকা : অসিত দাস রবি ঠাকুর ও তাঁর জ্যোতিদাদা : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী তরল সোনা খ্যাত আগর-আতর অগুরু : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সাদা-কালো রীল’ গঙ্গার জন্য লড়াই, স্বার্থান্বেষীদের ক্রোধের শিকার সাধুরা : দিলীপ মজুমদার সিন্ধুসভ্যতার প্রধান মহার্ঘ রপ্তানিদ্রব্য কস্তুরী : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি রোহিঙ্গা সংকট ও মানবিক করিডোর : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন রামকৃষ্ণ মিশন মানে ধর্মকর্ম নয়, কর্মই যাঁদের ধর্ম তাঁরাই যোগ্য : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে সিংহবাহিনী মন্দির, নবগ্রাম (ঘাটাল) : কমল ব্যানার্জী পরিবেশ মেলা ২০২৫ : ড. দীপাঞ্জন দে মন্দির-রাজনীতি মন্দির-অর্থনীতি : দিলীপ মজুমদার
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

খেজুর গাছের সংখ্যা কমছে, গাছিরা চিন্তায়, আসল সুস্বাদু খেজুরগুড় ও রস বাজারে কমছে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ৩০৯ জন পড়েছেন
আপডেট শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

শীতের কাঁপুনি শুরু। বাঙালির ঘরে পিঠে পুলির প্রস্তুতি। টাটকা ঝোলা খেজুরগুড়ের সঙ্গে পিঠে পুলি ও পায়েসের স্বাদই আলাদা। কিন্তু বাজারে আসল সুস্বাদু খেজুরগুড় মেলা ভার। এর আসল কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল বিগত কয়েক বছরে ক্রমবর্ধমান বাড়ি-ঘর নির্মাণ আর নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে ক্রমেই খেজুর গাছের সংখ্যা কমে গিয়েছে।এ চিত্র রাজ্যের সর্বত্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলি, হাওড়া বর্ধমান ইত্যাদি জেলায় খেজুর গাছ নিধন পর্ব শুরু হয়েছে। ফলে খেজুর রসের অভাব দেখা দিয়েছে। রুটি রোজগারের সমস্যায় পড়েছেন গাছিরা। আর সুস্বাদু খেজুরগুড় ও রস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোজনরসিক বাঙালিরা। হরেক রকমের পিঠে-পুলি খাওয়ার ধূম এখন আর নেই। গত কয়েক বছর আগেও শীতকালে বিভিন্ন এলাকায় ‘গাছি’রা খেজুর গাছের রস সংগ্রহে খুবই ব্যস্ত থাকতেন। তাঁরা খেজুরের রস ও পাটালি গুড় বিক্রি করে আয় করতেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে গত কয়েক বছর ধরে তা ক্রমশ বিলুপ্ত হতে বসেছে।

খেজুর রস দিয়ে শীত মরসুমে পিঠে ও পায়েস তৈরির প্রচলন থাকলেও শীতকালীন খেজুর গাছের রস এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। আগের তুলনায় খেজুর গাছ কমে গিয়েছে। যা আছে তাও সঠিকভাবে পরিচর্যা না করা, নতুন করে গাছের চারা রোপণ না করা এবং গাছ কাটার পদ্ধতিগত ভুলের কারণে প্রতি বছর অসংখ্য খেজুর গাছ মারা যাচ্ছে। উল্লেখ্য ,এছাড়া এক শ্রেণির অসাধু ইটভাটা ব্যবসায়ী জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছ ব্যবহার করার কারণে ক্রমেই কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সর্বত্র পেশাদার খেজুর গাছিরা চরম সংকটে পড়েছেন। তারপরেও কয়েকটি এলাকায় গাছিরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজ করছেন নামে মাত্র। ইতিমধ্যে ওইসব গাছিরা দুই বেলা রস সংগ্রহ করছেন। শিশির ভেজা ঘাস আর ঘন কুয়াশার চাদর, হেমন্তের শেষে শীতের আগমনের বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে। এসময় মরসুমি খেজুর রস দিয়েই গ্রামে শুরু হতো শীতের আমেজ। শীত যত বাড়তে থাকত খেজুর রসের মিষ্টতাও তত বাড়ত।

শীতের সঙ্গে রয়েছে খেজুর রসের এক অপূর্ব যোগাযোগ। এসময় গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুবৃক্ষ থেকে সু-মধুর রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে পুরোদমে শুরু হত পিঠে, পায়েস ও গুড় পাটালি। এছাড়াও গ্রামে গ্রামে খেজুরের নলেনগুড়, ঝোলা গুড়, দানা গুড় । গুড়ের মিষ্টির গন্ধেই যেন অর্ধভোজন হয়ে যেত। খেজুরগুড়ের পায়েস, গুড়ে ভেজা পিঠেসহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের তো জুড়ি মেলাভার।

প্রসঙ্গত , কালের বিবর্তনে প্রকৃতি থেকে আজ খেজুরের রস প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। খেজুর রস দিয়ে গৃহবধূদের সুস্বাদু পায়েস, বিভিন্ন ধরনের রসে ভেজানো পিঠে তৈরির ধুম পড়ত। গ্রামের সাধারণ মানুষ শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁপতে কাঁপতে ঠান্ডা খেজুর রস না খেলে যেন দিনটাই মাটি হয়ে যেত। কিন্তু ইটভাটার আগ্রাসনের কারণে আগের তুলনায় খেজুর গাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। ইটভাটায় খেজুর গাছ পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ইটভাটার মালিকেরা সবকিছু ম্যানেজ করে ধ্বংস করে চলেছে খেজুর গাছ। গত কয়েক বছর ধরে ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছকে ব্যবহার করায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দ্রুত খেজুর গাছ নিঃশেষ হতে শুরু করেছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামের মানুষ এখন খেজুর রসের মজার মজার খাবার অনেকটাই হারাতে বসছে।

আগের মত খেজুর গাছ না থাকায় এখন আর সেই রমরমা অবস্থা নেই। ফলে শীতকাল আসলেই অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা গ্রামের খেজুর গাছের কদর বেড়ে যায়। এদিকে খেজুর গাছ কমতে থাকায় চিন্তায় জেলার কৃষি দফতরগুলি। জেলায় কৃষি বিভাগ কৃষকদের খেজুর গাছ লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার পাশে সহ বিভিন্ন স্থানে কৃষকেরা খেজুর গাছ বসালে, তবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খেজুরের রস ও গুড়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন