বুধবার | ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৬:৪২
Logo
এই মুহূর্তে ::
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘কুড়কুড়ে ছাতুতে’ ক্যানসার নিকেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বোলপুর কি সত্যিই বলিপুর : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন অসুখী রাজকন্যাদের লড়াইয়ের গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কল্পনার ডানায় বাস্তবের রূপকথা : পুরুষোত্তম সিংহ হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে, সঙ্কটে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল : তপন মল্লিক চৌধুরী ফল্গু নদীর তীরে একটি ছোট শহর এই বুদ্ধগয়া : বিজয় চৌধুরী শাহিস্নান নয়, আদতে কথাটি ছিল সহিস্নান : অসিত দাস মৈত্রেয়ী ব্যানার্জি-র ভূতের গল্পো ‘হোমস্টে’ রহস্য ঘেরা বলিউডের নক্ষত্রপতন : রিঙ্কি সামন্ত বাঁকুড়ার দু-দিন ব্যাপী দেশীয় বীজ মেলায় দেশজ বীজের অভূতপূর্ব সম্ভার পেজফোর-এর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ২০২৫ এত গুণী একজন মানুষ কত আটপৌরে : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সরস্বতীর উৎস সন্ধানে : অসিত দাস ‘সব মরণ নয় সমান’ সৃজনশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে যথোচিত মর্যাদায় স্মরণ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলন, তরুণ প্রজন্মের অন্তর্ভূক্তি নিয়ে খামতি রয়েছে দলে : তপন মল্লিক চৌধুরী প্রথম পাঠ — মার্কসবাদের বিশ্বভ্রমণ : সন্দীপন চক্রবর্তী বঙ্গবিভূষণ কাশীকান্ত মৈত্র স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে ‘খানাকুল বাঁচাও’ দাবিতে সরব খানাকুল-সহ গোটা আরামবাগের মানুষ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় হরি হরের কথা এবং বীরভূমের রায়পুরে বুড়োনাথের বিয়ে : রিঙ্কি সামন্ত ত্র্যম্বকেশ্বর দর্শনে মোক্ষলাভ : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী কুম্ভমেলায় ধর্মীয় অভিজ্ঞতার থেকে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি : তপন মল্লিক চৌধুরী রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ৭ লক্ষ টন ছাড়াবে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘হিড়িক’ শব্দটির ব্যুৎপত্তি অধরা, আমার আলোকপাত : অসিত দাস বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-র ছোটগল্প ‘শিকড়ের টান’
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

খেজুর গাছের সংখ্যা কমছে, গাছিরা চিন্তায়, আসল সুস্বাদু খেজুরগুড় ও রস বাজারে কমছে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ২৩৮ জন পড়েছেন
আপডেট শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

শীতের কাঁপুনি শুরু। বাঙালির ঘরে পিঠে পুলির প্রস্তুতি। টাটকা ঝোলা খেজুরগুড়ের সঙ্গে পিঠে পুলি ও পায়েসের স্বাদই আলাদা। কিন্তু বাজারে আসল সুস্বাদু খেজুরগুড় মেলা ভার। এর আসল কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেল বিগত কয়েক বছরে ক্রমবর্ধমান বাড়ি-ঘর নির্মাণ আর নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে ক্রমেই খেজুর গাছের সংখ্যা কমে গিয়েছে।এ চিত্র রাজ্যের সর্বত্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলি, হাওড়া বর্ধমান ইত্যাদি জেলায় খেজুর গাছ নিধন পর্ব শুরু হয়েছে। ফলে খেজুর রসের অভাব দেখা দিয়েছে। রুটি রোজগারের সমস্যায় পড়েছেন গাছিরা। আর সুস্বাদু খেজুরগুড় ও রস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোজনরসিক বাঙালিরা। হরেক রকমের পিঠে-পুলি খাওয়ার ধূম এখন আর নেই। গত কয়েক বছর আগেও শীতকালে বিভিন্ন এলাকায় ‘গাছি’রা খেজুর গাছের রস সংগ্রহে খুবই ব্যস্ত থাকতেন। তাঁরা খেজুরের রস ও পাটালি গুড় বিক্রি করে আয় করতেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে গত কয়েক বছর ধরে তা ক্রমশ বিলুপ্ত হতে বসেছে।

খেজুর রস দিয়ে শীত মরসুমে পিঠে ও পায়েস তৈরির প্রচলন থাকলেও শীতকালীন খেজুর গাছের রস এখন দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। আগের তুলনায় খেজুর গাছ কমে গিয়েছে। যা আছে তাও সঠিকভাবে পরিচর্যা না করা, নতুন করে গাছের চারা রোপণ না করা এবং গাছ কাটার পদ্ধতিগত ভুলের কারণে প্রতি বছর অসংখ্য খেজুর গাছ মারা যাচ্ছে। উল্লেখ্য ,এছাড়া এক শ্রেণির অসাধু ইটভাটা ব্যবসায়ী জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছ ব্যবহার করার কারণে ক্রমেই কমে যাচ্ছে খেজুর গাছের সংখ্যা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সর্বত্র পেশাদার খেজুর গাছিরা চরম সংকটে পড়েছেন। তারপরেও কয়েকটি এলাকায় গাছিরা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের কাজ করছেন নামে মাত্র। ইতিমধ্যে ওইসব গাছিরা দুই বেলা রস সংগ্রহ করছেন। শিশির ভেজা ঘাস আর ঘন কুয়াশার চাদর, হেমন্তের শেষে শীতের আগমনের বার্তা জানিয়ে দিচ্ছে। এসময় মরসুমি খেজুর রস দিয়েই গ্রামে শুরু হতো শীতের আমেজ। শীত যত বাড়তে থাকত খেজুর রসের মিষ্টতাও তত বাড়ত।

শীতের সঙ্গে রয়েছে খেজুর রসের এক অপূর্ব যোগাযোগ। এসময় গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতীক মধুবৃক্ষ থেকে সু-মধুর রস বের করে গ্রামের ঘরে ঘরে পুরোদমে শুরু হত পিঠে, পায়েস ও গুড় পাটালি। এছাড়াও গ্রামে গ্রামে খেজুরের নলেনগুড়, ঝোলা গুড়, দানা গুড় । গুড়ের মিষ্টির গন্ধেই যেন অর্ধভোজন হয়ে যেত। খেজুরগুড়ের পায়েস, গুড়ে ভেজা পিঠেসহ বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের তো জুড়ি মেলাভার।

প্রসঙ্গত , কালের বিবর্তনে প্রকৃতি থেকে আজ খেজুরের রস প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। খেজুর রস দিয়ে গৃহবধূদের সুস্বাদু পায়েস, বিভিন্ন ধরনের রসে ভেজানো পিঠে তৈরির ধুম পড়ত। গ্রামের সাধারণ মানুষ শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁপতে কাঁপতে ঠান্ডা খেজুর রস না খেলে যেন দিনটাই মাটি হয়ে যেত। কিন্তু ইটভাটার আগ্রাসনের কারণে আগের তুলনায় খেজুর গাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। ইটভাটায় খেজুর গাছ পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও ইটভাটার মালিকেরা সবকিছু ম্যানেজ করে ধ্বংস করে চলেছে খেজুর গাছ। গত কয়েক বছর ধরে ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছকে ব্যবহার করায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দ্রুত খেজুর গাছ নিঃশেষ হতে শুরু করেছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামের মানুষ এখন খেজুর রসের মজার মজার খাবার অনেকটাই হারাতে বসছে।

আগের মত খেজুর গাছ না থাকায় এখন আর সেই রমরমা অবস্থা নেই। ফলে শীতকাল আসলেই অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা গ্রামের খেজুর গাছের কদর বেড়ে যায়। এদিকে খেজুর গাছ কমতে থাকায় চিন্তায় জেলার কৃষি দফতরগুলি। জেলায় কৃষি বিভাগ কৃষকদের খেজুর গাছ লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছে। বাড়ির আনাচে-কানাচে, রাস্তার পাশে সহ বিভিন্ন স্থানে কৃষকেরা খেজুর গাছ বসালে, তবেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খেজুরের রস ও গুড়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন