রবিবার | ১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:১৩
Logo
এই মুহূর্তে ::
শান্তি সভ্যতার গুণ, যুদ্ধ তার অপরাধ … ভিক্টর হুগো : অশোক মজুমদার হরপ্পার ব্যুৎপত্তি নিয়ে নতুন আলোকপাত : অসিত দাস বল পয়েন্ট কলমের জার্নির জার্নাল : রিঙ্কি সামন্ত মহেঞ্জোদারো নামের নতুন ব্যুৎপত্তি : অসিত দাস পরিসংখ্যানে দারিদ্রতা কমলেও পুষ্টি বা খাদ্য সংকট কি কমেছে : তপন মল্লিক চৌধুরী অথ স্নান কথা : নন্দিনী অধিকারী তন্ত্র বিদ্যার বিশ্ববিদ্যালয় চৌষট্টি যোগিনীর মন্দির : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী মেসোপটেমিয়া ও সিন্ধুসভ্যতার ভাষায় ও স্থাননামে দ্রাবিড়চিহ্ন : অসিত দাস ধরনীর ধুলি হোক চন্দন : শৌনক দত্ত সিন্ধুসভ্যতার ভাষা মেসোপটেমিয়ার ব্যাবিলনের রাজা হামুরাবির নামে : অসিত দাস বিস্মৃতপ্রায় জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয় ভাষায় সিন্ধুসভ্যতার মেলুহার ভাষার প্রভাব : অসিত দাস বঙ্গতনয়াদের সাইক্লিস্ট হওয়ার ইতিহাস : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘ঝড়ের পরে’ ভালো থাকার পাসওয়ার্ড (শেষ পর্ব) : বিদিশা বসু গাছে গাছে সিঁদুর ফলে : দিলীপ মজুমদার ভালো থাকার পাসওয়ার্ড : বিদিশা বসু সলিমুল্লাহ খানের — ঠাকুরের মাৎস্যন্যায় : ভাষা-শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা : মিল্টন বিশ্বাস নেহরুর অনুপস্থিতিতে প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদও ৩৭০ অনুমোদন করেছিলেন : তপন মল্লিক চৌধুরী সিঁদুরের ইতিকথা আর কোন এক গাঁয়ের বধূর দারুণ মর্মব্যথা : দিলীপ মজুমদার সাহিত্যিকদের সংস্কার বা বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে শ্রীপাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশীর মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত দশহরার ব্যুৎপত্তি ও মনসাপূজা : অসিত দাস মেনকার জামাই ও জামাইষষ্ঠী : শৌনক ঠাকুর বিদেশী সাহিত্যিকদের সংস্কার ও বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভক্তের ভগবান যখন জামাই (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-এর ছোটগল্প ‘সময়ের প্ল্যাকটফর্ম’ গুহাচিত্র থেকে গ্রাফিটি : রঞ্জন সেন জামিষষ্ঠী বা জাময়ষষ্ঠী থেকেই জামাইষষ্ঠী : অসিত দাস কার্বাইডে পাকানো আম দিয়ে জামাইষষ্ঠীতে জামাই খাতির নয়, হতে পারে ক্যান্সার : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই প্রভু জগন্নাথদেবের শুভ স্নানযাত্রার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

পেঁয়াজের ঝাঁজে গৃহস্থের চোখে জল, সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়বে রাজ্য : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ২৩৮ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪

দিনের দিন বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। ৫০ থেকে ৮০ টাকায় কেজি দরে খুচরো বিক্রি হচ্ছে বাজারে। প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। রাজ্য সরকার বাজারে সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করলেও কোনো সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে দামের ঝাঁজে গৃহস্থের চোখে জল। যে হারে পেঁয়াজের দাম বাড়চ্ছে তাতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ১০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হবে।তাতে আশ্চর্যের কিছু থাকবে না ।

এদিকে দিনের দিন পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকার চিন্তিত। ইতিমধ্যেই দাম নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। প্রতিটি বাজারে নজরদারি শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে শীঘ্রই পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে রাজ্য সরকার ঠিক করেছে। লক্ষ্য পেঁয়াজের দাম বেঁধে রাখা। তার জন্য রাজ্যে ৯১৭টি পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র করবে এগ্রিকালচার মার্কেটিং বিভাগ। এরফলে বিভিন্ন এলাকায় স্বল্পমূল্যে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করতে পারবেন চাষিরা। রাজ্যের মোট ১০টি জেলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হবে। পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ভর্তুকি দেওয়া হবে। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্রের জন্য প্রায় ছ’কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ করা হয়েছে। অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট মিশন ডিরেক্টর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলাশাসক (কৃষি) গোবিন্দ হালদার বলেন, জেলায় জেলায় শীতকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ছে। তাই রাজ্যজুড়ে পেঁয়াজ উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি হবে। সেখানে চাষিরা পেঁয়াজ সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন। এর ফলে বহু চাষি উপকৃত হবেন।

প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের তরফে শিল্পের পাশাপাশি কৃষি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পুরাতন পদ্ধতিকে সরিয়ে নিত্য নতুন পদ্ধতির ব্যবহারে মিলছে সাফল্য। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ঝাড়গ্রাম জেলায় চাষের পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলেছেন। পাশাপাশি ফসলবিমা, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিদের আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে। এরফলে চাষিদের আর্থিক সমস্যার অনেকটাই সমাধান হচ্ছে বলে মত কৃষি আধিকারিকদের। একইসঙ্গে পেঁয়াজের মতো অর্থকরী ফসলের চাষের পরিমাণও বাড়ছে। রাজ্যে কয়েক লক্ষ টন পেঁয়াজ উৎপাদ হয়। কিন্তু, প্রচুর পেঁয়াজ বাইরে চলে যায়। তাই মূলত রাজ্যকে স্বনির্ভর করতেই সংরক্ষণ ইউনিট তৈরি করা পরিকল্পনা করা হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পেঁয়াজ সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলি উন্নতমানের তৈরি করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে। মালদহ জেলায় ৫৭টি, মুর্শিদাবাদ জেলায় ১১৩টি, নদীয়া জেলায় ১২৪টি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ১২৪টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ৩৭টি, হুগলি জেলার ১১৪টি, পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১১৩টি, বীরভূম জেলায় ৭৯টি, বাঁকুড়া জেলায় ৭৯টি ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৭৭টি পেঁয়াজ শিল্প সংরক্ষণ ইউনিট তৈরি হবে। এরফলে লক্ষাধিক মেট্রিকটন পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, আমাদের রাজ্যে উৎপাদিত পেঁয়াজ বেশিরভাগ বাইরে চলে যায়। ফলে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এছাড়া পেঁয়াজের কালোবাজারির  পরিমাণও বাড়ে। এগ্রিকালচার মার্কেটিং বিভাগ চাইছে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে। যে হারে বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। বিশেষ করে আলু ও পেঁয়াজের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের।হিমঘরগুলোতে প্রয়োজন মতো খাবার আলু মজুত থাকলেও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জন্য এটা হচ্ছে বলে অনেকের অভিমত। এক‌ইভাবে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে চলেছে।যা এখন পেঁয়াজের দামের ঝাঁজে গৃহস্থের চোখে জল।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন