শুক্রবার | ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ২:১৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস ভারতের সংবিধান রচনার নেপথ্য কারিগর ও শিল্পীরা : দিলীপ মজুমদার চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (পঞ্চম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস আলোর পথযাত্রী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (চতুর্থ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস কন্নড় মেল্ল থেকেই সিন্ধুসভ্যতার ভূখণ্ডের প্রাচীন নাম মেলুহা : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (তৃতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস লোকভুবন থেকে রাজনীতিভুবন : পুরুষোত্তম সিংহ চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (দ্বিতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত রবীন্দ্রনাথের ইরান যাত্রা : অভিজিৎ ব্যানার্জি ঠাকুরকে ঠাকুর না বানিয়ে আসুন একটু চেনার চেষ্টা করি : দিলীপ মজুমদার যুদ্ধ দারিদ্র কিংবা বেকারত্বের বিরুদ্ধে নয় তাই অশ্লীল উন্মত্ত উল্লাস : তপন মল্লিক চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ, পঁচিশে বৈশাখ ও জয়ঢাক : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজী ও শান্তিনিকেতন : প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বাঙালী রবীন্দ্রনাথ : সৈয়দ মুজতবা আলী অনেক দূর পর্যন্ত ভেবেছিলেন আমাদের ঠাকুর : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথের প্রথম ইংরেজি জীবনী : সুব্রত কুমার দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (প্রথম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস শুক্লাম্বর দিঘী, বিশ্বাস করে দিঘীর কাছে কিছু চাইলে পাওয়া যায় : মুন দাশ মোহিনী একাদশীর ব্রতকথা ও মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত নিজের আংশিক বর্ণান্ধতা নিয়ে কবিগুরুর স্বীকারোক্তি : অসিত দাস ঝকঝকে ও মজবুত দাঁতের জন্য ভিটামিন : ডাঃ পিয়ালী চ্যাটার্জী (ব্যানার্জী) সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা : লুৎফর রহমান রিটন সংস্কৃতি জগতের এক নক্ষত্রের নাম বসন্ত চৌধুরী : রিঙ্কি সামন্ত আংশিক বর্ণান্ধতাজনিত হীনম্মন্যতাই রবীন্দ্রনাথের স্কুল ছাড়ার কারণ : অসিত দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস

সুব্রত কুমার দাস / ৩৫ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

ব্রিটিশ বিরোধিতা ও জমিদারী বিরোধিতার পাশাপাশি সাবিত্রী রায়ের উপন্যাস নারীর বিদ্রোহী চেতনারও প্রতিরূপ। নারীকে পূর্ণ মানুষ হিসেবে উপস্থাপনে সাবিত্রী রায় দৃঢ়চেতা। নিজের জীবনে যেমন নারীত্ব তাঁর কোন বাধা হয়ে দাড়ায় নি তেমনি তাঁর নারী চরিত্রকে তিনি সততা ও ন্যায়ের পথে — আদর্শ ও দেশপ্রেমের পথে নিতে কোন প্রতিবন্ধকতা রাখেন না। তাঁর প্রথম উপন্যাস থেকেই এ প্রচেষ্টা লক্ষণীয়। স্বরলিপি ও পাকা ধানের গান-এ তা হয়েছে বিস্ময়করভাবেই স্বচ্ছ। ত্রিসোতা-র পদ্মার বিদ্রোহী চেতনা অনেক বেশি সংহতরূপে প্রকাশ পায় স্বরলিপি-র সাগরী ও শীতার ভেতর দিয়ে। এরা দুজনেই সাধারণ ঘরের মেয়ে, কিন্তু দুজনেই আবার অসাধারণ তাদের ভাবনা ও আদর্শবোধে। পার্টির নির্দেশকে মাথা পেতে নিতে সাগরী তার স্বামী রথীকে ত্যাগ করলেও তার ভালবাসাকে কলুষিত করে নি। যখনই বুঝেছে পার্টিনেতৃত্ব তার ব্যক্তিজীবনকে ক্ষতি করতেই উপায় খুঁজছে সে প্রতিবাদ করেছে, কলঙ্কের কালি কপালে মেখে চলে গেছে কৃষক এলাকায় আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে। আর এভাবেই একসময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে মৃত্যু ঘটে সাগরীর। শীতাও কি কম! ভালবাসলেও তার বিয়ে হয় নি পৃথ্বীর সাথে। বিয়ে হয়েছিল যে দেবজ্যোতির সাথে তার মৃত্যুতে বিধবা শীতার একমাত্র আশ্রয় হয় শিশুসন্তান মিঠু। কিন্তু পরে বোঝা যায় সেও এক ছাইচাপা আগুন। তাই শাশুড়ির মৃত্যুকালে সে শ্বশুরের ভিটাতে গিয়েও সেখানে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছে পলাতক কমরেডদের। তারই আশ্রিয় ছিল নিখিলেশ পার্বতীর স্বামী যে কিনা হাজং বিদ্রোহের সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয়। শুধু কি তাই! নিজেও তো চেষ্টার ক্রুটি করে নি হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা এড়াতে। পাকা ধানের গান-এর দেবকীর মত একটি বিদ্রোহী চরিত্র সমকালীন বাংলা উপন্যাসে হয়তো দুর্লভ। হয়তো পারিপার্শ্বিকতার চাপে দেবকী নুইয়ে পড়তে চায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর বিদ্রোহীসত্তা অপরাজেয়। দেবকী তো অত্যাচারী স্বামীর পদবী পর্যন্ত নিজের নামের সাথে লাগাতে নারাজ। মেঘীর ভেতরেও কি ধর্ম ও সমাজের প্রচলিত প্রথাবিরোধী একজন নারীর শক্তিশালী অস্তিত্বকে আমরা অনুভব করি না? এমনকি ঈশানী দেবী এবং লতাও তো সমাজ পরিবর্তনে কম অগ্রণী নয়! স্বকালের বিদ্রোহী নারীসমাজের কর্মকাণ্ডে সাবিত্রী রায়ের ছিল অচ্ছেদ্য সম্পৃক্ততা। আর সেজন্যেই তো স্বরলিপি-র উৎসর্গে ২৭ এপ্রিল ১৯৪৯ এর যে পাঁচজন শহীদের নাম উৎকীর্ণ তাঁদের মধ্যে চারজনই নারী। ৩৬

পাকা ধানের গান সন্দেহাতীতভাবেই একটি সফল রাজনৈতিক উপন্যাস। জীবন-ঘনিষ্টতায় সফল সামাজিক চিত্রণ এ উপন্যাসের মূল প্রতিবাদ্য। এবং সাবিত্রী রায়ের সাফল্য অথবা কৌশল এই যে তিনি উপন্যসটিকে সম্পূর্ণতই একটি রাজনীতির পরিমণ্ডলে আবদ্ধ না রেখে এবং ঘটনাক্রমের মূল ভিত হিসেবে রেখেছেন বাঙালির দৈনন্দিন সামাজিক ও পারিবারিক জীবন। পাকা ধানের গান-এর আরও একটি বিশিষ্টতা এই যে, লৌকিক জীবনাচরণ সারা উপন্যাসটি জুড়ে বর্তমান যা উপন্যাসটির মূল গল্প-কাহিনীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে উপন্যাসটিতে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। সেকালের বাঙালি জীবনের লৌকিক বিবিধ অনুষঙ্গ উপন্যাসটির পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে পুঁথির গল্প আর গান নিয়ে লাউল ৩৭ সাজানোর গল্প, হলুদ বাটার গান ৩৮, নীল সাজা ৩৯, আহলাদী পুতুল বানানো ৪০, গাজীর পট দেখানো ৪১, কালী নাচ ৪২, মনসার পাচালী পাঠ ৪৩, মাঘমঙ্গলের ব্রত ৪৪ তোষলা ব্রত ৪৫ এমনই কিছু উদাহরণ। লোককাহিনী লোকপুরাণের কতকত গল্পও এসে মিশে আছে পাকা ধানের গান-এর মূল গল্পের ভেতর। এবং নির্দ্বিধচিত্তে বলা চলে যে পাকা ধানের গান লৌকিক সংস্কৃতির যে কোন গবেষকের জন্য একটি মূল্যবান দলিল হতে পারে। এ প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ করা চলে যে রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গেও সাবিত্রীর উপন্যাসের এক অবিচেছদ্য অনুষঙ্গ। স্বরলিপি ও পাকা ধানের গান উভয় গ্রন্থেই বহু বহু রবীন্দ্র গান ও কবিতার উদ্ধৃতি লেখকের মনন ও পাঠগত চিত্রকে পরিস্ফুটিত করে।

সাবিত্রী রায়ের পরবর্তী দীর্ঘ উপন্যাস মেঘনা-পদ্মা ৪৬-এর দুটি খণ্ড প্রকাশিত হয় যথাক্রমে ১৯৬৪ ও ১৯৬৫ সালে। সাত শতাধিক পৃষ্ঠায় এ উপন্যাসটির শেষাংশ সমুদ্রের টেউ আলাদাভাবে প্রকাশিত হয় ১৯৬৮-তে। সাবিত্রী রায়ের শেষ দুটি উপন্যাস হল ঘাসফুল (১৯৭১) ও বদ্বীপ (১৯৭২)। ঘাসফুল উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকাল সময়কে ঘিরে। উত্তাল রাজনীতির সেসব যুবকের বাংলাদেশের এক মফস্বল শহর যশোরেও কর্মব্যস্ত। এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র অধ্যাপক সুগত সাথে যোগাযোগ ঘটেছে ব্রিটিশ প্লেনচালক পিটারের। সাম্যবাদের বিশ্বনন্দিত মতবাদের পিটারও সুগতদের সাথে একই কাতারে উপস্থিত। পারিবারিক নৈকট্যে পিটার চলে আসে সুগতর পরিবারে নেমে তমস এক স্তদ্ধতা।

বিংশ শতাব্দীর চল্লিশের দশকের শুরু থেকে পঞ্চাশ দশকের প্রথম বছরগুলো পর্যন্ত বাংলা অঞ্চল অতিক্রম করেছে কঠিন এক সময়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধাক্কায় হাঁসফাস বাঙালি জীবন যার সাথে যুক্ত রয়েছে ধুরন্ধর রাজনীতি। সর্বশেষে মন্বন্তর-দাঙ্গা-দেশভাগ এবং উদ্ধাস্ত সমস্যায় কন্টকিত এমন একটি কঠিন সময় হয়তো বাঙালি আর কোনদিনই অতিক্রম করে নি। এবং উল্লেখ্য যে এসবের ভেতরের দেশের প্রগতিশীল সিংহাভাগ মানুষ সেকালে যুক্ত হয়েছিল তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের আন্দোলনে। এ আন্দোলন স্বদেশী পার হয়ে সাম্যবাদরে পথে তেভাগ্য ও হাজং বিদ্রোহের ভেতর দিয়ে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই সমকালের এই উত্তুঙ্গতা সামগ্রিকরূপে বাংলা কথাসিহিত্যে প্রয়োজনানুযায়ী উপস্থাপিত হয় নি। সে সময়ের সাথে সমকালীন লেখকদের সম্পৃক্ততা কম থাকায় বা পরবর্তীকালে সে সময়কে ইতিহাস পাঠের ভেতর দিয়ে আত্মস্থ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আমাদের উপন্যাস বঞ্চিত হয়েছে। সামান্য যে কয়েকটি প্রচেষ্টা হয়েছিল তার মধ্যে সাবিত্রী রায়ের অন্ততপক্ষে পাকা ধানের গান উপন্যাসটির নাম অন্যতম হিসেবে গণ্য হতে পারে। অথচ রাজনীতির নিমর্ম দৃষ্টির বাইরে। বাংলার সামাজিক-ধর্মীয় লৌকিক সমাজকে রাজনীতির বিশ্লেষণে স্পষ্ট করে সাবিত্রী রায় তাঁর উপন্যাসে উপস্থাপন করেছেন। নারী হয়েও ঘরে বন্দী থাকেন নি। তাঁর প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা বিপুল বিস্তার লাভ করেছিল। সন্দেহ নেই সাবিত্রী রায়ের সাহিত্য নতুন মূল্যায়নের দাবী রাখে।

অন্যান্য সহায়ক গ্রন্থপঞ্জি

১. শতবর্ষের কৃতী বঙ্গনারী, শামলী গুপ্ত (সম্পা), কলকাতা, ২০০১।

২. প্রগতির পথিকেরা, ১৯৩৬-১৯৫০, দেবাশীষ সেনগুপ্ত (সম্পা.), কলকাতা, (প্রকাশকাল অনুল্লেখিত)।

৩. বাংলা কথাসাহিত্যের একাল, ১৯৪৫-১৯৯৮, বীরেন্দ্র দত্ত, কলকাতা, ১৯৯৮।

৪. পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার উপন্যাস (১৯৪৬-১৯৭১), শাহীদা আখতার, ঢাকা, ১৯৯২।

৫. বাংলা উপন্যাস ও তার আধুনিকতা, সত্যেন্দ্রনাথ রায়, কলকাতা, ২০০০।

টীকা:

  1. সাবিত্রী রায়ের নির্বাচিত রচনা সংকলন (কলকাতা, ১৯৯৯) এর শুরুতে ব্যক্তিমানুষ সাবিত্রী রায়, পৃ. ১৫, শিরোনামে কন্যা গার্গী চক্রবর্তী একথা লেখেন।
  2. প্রাগুক্ত, দ্রষ্টব্য, ‘সাবিত্রী রায়ের গ্রন্থপঞ্জি অংশ’ পৃ. ১৩১-১৩২।
  3. ত্রিসোতা, সাবিত্রী রায়, কলকাতা দ্বিতীয় পরিমার্জিত সংষ্করণ, ১৯৬১, পৃ. ৮১ তে এমন স্পষ্ট প্রতুল।
  4. স্বল্পায়ু সুলেখা সান্যালের জন্ম ফরিদপুর জেলার কোঁড়কদি গ্রামে। প্রথম ছোটগল্প ‘পঙ্কতিলক’ ১৯৪৪ সালে অরণি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সে অর্থে বিবেচনা করা যায়, সাবিত্রী রায় থেকে দশ বছর বয়ঃকনিষ্ঠ হয়েও সুলেখা সান্যাল সাহিত্যচর্চা শুরু করেন একই সময়ে। প্রথম উপন্যাস নবাঙ্কুর ও ছোটগল্প সংকলন সিঁদুরে মেঘ যথাক্রমে ১৩৬২ ও ১৩৬৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশ পায়। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত এ ধীমতী লেখিকা ১৯৫৯ সালে মস্কো যান চিকিৎসার জন্য। মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস দেওয়াল পদ্ম (১৯৬৪)।
  5. প্রাগুক্ত, পৃ. ১০০।
  6. সাবিত্রী রায়ের নির্বাচিত রচনা সংকলন, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৩৩ দ্রষ্টব্য।
  7. স্বরলিপি, সাবিত্রী রায়, কলকাতা রত্না প্রকাশণ সংস্করণ, ১৯৯২, পৃ. ০২।
  8. প্রাগুক্ত, পৃ. ০৩।
  9. সুজিৎ সোম, ‘ভূমিকা’, ‘স্বরলিপি’, প্রাগুক্ত, পৃ. iii।
  10. স্বরলিপি, প্রাগুক্ত, পৃ. ৯৫।
  11. প্রাগুক্ত, প্রাগুক্ত, পৃ. ২৪।
  12. প্রাগুক্ত, ২৩-২৪।
  13. প্রাগুক্ত, ২৩৭-২৩৮।
  14. প্রাগুক্ত, ২৯৩।
  15. প্রাগুক্ত, ২৯৯।
  16. প্রাগুক্ত, ১৩৪।
  17. প্রাগুক্ত, পৃ. ৩১০-৩১১।
  18. সুজিৎ সোম, প্রাগুক্ত, পৃ. ii।
  19. সৌরীন ভট্টাচার্য, স্বরলিপি: স্বগত কথন, পরিকথা (সম্পা. দেবব্রত চট্টোপাধ্যায়), দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (পশ্চিমবঙ্গ), মে, ২০০০ পৃ. ১৫৬-১৫৭।
  20. সুকুমারী ভট্টাচার্য, সাবিত্রী রায়ের উপন্যাস, চতুরঙ্গ, (সম্পা. নীরা রহমান), কলকাতা, বর্ষ ৫৩, সংখ্যা ০৮ (ডিসেম্বর ১৯৯২), পৃ. ১৫৫।
  21. দ্রষ্টব্য ৫, বিনতা রায় চৌধুরী, পঞ্চাশের মন্বন্তর ও বাংলা সাহিত্য, কলকাতা, ১৯৯৭, পৃ. ০৫।
  22. মুদ্রণ বিভ্রাটের কারণে মধ্যপর্ব প্রকাশে বিলম্ব ঘটেছিল বলে জানা যায়।
  23. এ উপন্যাসটি অবলম্বনেই পরবর্তীকালে খ্যাতিমান চিত্রনির্মাতা মৃণাল সেন একটি ছবি তৈরি করেন।
  24. বাঙালি ঔপন্যাসিক ভবানী ভট্টাচার্যের জন্ম বিহারে। লিখেছেন ইংরেজিতে। তাঁর প্রধান উপন্যাসগুলো হল: So Many Hungers! (১৯৪৮), Music for Mohini (১৯৫২), He Who Rides a Tiger (১৯৫৪), A Goddess Named Gold (১৯৬০), Shadow from Ladakh (১৯৬৬) ইত্যাদি (দ্র. Who’s Who of Indian Writers: : 1983, Shahitya Akademi, New Delhi, ১৯৮৩, পৃ. ৭৫ এবং Larousse Dictionary of Writers, New York, ১৯৯৪, পৃ. ৯৩। ভবানী ভট্টাচার্যের So Many Hungers! সুভাষ মুখোপাধ্যাযের অনুবাদে কতক্ষুধা নামে ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত হয়। (দ্র. বিনতা রায় চৌধুরী, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৬৫)।
  25. পার্থপ্রতিম বন্দোপাধ্যায়, ‘তেভাগার উপন্যাস: দু-একটি মন্তব্য’, দিবারাত্রির কাব্য (সম্পা. আফিফ ফুয়াদ), কলকাতা, ৬ষ্ঠ বর্ষ ২য় সংখ্যা (জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯৯৮), পৃ. ৫৭।
  26. সাবিত্রী রায়ের নির্বাচিত রচনা সংকলন, প্রাগুক্ত, পৃ. ১৩৪। যদিও অখণ্ড সংস্করণে সংযোজনের কোন ব্যাপার ঘটেছে বলে বর্তমান আলোচকদের মনে হয় না। কেননা গ্রন্থটির দ্বিতীয় পর্বের (আলাদা আলাদা গ্রন্থে পর্বে সম্ভবত ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত। গ্রন্থটিতে কোন সাল উল্লেখ নেই। তাছাড়া আলাদা আলাদাভাবে মুদ্রিত পর্বগুলির নতুন মুদ্রণের কোন সংবাদও জানা যায় না) সাথে অখণ্ড সংস্করণের কোন সংকোচন দৃষ্টিগোচর হয় নি।
  27. সাবিত্রী রায়, পাকা ধানের গান (অখণ্ড), কলকাতা, প্রথম সংস্করণ, ১৯৮৬, দ্বিতীয় সংস্করণ ১৯৯০, পৃ. ৬৪৮।
  28. সাবিত্রী রায়, পাকা ধানের গান, প্রাগুক্ত, পৃ. ৬৪৭।
  29. প্রাগুক্ত, পৃ. ৯৭।
  30. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৮৭।
  31. প্রাগুক্ত, পৃ. ১২৯।
  32. এ অনুমানের ভিত্তি অমলেন্দু সেনগুপ্তের উত্তাল চল্লিশ: অসমাপ্ত বিপ্লব (কলিকাতা, ১৯৮৯), গ্রন্থটি। এ গ্রন্থে (পৃ.২৯) সাবিত্রী রায়ের স্বামী শান্তিময় রায়ের এক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায় কম্যুনিস্ট পার্টি একসময় শান্তিময় রায়কে যশোরে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেয়। সেখানে ক্লাইভ ব্রাইসনসহ আরও অনেক বিদেশী সৈনিকই সেসময় ভারতবর্ষের ফ্যাসীবিরোধ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। কিছুদিন পরে এদের দুজন মারা যান; যাদেরকে যশোরে কবরস্থ করা হয়।
  33. ১৯৬১ সালের ১৫ জানুয়ারী তারিখের নিউ এজ পত্রিকা থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন প্রভাত মুখোপাধ্যায়।
  34. পাকা ধানের গান, প্রাগুক্ত, পৃ. ৬৩
  35. প্রাগক্ত, পৃ.১২১-১২২।
  36. ১৯৪৯ সালের ২৭ এপ্রিল মহিলা আত্মরক্ষা সমিতির ডাকে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে বিনা বিচারে বন্দী মুক্তির দাবি নিয়ে যে মিছিলটি বেরিয়েছিল তাতে পুলিশের হামলা হলে বন্দুকের গুলিতে যে চারজন মহিলা কর্মী মৃত্যুবরণ করেন তাঁরা হলেন: লতিকা সেন (জন্ম ১৯১৩), প্রতিভা গঙ্গোপাধ্যায় (জন্ম ১৯১৭), অমিয়া দত্ত (জন্ম ১৯১৮) এবং গীতা সরকার (জন্ম ১৯২২)।
  37. ত্রিসোতা, প্রাগুক্ত, এর প্রকাশক পরিচিতি পৃষ্ঠায় ‘লেখিকার অন্যন্য গ্রন্থ’ তালিকায় যন্ত্রস্থ এ গ্রন্থটির নাম দেয়া হয়েছিল পদ্মা-মেঘনা
  38. পাকা ধানের গান, প্রাগুক্ত, পৃ.৩২।
  39. প্রাগুক্ত, পৃ.৫০।
  40. প্রাগুক্ত, পৃ.৫২-৫৬। নীল সন্ন্যাসীদের একটি গান এমন:

সত্য ত্রেতা ছাপরেতে

ছিল না মা পাশ।

মা-মা-মাগো।

নন্দীরে কয় যাও কৈলাসে

নীল হবে না বিনা পাশে রেখো মা তোর চরণ তলে

তোমার অনন্ত নীলে।

  1. প্রাগুক্ত, পৃ.৫৮।
  2. প্রাগুক্ত, পৃ. ৫৯।
  3. প্রাগুক্ত, পৃ. ৭১।
  4. প্রাগুক্ত, পৃ. ৭১।
  5. প্রাগুক্ত, পৃ. ৭৫। মাঘমণ্ডলের ব্রততে আছে –

উঠ উঠ সূর্য ঠাকুর ঝিকিমিকি দিয়া

না উঠিতে পারি আমি ইয়লের লাগিয়া

ইয়লের পঞ্চাশটি শয়রে থুইয়া

উঠিবেন সূর্য কোনখান দিয়া

উঠিবেন সূর্য গোয়ালবাড়ির ঘাট দিয়া।

  1. প্রাগুক্ত, পৃ.১৬৩। তোষলা ব্রতের একটি ছড়া হল –

কোদাল কাটা ধান পাব

গোয়াল আলো গরু পাব

দরকার আলো বেটা পাব

সঙা আলো জামাই পাব

সেজ আলো ঝি পাব

আড়িমাথা সিঁদূর পাব

ঘর করব নগরে

মরবো গিয়ে সাগরে

তোমার কাছে মাগি বর

স্বামীপুত্র নিয়ে যেন সুখে করি ঘর

সুব্রত কুমার দাস, কামারখালি, ফরিদপুর, বাংলাদেশ বর্তমানে থাকেন টরন্টো, কানাডা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন