মঙ্গলবার | ২৫শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ১১:৩৫
Logo
এই মুহূর্তে ::
জঙ্গলমহল জৈন ধর্মের এক লুপ্তভুমি : সসীমকুমার বাড়ৈ ওড়িশা-আসাম-ত্রিপুরার অশোকাষ্টমীর সঙ্গে দোলের সম্পর্ক : অসিত দাস পাপমোচনী একাদশী ব্রতমাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত ভগত সিংহের জেল নোটবুকের গল্প : কল্পনা পান্ডে নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘অমৃতসরী জায়কা’ মহিলা সংশোধনাগারগুলিতে অন্তঃসত্ত্বা একের পর এক কয়েদি, এক বছরে ১৯৬ শিশুর জন্ম : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘শোলে’র পঞ্চাশ বছর : সন্দীপন বিশ্বাস বিভাজনের রাজনীতি চালিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা ইতিহাস পালটাতে চায় : তপন মল্লিক চৌধুরী অশোক সম্পর্কে দু-চারটে কথা যা আমি জানি : অসিত দাস চৈত্রের শুরুতেই শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে শুরু হলো সন্ন্যাস মেলা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম বাঙালি পরিচালকের প্রথম নির্বাক লাভ স্টোরি : রিঙ্কি সামন্ত গোপিনী সমভিব্যাহারে রাধাকৃষ্ণের হোলি ও ধ্যানী অশোকবৃক্ষ : অসিত দাস শেখাওয়াটির হোলী-হাভেলী : নন্দিনী অধিকারী সংস্কৃত সাহিত্যে অশোকবৃক্ষ যখন দোহলী : অসিত দাস প্রাণগৌরাঙ্গের প্রিয় পঞ্চব্যঞ্জন : রিঙ্কি সামন্ত ‘দ্য স্টোরিটেলার’ — শিল্প এবং বাজারের মধ্যে দ্বন্দ্ব : কল্পনা পান্ডে অপুষ্টি আর দারিদ্রতা ঢাকতে সরকার আর্থিক উন্নয়নের পরিসংখ্যান আওড়ায় : তপন মল্লিক চৌধুরী দোহলী মানে অশোকবৃক্ষ, তা থেকেই দোল ও হোলি : অসিত দাস সিনেমা প্রেমীদের হোলির গান : রিঙ্কি সামন্ত দোলের আগের দিনের চাঁচর নিয়ে চাঁচাছোলা কথা : অসিত দাস খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল — দোলা লাগল কি : দিলীপ মজুমদার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত সিঙেরকোণ-এর রাধাকান্ত এখনও এখানে ব্যাচেলর : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘কুড়কুড়ে ছাতুতে’ ক্যানসার নিকেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বোলপুর কি সত্যিই বলিপুর : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন অসুখী রাজকন্যাদের লড়াইয়ের গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ দোলপূর্ণিমা ও হোলি ও বসন্ত উৎসবের  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

দেশভাগ-৭০ ও ঋত্বিক…

সুদেব সিংহ / ৬৬৬ জন পড়েছেন
আপডেট সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০

এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের বিষয় যে, স্বাধীনতার সত্তর বছর পূর্তি দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি যন্ত্রণার সেই দিনগুলি কীভাবে ভোলা যায়! লক্ষ-কোটি মানুষ স্বজনহারা, গৃহহারা হয়ে পথে দাঁড়িয়েছিলেন। আজ যেটা স্বদেশ রাত পোহাতেই সেটাই হয়ে গেল বিদেশ-বিভুঁই। ইতিহাসের এই মর্মান্তিক দৃশ্য এই উপমহাদেশের মানুষ দেখেছেন, বিশেষ করে বাংলার এবং পাঞ্জাবের। এক জায়গা থেকে রেলগাড়ি বোঝাই শবদেহ ছুটে গেছে একশো মাইল দূরে। সেখান থেকে আরেকটা রেলগাড়ি এসেছে, তাতেও অগণিত মানুষের কাটা হাত-পা মাথা। এই সব কথা কী করেই বা ভোলা যায়! কেউ-বা বলবেন, কে আর হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে চায়। বেদনায় যখন হৃদয় ভারী তখন অবধারিতভাবেই এসে যায় লেখক-শিল্পীদের কথা। তাঁদের সৃষ্টিকাজে ভাষা পায় আমাদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা। আর কী আশ্চর্য এই হেমন্ত ঋতুতেই আশ্চর্য এক ত্রিভুজ নির্মিত হয়েছে। ২২ অক্টোবর ১৯৫৪ ট্রাম দুর্ঘটনায় মারা যান জীবনানন্দ, দস্তয়েভস্কি একজন নভেম্বরিয়ান আর ৪ নভেম্বর ১৯২৫ জন্ম ঋত্বিককুমার ঘটকের জন্ম।

এতদিনের অভ্যাসে দেশভাগের কথা উঠলে ঋত্বিকের প্রসঙ্গ এসে পড়া আমরা নিজেদের কাজকর্মের অন্তর্গত করেছি। তবে এটাও খুব দুর্ভাগ্যজনক যে, ঋত্বিকের ছবিতে আমরা দেশভাগের মর্মন্তুদ আখ্যান টুকুই খোঁজার চেষ্টা করলাম।

ঋত্বিকের সমসাময়িক আরেক দিকপাল জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র (যিনি মেঘে ঢাকা তারা এবং কোমল গান্ধার ছবি দুটির আবহ সংগীত নির্মাণ করেছেন) এই বিষয়ে বলেছেন, দেশভাগ নিয়ে ঋত্বিকের কাজে নস্টালজিয়া আছে, আছে ফিক্সেশন আছে। কিন্তু ওই বিচ্ছিন্নতাবোধের মধ্যে আধুনিকতার সংকটকে ঋত্বিক যেভাবে ধরেছে তা অবিস্মরণীয়। ঋত্বিক কী ভেবেছিল, সামাজিক সংগ্রাম, সংঘর্ষ পেরিয়ে কি স্বপ্ন সে দেখতো, নিজের সময়ের চেয়ে কত দূর এগিয়ে সে ভেবেছিল, শুধু ভাবা নয়, আঙ্গিক বিন্যাসে যে বৈপ্লবিক কাণ্ড-কারখানা করেছিল আমরা কী তা আজও ধরতে পেরেছি? এর পরেই জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রের সেই বিখ্যাত উক্তি, ঋত্বিক ঘটক আধুনিক সময়ে একজন অবিসংবাদী শ্রেষ্ঠ শিল্পী। শুধু ফিল্মমেকার নয়, আমাদের শিল্পভাবনাকে সে কয়েক যোজন এগিয়ে দিয়েছে। তার ছবির মধ্যে আনরিজলভড্ এবং অনুক্ত কতগুলি বিষয়বিন্যাস আছে। সচেতনভাবেই সেগুলো সে ঘটিয়েছে। এগুলো বার বার দেখতে হবে। বার বার বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এই সব প্রতীক বা বিন্যাস অভূতপূর্ব, অভাবনীয় এবং দারুণ বলিষ্ঠ।

মেঘে ঢাকা তারা, কোমল গান্ধার এবং সুবর্ণরেখা এই তিনটি ছবিকে প্রধানত দেশভাগ ত্রয়ী বা পার্টিশন ট্রিলজি বলা হয়। তা সত্ত্বেও বলতে হবে, ‘যুক্তি, তক্ক, গপ্পো’ ছবির একটা বড়ো সংকট এখানে যে ছবির প্রধান চরিত্র নীলকণ্ঠ বাগচী একটা প্লেসমেন্ট খুঁজছে। এই প্লেসমেন্টের অর্থ চাকরি বা গতানুগতিক জীবনে সেটলড্ হওয়া নয়, জীবনকে সে দেখতে চাইছে তার প্রশ্নগুলোর মধ্যে দিয়ে। তাঁর শিল্পভাবনার মধ্যে দিয়ে। দস্তয়েভস্কি লিখেছিলেন, পৃথিবীতে চিরদিনই কিছু মানুষ থাকে যারা মিলিয়ন নিয়ে ভাবিত নয়, বরং তাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো নিয়ে তাদের যাবতীয় যন্ত্রণা, সমস্ত প্রচেষ্টা। বোম্বাই ছবির বড়ো বড়ো প্রযোজক, স্টার বার বার ছুটে এসেছেন ঋত্বিককুমার ঘটকের কাছে। কিন্তু নিজের শিল্প নিয়ে একচুল বোঝাপড়ার যেতে অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েছেন তিনি। সমসময়ের উপেক্ষাকে সহ্য করেছেন। ‘পথের পাঁচালি’র আগেই ‘নাগরিক’ নির্মিত হয়েছিল। কিন্তু সেন্সর বোর্ডের আপত্তিতে ঠিক সময়ে ছবিটি মুক্তি পায়নি! এসব সত্ত্বেও আজ জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্রের ওই কথাটি বার বার বলার সময় এসেছে, আধুনিকতাকে বুঝতে গেলে এই সময়ের সংকটকে বুঝতে গেলে যেসব চিন্তক, শিল্পীদের কাছে বার বার নতজানু হতে হবে, ঋত্বিক তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রধান।

সংগ্রমী মা মাটি মানুষ পত্রিকা ২৭ অক্টোবর ২০১৭ সংখ্যায় প্রকাশিত


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন