রবিবার | ৪ঠা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:২৬
Logo
এই মুহূর্তে ::
তরল সোনা খ্যাত আগর-আতর অগুরু : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সাদা-কালো রীল’ গঙ্গার জন্য লড়াই, স্বার্থান্বেষীদের ক্রোধের শিকার সাধুরা : দিলীপ মজুমদার সিন্ধুসভ্যতার প্রধান মহার্ঘ রপ্তানিদ্রব্য কস্তুরী : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি রোহিঙ্গা সংকট ও মানবিক করিডোর : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন রামকৃষ্ণ মিশন মানে ধর্মকর্ম নয়, কর্মই যাঁদের ধর্ম তাঁরাই যোগ্য : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে সিংহবাহিনী মন্দির, নবগ্রাম (ঘাটাল) : কমল ব্যানার্জী পরিবেশ মেলা ২০২৫ : ড. দীপাঞ্জন দে মন্দির-রাজনীতি মন্দির-অর্থনীতি : দিলীপ মজুমদার স্বাধীনতা-সংগ্রামী মোহনকালী বিশ্বাস স্মারকগ্রন্থ : ড. দীপাঞ্জন দে অক্ষয়তৃতীয়া, নাকি দিদিতৃতীয়া : অসিত দাস আরএসএস-বিজেপি, ধর্মের তাস ও মমতার তৃণমূল : দিলীপ মজুমদার সাবিত্রি রায় — ভুলে যাওয়া তারার খোঁজে… : স্বর্ণাভা কাঁড়ার ছ’দশক পর সিন্ধু চুক্তি স্থগিত বা সাময়িক অকার্যকর হওয়া নিয়ে প্রশ্ন : তপন মল্লিক চৌধুরী বিস্মৃতপ্রায় বঙ্গের এক গণিতবিদ : রিঙ্কি সামন্ত অসুখবেলার পাণ্ডুলিপি : পুরুষোত্তম সিংহ বাবু-ইংরেজি আর সাহেবি বাংলা : মাহবুব আলম সিন্ধুসভ্যতার ফলক ও সিলে হরিণের শিং-বিশিষ্ট ঋষ্যশৃঙ্গ মুনি : অসিত দাস বৈশাখ মাসে কৃষ্ণপক্ষে শ্রীশ্রীবরুথিনী একাদশীর ব্রতকথা মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত সিন্ধুসভ্যতার লিপি যে প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার অকাট্য প্রমাণ : অসিত দাস বাঙালির মায়াকাজল সোনার কেল্লা : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ : রিঙ্কি সামন্ত ফের আমেদাবাদে হিন্দুত্ববাদীদের অন্য ধর্মের উপর হামলা : তপন মল্লিক চৌধুরী লোকসংস্কৃতিবিদ আশুতোষ ভট্টাচার্য ও তাঁর চিঠি : দিলীপ মজুমদার নববর্ষের সাদর সম্ভাষণ : শিবরাম চক্রবর্তী নববর্ষ গ্রাম থেকে নগরে : শিহাব শাহরিয়ার ফিরে আসছে কলের গান : ফজলুল কবির সিন্ধুসভ্যতার ফলকে খোদিত ইউনিকর্ন আসলে একশৃঙ্গ হরিণ : অসিত দাস একটু রসুন, রসুনের কথা শুনুন : রিঙ্কি সামন্ত ১২ বছর পর আরামবাগে শোলার মালা পরিয়ে বন্ধুত্বের সয়লা উৎসব জমজমাট : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

শাহরিয়ার কবিরকে মুক্তি দিন : লুৎফর রহমান রিটন

লুৎফর রহমান রিটন / ১২৯ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫

সত্তরের দশকের সূচনায় যখন আমি লেখার জগতে আসি তখন বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যের সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় লেখকের আসনটি ছিলো শাহরিয়ার কবিরের। শাহরিয়ার কবিরের প্রতিটি গল্প উপন্যাস জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ছিলো বরাবরই। কয়েকটি প্রজন্ম বিকশিত হয়েছে শাহরিয়ার কবিরের গল্প উপন্যাস পড়ে।

আমাদের শিশুসাহিত্য একজন শাহরিয়ার কবিরের অপরূপ রচনাসম্ভারে সমৃদ্ধ।

স্মৃতি থেকে কয়েকটি বইয়ের নাম এখানে পেশ করতে পারি। আমি জানি আমার বন্ধুদের অধিকাংশই এই বইগুলোর মুগ্ধ পাঠক ছিলেন একদা।

বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যের উজ্জ্বল সম্পদ হিশেবে বহুকাল ধরে দীপ্তি ছড়াবে শাহরিয়ার কবিরের এই বইগুলো—

নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়, হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা, একাত্তরের যীশু, নিকোলাস রোজারিওর ছেলেরা,আবুদের অ্যাডভেঞ্চার, পুবের সূর্য, পাথারিয়ার খনি রহস্য, আলোর পাখিরা, সীমান্তে সংঘাত, মিছিলের একজন, সাধু গ্রেগরীর দিনগুলি, হানাবাড়ির রহস্য, ব্যভারিয়ার রহস্যময় দুর্গ, লুসাই পাহাড়ের শয়তান, একাত্তরের পথের ধারে, বার্চবনে ঝড়, নিশির ডাক, কিংবা কার্পথিয়ানের কালো গোলাপ।

বাংলাদেশের শিশুকিশোরদের দুর্ভাগ্য ছোটদের প্রিয় লেখক শাহরিয়ার কবির একটা পর্যায়ে এসে ধীরে ধীরে দূরে সরে গেছেন গল্প উপন্যাস থেকে। ক্রমে ক্রমে তিনি হয়ে উঠেছেন বড়দের লেখক। বয়স্কজনপাঠ্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার ইতিহাসসম্পৃক্ত রচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তিনি। যুক্ত হলেন রাজনীতির সঙ্গে। ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি নামে একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্মে জড়িয়ে থাকলেন বছরের পর বছর। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রাখলেন শহিদ জননী জাহানারা ইমামের সঙ্গে।

এই সময়টায় রাজপথের আন্দোলনের পাশাপাশি তিনি লিখেছেন অনেকগুলো বড়দের উপযোগী বই। ১৯৮৭ সালে তাঁর যৌথ সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিলো ‘একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায়’ নামের ঐতিহাসিক বইটি।

সকলেই জানেন, দীর্ঘকাল ধরে অসুস্থ লেখক শাহরিয়ার কবির। একুশের বইমেলায় একটি স্যাটেলাইট টিভির পক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান ‘বইমেলা সরাসরি’তে শাহরিয়ার কবিরের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম আমি ২০০৯ সালে। তখনও তিনি বইমেলার মাঠে এসেছিলেন লাঠিতে ভর করেই। সেই শাহরিয়ার কবির এখন হুইল চেয়ারে চলাচল করেন। উঠে দাঁড়াতে কিংবা হাঁটতেও পারেন না অন্যের সহায়তা ছাড়া। তাঁকে একটি খুনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলখানায় আটকে রেখেছে ইউনুস সরকার। ইতোমধ্যে একাধিকবার তাঁকে নেয়া হয়েছে রিমান্ডে। খুনের মামলাটি সঠিক না বেঠিক সেই তর্কে না যাই। জেলখানায় একজন সিনিয়র সিটিজেন হিশেবে প্রাপ্য ডিভিশন-সম্মান-মর্যাদা এবং চিকিৎসাসেবা থেকেও তিনি বঞ্চিত।

শাহরিয়ার কবিরকে জামিন দিলে তিনি পালিয়ে যাবেন বা পালাতে পারবেন এমনটা অসম্ভব জেনেও জেলখানার ঠান্ডা ফ্লোরে তাঁকে দিন কাটাতে হচ্ছে একটি কম্বল সম্বল করে, একজন সাধারণ কয়েদীর মতো।

শাহরিয়ার কবির কোনো সাধারণ কয়েদী নন।

ন্যূনতম সম্মান ও মর্যাদা তাঁর প্রাপ্য।

চলাচলে অক্ষম একজন সিনিয়র সিটিজেন শাহরিয়ার কবিরের ওপর আরোপিত হত্যা মামলাটি অবিশ্বাস্য এবং হাস্যকর।

শাহরিয়ার কবিরকে মুক্তি দিন।

অটোয়া ০৮ এপ্রিল ২০২৫

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলায় সরাসরি সম্প্রচারিত ‘বইমেলা সরাসরি’ অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত লেখক শাহরিয়ার কবিরের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন লুৎফর রহমান রিটন। ছবিতে অন্যান্যের সঙ্গে লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং ফরহাদ খানকে দেখা যাচ্ছে। সময়কাল ২০০৯ ।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন