রবিবার | ২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:২৬
Logo
এই মুহূর্তে ::
পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের অনবদ্য সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি : মনোজিৎকুমার দাস কঠোর শাস্তি হতে চলেছে নেহা সিং রাঠোরের : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন : শান্তা দেবী বাঙালি মুসলমান সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা : ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সিন্ধু সভ্যতার ভূখণ্ড মেলুহা-র সঙ্গে বাণিজ্যে মাগান দেশ : অসিত দাস তদন্তমূলক সাংবাদিকতা — প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি : দিলীপ মজুমদার হেমন্তকুমার সরকার ও নজরুল-স্মৃতিধন্য মদনমোহন কুটির : ড. দীপাঞ্জন দে রামমোহন — পুবের সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলে গেলেও শেষ জীবনে পিছু ছাড়েনি বিতর্ক : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাওবাদী দমন না আদিবাসীদের জমি জঙ্গল কর্পোরেট হস্তান্তর : তপন মল্লিক চৌধুরী জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শ্রী অপরা একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত পর্যটন মানচিত্রে রামমোহনের জন্মভূমিতে উন্নয়ন না হওয়ায় জনমানসে ক্ষোভ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সংগীতে রবীন্দ্রনাথ : সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গোয়ার সংস্কৃতিতে সুপারি ও কুলাগার কৃষিব্যবস্থা : অসিত দাস পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও, চিয়ার লিডার এবং ফানুসের শব : দিলীপ মজুমদার ক্যের-সাংরী কথা : নন্দিনী অধিকারী সুপারি তথা গুবাক থেকেই এসেছে গোয়ার নাম : অসিত দাস রোনাল্ড রসের কাছে জব্দ ম্যালেরিয়া : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় উনিশের উত্তরাধিকার : শ্যামলী কর কেট উইন্সলেটের অভিনয় দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার ৩টি চলচ্চিত্র : কল্পনা পান্ডে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলা — আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংকট : সুব্রত কুমার দাস সিন্ধুসভ্যতার ভাষা যে ছিল প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার প্রমাণ মেলুহা তথা শস্যভাণ্ডার : অসিত দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস ভারতের সংবিধান রচনার নেপথ্য কারিগর ও শিল্পীরা : দিলীপ মজুমদার চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (পঞ্চম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস আলোর পথযাত্রী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (চতুর্থ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

মমতার স্পষ্ট বার্তা — আগে বাংলার মানুষ আলু খাবে, তারপর বাইরে পাঠানো হবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ১৯৯ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা — আগে বাংলার মানুষ আলু খাবে, তারপর বাইরে পাঠানো হবে। বাজারে আলুর দাম যাতে না বাড়ে তার জন্য চলছে নজরদারি। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের কড়া বার্তাও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে বাইরে আলু রফতানি করা যাবে না।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে আলুর দাম কমাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর আলু রফতানি করা যাবে না বলে এবার বিধানসভায় কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলু রফতানি নিয়ে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়েছিলেন, রাজ্যকে অন্ধকারে রেখে আলু রফতানি করা যাবে না। চাহিদার অতিরিক্ত যা উৎপাদন হবে তা কিনে নেবে রাজ্য। আগে বাংলার মানুষ আলু খাবে, তারপর বাইরে পাঠানো হবে। এদিকে বাজারে আলুর দাম যাতে না বাড়ে তার জন্য চলছে নজরদারি। সেই সঙ্গে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের কড়া বার্তাও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি বিধানসভাতেও উঠে আসে আলু-পেঁয়াজের রফতানির প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আগে বাংলার মানুষ আলু খাবে, তারপর বাইরে পাঠানো যাবে। মুখ্যমন্ত্রী মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করেন। এদিকে, খাদ্য দফতরের প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে প্রশাসনিক প্রধান জানান, “আমরা কেন্দ্রের থেকে চালের ভর্তুকি বাবদ ১৪ হাজার কোটি টাকা পাই। আমাদেরকেও ৪০% টাকা দিতে হয়। আট কোটির মধ্যে অনেকেই আছেন তারা চাল পান না কেন্দ্রের থেকে। নানা কারণ আছে না পাওয়ার। সেই কারণেই রাজ্যের খাদ্যসাথী প্রকল্প চলছে। আগে আমাদের কাজ মানুষকে খাবার দেওয়া।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একইসঙ্গে স্পষ্ট করেন, সবটা রাজ্যের হাতে নেই।ব্যবসায়িক মুনাফার কথাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আলু নিয়ে দেখলেন তো, কিছু লোক ব্যবসার জন্য কি কাজ করে দেখছেন তো? আগে ঘর সামলাব, না কি ব্যবসা দেখব কারও। আগে বাংলা পাবে, আগে ঘর সামলাব। বাংলায় মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে কম।” এটা মনে রাখতে হবে।

এদিকে আলুবীজের দাম আকাশছোঁয়া। তার উপর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের। আলু চাষ নাবি হয়ে পড়বে। আর তা হলে রোগপোকার আক্রমণ ও ধ্বসার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তাই বেশিরভাগ আলু চাষির চাষে অনীহা প্রকাশ পেয়েছে। এরফলে দুশ্চিন্তা বেড়েছে বীজ ব্যবসায়ীদেরও। কারণ, আলুবীজ বিক্রি একেবারে কমে গিয়েছে। চাষিদের পাশাপাশি বীজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের কবলে পড়েছেন। চাঁপাডাঙার বর্ধিষ্ণু চাষি সুনীত মাইতি জানান, প্রতি বছর আমি দশ বিঘা জমিতে আলু বসাই। এবার মাত্র তিন বিঘা জমিতে আলু বসিয়েছি। জানি না কী হবে। আশঙ্কায় আছেন। তাছাড়া পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রেও একই ক্ষতির ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।

প্রসঙ্গত, এখন চলছে আলু চাষের মরশুম। এই সময় জ্যোতি আলুর বীজ (৫০ কেজির প্যাকেট) বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ টাকায়। চন্দ্রমুখী আলুর বীজ বিকোচ্ছে ৩৫০০ টাকায় এবং পোখরাজ আলুর বীজের দাম পড়ছে ২২০০ টাকা। দাম শুনে অনেক কৃষক এবার আলু বসানোর পরিকল্পনাই বাতিল করছেন। আরামবাগের চাষি মধুসুদন ঘোষ বলেন, ‘চাষ করব না। যেভাবে সব জিনিসের দাম বাড়ছে, তাতে ক্ষতি ছাড়া লাভ হওয়ার আশা নেই। বীজের দাম আগে কখনও এতটা হয়নি। আলুবীজ ব্যবসায়ী অশোক পাল বলেন, এবার বীজ কেনার চাহিদা একেবারে তলানিতে। আমাদের মতো ছোট বীজ ব্যাবসায়ীর ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি। মোটা টাকা দিয়ে বীজ কিনে এনেছিলাম। ভেবেছিলাম কিছু টাকা রোজগার হবে। কিন্তু সব জলে যাবে মনে হচ্ছে। কারণ, দাম শুনেই তো অনেকে পিছিয়ে যাচ্ছে।’ একই কথা বলছেন আরেক ব্যবসায়ী সমীর দাস। তাঁর কথায়, ‘আলুবীজ বিক্রি হচ্ছে না এবার। তাই বীজ নষ্ট হতে বসেছে। শুকিয়ে যাচ্ছে আলু। আমরা ক্ষতির আশঙ্কায় দিন গুনছি। পেঁয়াজের বীজও বিক্রি করি। তার চাহিদাও এবার খুব কম।’ এবারের খামখেয়ালী আবহাওয়ায় চাষি ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন সঙ্কটে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন