রবিবার | ২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:৩৩
Logo
এই মুহূর্তে ::
পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের অনবদ্য সৃষ্টি ‘কবর’ কবিতার শতবর্ষ পূর্তি : মনোজিৎকুমার দাস কঠোর শাস্তি হতে চলেছে নেহা সিং রাঠোরের : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন : শান্তা দেবী বাঙালি মুসলমান সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা : ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সিন্ধু সভ্যতার ভূখণ্ড মেলুহা-র সঙ্গে বাণিজ্যে মাগান দেশ : অসিত দাস তদন্তমূলক সাংবাদিকতা — প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি : দিলীপ মজুমদার হেমন্তকুমার সরকার ও নজরুল-স্মৃতিধন্য মদনমোহন কুটির : ড. দীপাঞ্জন দে রামমোহন — পুবের সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলে গেলেও শেষ জীবনে পিছু ছাড়েনি বিতর্ক : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাওবাদী দমন না আদিবাসীদের জমি জঙ্গল কর্পোরেট হস্তান্তর : তপন মল্লিক চৌধুরী জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শ্রী অপরা একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত পর্যটন মানচিত্রে রামমোহনের জন্মভূমিতে উন্নয়ন না হওয়ায় জনমানসে ক্ষোভ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সংগীতে রবীন্দ্রনাথ : সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গোয়ার সংস্কৃতিতে সুপারি ও কুলাগার কৃষিব্যবস্থা : অসিত দাস পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও, চিয়ার লিডার এবং ফানুসের শব : দিলীপ মজুমদার ক্যের-সাংরী কথা : নন্দিনী অধিকারী সুপারি তথা গুবাক থেকেই এসেছে গোয়ার নাম : অসিত দাস রোনাল্ড রসের কাছে জব্দ ম্যালেরিয়া : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় উনিশের উত্তরাধিকার : শ্যামলী কর কেট উইন্সলেটের অভিনয় দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার ৩টি চলচ্চিত্র : কল্পনা পান্ডে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলা — আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংকট : সুব্রত কুমার দাস সিন্ধুসভ্যতার ভাষা যে ছিল প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার প্রমাণ মেলুহা তথা শস্যভাণ্ডার : অসিত দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস ভারতের সংবিধান রচনার নেপথ্য কারিগর ও শিল্পীরা : দিলীপ মজুমদার চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (পঞ্চম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস আলোর পথযাত্রী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (চতুর্থ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

কঠোর শাস্তি হতে চলেছে নেহা সিং রাঠোরের : দিলীপ মজুমদার

দিলীপ মজুমদার / ৫৩ জন পড়েছেন
আপডেট রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

সেই রকমেরই খবর। কঠোর শাস্তি হতে চলেছে নেহা সিং রাঠোরের। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলার পরে গত ২৫ এপ্রিল নেহা X-এ তাঁর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বলেন যে সরকারের অবহেলার কারণে পহেলগাঁওতে এই রকম ঘটনা ঘটেছে। তাঁর অভিযোগ বিহারের ভোটে এটিকে কাজে লাগানো হয়েছে। ঘটনাচক্রে পাকিস্তানের কয়েকজন সাংবাদিক নেহার পোস্টকে পুনরায় তাঁদের X-এ পোস্ট করেন। ব্যাপারটা কি কাকতালীয়? অনেকে এর মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে নেহার পরোক্ষ যোগের তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন।

উত্তর প্রদেশের অভয়প্রতাপ সিং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (BNS) ১০টি ধারা ও তথ্যপ্রযুক্তির ৬৯এ ধারায় নেহার বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করেছেন। তাঁকে ও তাঁর বাড়ির লোকজনকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভীত না হয়ে নেহা বলেছেন, ‘পহেলগাঁও’এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় সরকার এখনও পর্যন্ত কি করেছে? আমার বিরুদ্ধে এফ আই আর? যদি সাহস থাকে যান সন্ত্রাসীদের মাথা তুলে আনুন। আপনাদের ব্যর্থতার জন্য আমাকে দোষারোপ করার দরকার নেই… এটা গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্রে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে।’

শুধু তাই নয়। এই ঘটনা নিয়ে নেহা গান বেঁধেছেন — ‘চৌকিদার কায়ার বা’। সেই গানে তিনি ‘সাহেব’ সম্বোধন করে ভারতের প্রশাসনিক প্রধানকে বলেছেন : ‘সাহেব বউ-বেটিকে ধমকানো বন্ধ করুন। কথায় কথায় কেন এফ আই আর করেন? আমেরিকার নির্দেশে কেন হল সিজফায়ার? কেন বিশ্বের দরবারে নাক কাটা গেল ভারতের? সাহেব আমাকে গান গাইতে দাও … এটা তো লোকতন্ত্র … তাই গান গাওয়ার অধিকার আমার আছে … আমি আমজনতার একজন — কুর্সিতে যেমন বসাতে পারি, তেমনি সেখান থেকে টেনে নামাতেও পারি। আপনার ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতি অন্য জায়গায় ফোলান, আপনার লাল লাল চোখ চিনকে দেখান …. বউ-বেটিকে ধমকানো বন্ধ করুন সাহেব।’

১৯৯৭ সালে বিহারের কৈমুর জেলায় নেহার জন্ম। মধ্যবিত্ত পরিবার। বাবা এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। মা গৃহবধূ হলেও তাঁর গানের চর্চা ছিল। তিন ভাই বোনের মধ্যে নেহা সবচেয়ে ছোট। ২০১৮ সালে কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। হিমাংশু সিং-এর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। হিমাংশু একজন লেখক। ২০১৯ থেকে নেহা মোবাইল ফোনে গান রেকর্ড করে তাঁর ফেসবুকে আপলোড শুরু করেন। ভোজপুরি কবি ভিখারি ঠাকুর ও মহেন্দ্র মিশি ছিলেন তাঁর প্রেরণা। ভোজপুরি গান গাইলেও নেহা প্রচলিত ধারাকে অনুসরণ করেন নি। সমকালীন সমাজ ও রাজনীতির নানা ঘটনা তাঁর গানের বিষয়বস্তু। প্রচলিত ভোজপুরি গানের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল ‘রুচিহীনতা’, তাই নেহার বাড়ির লোক তাঁর ভোজপুরি গানের চর্চায় আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু তাঁরা দেখলেন তাঁদের মেয়ে ভোজপুরি গানের স্রোতকে অন্যপথে পরিচালিত করছে।

২০২০ সাল। মার্চ মাস। লকডাউনের পর অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে যন্ত্রণাকাতর হয়ে উঠলেন নেহা। শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা প্রকাশ করার জন্য তিনি চালু করলেন নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল। ২০২০ সালের মে মাসে। অচিরেই বিপুল জনপ্রিয়তা। তারপর ২০২০ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে নেহার ইউটিউবে প্রকাশ পেল ‘বিহার মে কা বা’ অর্থাৎ ‘বিহারে হচ্ছেটা কি?’ গানটি।

কেন তিনি প্রতিষ্ঠানবিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়লেন? নেহার উত্তর, ‘কিসি তো কুছ করনা থা’ অর্থাৎ ‘কারও তো কিছু করা দরকার ছিল’। শাসককে প্রশ্ন করার কথাই বলতে চেয়েছেন নেহা। এটা তো গণতন্ত্রের হকের কথা। সেই প্রশ্ন প্রকাশ পেল ২০২২ সালে ‘ইউপি মে কা বা’, ২০২৩ সালে ‘এমপি মে কা বা’ এবং ‘ইউপি মে কা বা — সেশন-২’তে। নেহা বলেছেন, ‘ম্যায়ে কভি সোচা হি নেহি কি ম্যায়ে কেয়া হু লেকিন ম্যায়ে খুদ কো জানকভি মানতি হু’ অর্থাৎ ‘আমি নিজেকে কিভাবে লেবেল করব তা নিয়ে কখনও খুব বেশি ভাবি নি, তবে নিজেকে আমি জনগণের কবি হিসেবে মনে করি।’

নেহা প্রমাণ করেছেন যে গানের শক্তি আছে। তা জনজাগরণের কাজে সাহায্য করতে পারে। আমাদের মনে পড়ে যায় এস্তোনিয়ার SONG REVOLUTION কথা। আমাদের এই বাংলাও তার জ্বলন্ত উদাহরণ। বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বন্দেমাতরম’ তো রণসংগীত হয়ে উঠেছিল। রণসংগীত হয়ে উঠেছিল রবীন্দ্রনাথের অনেক গান। ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে প্রেরণা দিয়েছে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুলপ্রসাদ সেন, নজরুল ইসলাম, মুকুন্দ দাস, রমেশ শীল, শেখ গুমহানি প্রভৃতির গান। তারপরে এল গণসংগীতের ধারা। সে সব গানে শ্রেণিস্বার্থভোগীদের স্বরূপ উন্মোচন করে তাদের প্রশ্ন করা শুরু হল। গত শতকের চল্লিশ ও পঞ্চাশ দশকে বাংলার গ্রাম ও শহরকে মাতিয়ে তুলেছিল হেমাঙ্গ বিশ্বাস, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, সুরেশ বিশ্বাস, সত্যেন সেন, সলিল চৌধুরী, কলিম শরাফির গণসংগীত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন