মঙ্গলবার | ২২শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:৫৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
নববর্ষের সাদর সম্ভাষণ : শিবরাম চক্রবর্তী নববর্ষ গ্রাম থেকে নগরে : শিহাব শাহরিয়ার ফিরে আসছে কলের গান : ফজলুল কবির সিন্ধুসভ্যতার ফলকে খোদিত ইউনিকর্ন আসলে একশৃঙ্গ হরিণ : অসিত দাস একটু রসুন, রসুনের কথা শুনুন : রিঙ্কি সামন্ত ১২ বছর পর আরামবাগে শোলার মালা পরিয়ে বন্ধুত্বের সয়লা উৎসব জমজমাট : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কোনিয়াকদের সঙ্গে দু’দিন : নন্দিনী অধিকারী স্বচ্ছ মসলিনের অধরা ব্যুৎপত্তি : অসিত দাস বাড়বে গরম, চোখের নানান সমস্যা থেকে সাবধান : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী আঠালো মাটি ফুঁড়ে জন্মানো শৈশব : আনন্দগোপাল হালদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত ওয়াকফ হিংসার জের কি মুর্শিদাবাদেই থেমে গিয়েছে : তপন মল্লিক চৌধুরী এক বাগদি মেয়ের লড়াই : দিলীপ মজুমদার এই সেনসরশিপের পিছনে কি মতাদর্শ থাকতে পারে : কল্পনা পাণ্ডে শিব কম্যুনিস্ট, বিষ্ণু ক্যাপিটেলিস্ট : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গায়ন’ থেকেই গাজন শব্দের সৃষ্টি : অসিত দাস কালাপুষ্প : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু হোক বাঙালি-অস্মিতার প্রচারযাত্রা : দিলীপ মজুমদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত পেজফোর-এর নববর্ষ বিশেষ সংখ্যা ১৪৩২ প্রকাশিত হল সিন্ধিভাষায় দ্রাবিড় শব্দের ব্যবহার : অসিত দাস সিন্ধুসভ্যতার জীবজগতের গতিপ্রকৃতির মোটিফ : অসিত দাস হনুমান জয়ন্তীতে নিবেদন করুন ভগবানের প্রিয় নৈবেদ্য : রিঙ্কি সামন্ত গল্প লেখার গল্প : হাসান আজিজুল হক ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (শেষ পর্ব) : জমিল সৈয়দ চড়কপূজা কি আসলে ছিল চণ্ডকপূজা : অসিত দাস অরুণাচলের আপাতিনি : নন্দিনী অধিকারী ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (সপ্তম পর্ব) : জমিল সৈয়দ শাহরিয়ার কবিরকে মুক্তি দিন : লুৎফর রহমান রিটন ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (ষষ্ঠ পর্ব) : জমিল সৈয়দ
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ইংরেজদের মুখের উপর জবাব পায়ের মাধ্যমে দিয়েছিলেন ফুটবলার নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ৪৯৮ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২২

সালটা ১৮৭৯। বর্তমান মোহনবাগান মাঠের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বয়সে তিনি তখন একজন বালক।হঠাৎ একটি বল রাস্তার উপর গড়িয়ে আসে। তিনি বলটিকে দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি লাথি মেরে মাঠে পাঠিয়ে দেন। সাহেবরা চিৎকার করে মাঠ থেকে বলেছিলেন, ‘কিক ইট বয়, কিক ইট’। ইনি হলেন বাঙালির মগজে ও মনে ফুটবলকে পরিচিত করার সর্বপ্রথম পুরুষ। এক কথায় ভারতীয় ফুটবলের জনক। আবার দর্শক ও খেলোয়ারদের কাছে ‘হুজুর’ নামেও পরিচিত। যার নাম নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী। এই কিংবদন্তী খেলোয়ারকে হয়তো অনেকে ভুলে গেছেন। ইংরেজ রাজত্বে বাঙালিদের ভীতু, কাপুরুষ ও অকর্মণ‍্য ভাবতো। এই ইংরেজদের মুখের উপর জবাব পায়ের মাধ‍্যমে দিয়েছিলেন ফুটবলার নগেন্দ্র। তিনিই বিশ্বের দরবারে ভারতীয় ফুটবলের বার্তা দিয়েছিলেন। আজ তাঁর ১৫৩ তম জন্মবার্ষিকী।

বাংলা-সহ দেশ জুড়ে কতটা তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ‍্য অর্পণ করবে সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। আদি নিবাস হুগলির খানাকুলের রাধানগর গ্রামে। যেখানে আধুনিক নবজাগরণের পথিকৃৎ রামমোহন রায় জন্মেছেন। সেখানেই আর এক কিংবদন্তি খেলোয়ারের আর্বিভাব। তাঁর এখানে কোনও স্মৃতিসৌধ নেই, ফলে শ্রদ্ধা জানানোরও কেউ নেই। তাঁর নামে এখানে কিছু গড়ে ওঠেনি। ফলে হতাশ এখানকার মানুষ। এমনকি এ রাজ‍্যেও উল্লেখযোগ্য তাঁর নামে কিছু হয়নি। এইক্ষেত্রে আমরা তাঁর স্মৃতির কাছে লজ্জিত। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নগেন্দ্রপ্রসাদ অজানা রয়ে যাবে। তিনি যে দাগ কেটে গেছেন দেশের বুকে, সে দাগ কেউ কখনও মছুতে পারবে না ঠিকই, কিন্তু সেই দাগের উপর আস্তরণ পড়বে। আমাদের দুর্ভাগ্য সেটাই আমাদের দেখতে হবে। আজ জন্মদিনে বড্ড বেশি করে সেদিনের ইতিহাস মনে পড়ছে। যেদিন নগেন্দ্রপ্রসাদ বুঝিয়ে দেন বাঙালির খালি পায়ে লাথি বুট — পরা লাথির চেয়ে অধিক শ্রেষ্ঠ।

জন্ম ২৭ অগাস্ট, ১৮৬৯। নগেন্দ্রপ্রসাদের বাবা সূর্যকুমার সর্বাধিকারী ফ‍্যাকাল্টি অফ মেডিসিনে প্রথম ভারতীয় ডিন ছিলেন। তাঁরই অনুপ্রেরণায় নগেন্দ্রপ্রসাদের খেলার মাঠে পা। কলকাতায় পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাকে ভালোবেসে ফেলেন। তাঁর উদ‍্যোগেই বাঙালি তো বটেই ভারতীয়দের মধ‍্যে ফুটবল জনপ্রিয় হয়। ফুটবলপ্রেমী ও খেলোয়ার হিসেবে নগেন্দ্রপ্রসাদের উল্লেখযোগ্য অবদান হল অনেকগুলি ক্লাব ও সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা।

প্রসঙ্গত, খুব কম সময়ের মধ‍্যে তিনি বাংলার অদ্বিতীয় সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে বিখ‍্যাত হন। তাঁর প্রতিষ্ঠা করা ওয়েলিংটন ক্লাব গড়েরমাঠে দেশীয় ব‍্যক্তিদের প্রথম খেলার তাঁবু। তিনি এই ক্লাবে ফুটবল, ক্রিকেট, রাগবি, হকি ও টেনিস খেলার ব‍্যবস্থা করেছিলেন। এছাড়া বয়েজ ক্লাব (ভারতের প্রথম ফুটবল সংগঠন), ফ্রেন্ডস ক্লাব, হাওড়া স্পোর্টিং ক্লাব, প্রেসিডেন্সি তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত সৃষ্টি। এই সমস্ত ক্লাবে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই খেলতে পারত। আবার তিনি ১৮৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত শোভাবাজার ক্লাবের সম্পাদক হয়েছিলেন। এখানেই থেমে যায়নি খেলার পথচলা। হাওড়াতে বন্ধু বামাচরণ কুণ্ডুর সঙ্গে ভারতের প্রথম ফুটবল প্রতিযোগিতা ‘ট্রেডস কাপ’ আয়োজন করেন। তাঁরই প্রচেষ্টায় ক্রিকেট হ‍্যারিসন শিল্ড প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল এবং সাহেবদের জন‍্য প্রতিষ্ঠিত ক্লাবে দেশীয়দের প্রতিযোগিতা করার রাস্তা খুলে গিয়েছিল। উল্লেখ্য, আই এফ এ শিল্ড গঠনে উদ‍্যোক্তাদের মধ‍্যে তিনি ছিলেন একমাত্র ভারতীয়।

প্রসঙ্গত, ১৮৯২ সালে শোভাবাজার ক্লাব ইউরোপীয় সমস্ত ক্লাবকে পরাজিত করে ফ্রেন্ডস কাপ জয় করে। পরের বছর অর্থাৎ ১৮৯৩ সালে আইএফএ শিল্ডে শোভাবাজার ক্লাব একমাত্র ভারতীয় দল হিসেবে অংশগ্রহণ করে। যার মধ‍্যমণি ছিলেন নগেন্দ্রপ্রসাদ। খেলাজীবনে ৭০০-র বেশি ম‍্যাচ খেলেন। কেবল ফুটবল নয়, পারদর্শী ছিলেন ক্রিকেটেও। তিনি প্রথম ভারতীয় বোলার যিনি ইংরেজদের সঙ্গে খেলায় ওভারহেডিং বোলিং করতে পারতেন। আবার বাঙালি যুবকদের নিয়ে রাগবি দল তিনিই প্রথম তৈরি করেছিলেন। এই কিংবদন্তি নগেন্দ্রপ্রসাদ ভারতীয় ফুটবলের জনক ও ক্লাব ফুটবলেরও পথিকৃৎ। জন্মদিনে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতেই হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন