সোমবার | ১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:২২
Logo
এই মুহূর্তে ::
চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (তৃতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস লোকভুবন থেকে রাজনীতিভুবন : পুরুষোত্তম সিংহ চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (দ্বিতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত রবীন্দ্রনাথের ইরান যাত্রা : অভিজিৎ ব্যানার্জি ঠাকুরকে ঠাকুর না বানিয়ে আসুন একটু চেনার চেষ্টা করি : দিলীপ মজুমদার যুদ্ধ দারিদ্র কিংবা বেকারত্বের বিরুদ্ধে নয় তাই অশ্লীল উন্মত্ত উল্লাস : তপন মল্লিক চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ, পঁচিশে বৈশাখ ও জয়ঢাক : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজী ও শান্তিনিকেতন : প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বাঙালী রবীন্দ্রনাথ : সৈয়দ মুজতবা আলী অনেক দূর পর্যন্ত ভেবেছিলেন আমাদের ঠাকুর : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথের প্রথম ইংরেজি জীবনী : সুব্রত কুমার দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (প্রথম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস শুক্লাম্বর দিঘী, বিশ্বাস করে দিঘীর কাছে কিছু চাইলে পাওয়া যায় : মুন দাশ মোহিনী একাদশীর ব্রতকথা ও মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত নিজের আংশিক বর্ণান্ধতা নিয়ে কবিগুরুর স্বীকারোক্তি : অসিত দাস ঝকঝকে ও মজবুত দাঁতের জন্য ভিটামিন : ডাঃ পিয়ালী চ্যাটার্জী (ব্যানার্জী) সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা : লুৎফর রহমান রিটন সংস্কৃতি জগতের এক নক্ষত্রের নাম বসন্ত চৌধুরী : রিঙ্কি সামন্ত আংশিক বর্ণান্ধতাজনিত হীনম্মন্যতাই রবীন্দ্রনাথের স্কুল ছাড়ার কারণ : অসিত দাস পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ কি অবশ্যম্ভাবী : তপন মল্লিক চৌধুরী সাত্যকি হালদার-এর ছোটগল্প ‘ডেলিভারি বয়’ নব নব রূপে এস প্রাণে : মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য ভারতের সংবিধান লেখার সেই ঝর্না কলমটা… : দিলীপ মজুমদার গীতা রাজনৈতিক অস্ত্র নয়, ভারতাত্মার মর্মকথা : সন্দীপন বিশ্বাস সিন্ধুসভ্যতা ও সুমেরীয় সভ্যতায় কস্তুরীর ভূমিকা : অসিত দাস রবি ঠাকুর ও তাঁর জ্যোতিদাদা : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী তরল সোনা খ্যাত আগর-আতর অগুরু : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘সাদা-কালো রীল’ গঙ্গার জন্য লড়াই, স্বার্থান্বেষীদের ক্রোধের শিকার সাধুরা : দিলীপ মজুমদার
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ অক্ষয় তৃতীয়ার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ঠাকুরকে ঠাকুর না বানিয়ে আসুন একটু চেনার চেষ্টা করি : দিলীপ মজুমদার

দিলীপ মজুমদার / ১২৮ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

ঠাকুরকে আমরা ঠাকুর বানিয়েছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের কাছে ঠাকুর, দেবতা। দেবতা হতে রবীন্দ্রনাথ অসচেতনভাবে সাহায্য করেছেন আমাদের। তাঁর দীর্ঘ, গৌরবর্ণ দেহ, তাঁর লম্বা দাড়ি, তাঁর জোব্বা—এসব সাহায্য করেছে। ইউরোপের মানুষ তো তাঁকে সন্ত বলে মনে করতেন। মানুষকে ঠাকুর ভাবলে সুবিধে আছে। তখন তাঁকে বুঝতে, চিনতে হয় না। তিনি তো ঠাকুর। তাঁর কোন ত্রুটি থাকতে নেই। মানুষ হিসেবে সীমাবদ্ধতা থাকতে নেই। ঠাকুরের আবার আলোচনা-সমালোচনা কিসের?

পঁচিশে বৈশাখ এলে বোঝা যায় আমরা কিভাবে রবীন্দ্রনাথকে ঠাকুর বানিয়েছি। দিকে দিকে অনুষ্ঠান। যেন পুজো। ব্যাপারটা রবীন্দ্রনাথ অনেক আগেই আঁচ করেছিলেন। না হলে লিখতেন না — ‘তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলে থাকি।’ এখন বেলা একটা বাজে। আমাদের পাড়ার ক্লাবে চলছে শতকণ্ঠে রবীন্দ্রবন্দনা। এই গরমেও সেজেগুজে ছেলে-মেয়ে এসেছে। একটা গান গাইবে, একটা আবৃত্তি করবে, সুযোগ পেলে একটা নাচ। তাই গরমকে উপেক্ষা করে অভিভাবকেরাও এসেছেন। রবীন্দ্রনাথের জন্য নয়, তাঁদের ছেলে-মেয়ের ‘পারফরমেন্স’ দেখার জন্য। এসবে রবীন্দ্রনাথের প্রচার হচ্ছে। ভালো কথা। কিন্তু আসল রবীন্দ্রনাথ যে চাপা পড়ে যাচ্ছেন।

আচ্ছা রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন একটু অন্যভাবে পালন করা যায় না? এই দিনে রবীন্দ্রনাথের বাছাই লেখা নির্জনে আমরা একটু পড়ার চেষ্টা করি না কেন? হইচই-এর মধ্যে নয়, একটি নির্জনভাবে তাঁর লেখার, বিশেষ করে গদ্য লেখার, উপর একটু চোখ বোলাই না কেন!

তবে রবীন্দ্রনাথ পড়া সহজ নয়। তাঁর রচনায় যে দীপ্তি, যে উপমা, যে অলংকার, যে বৈদগ্ধ্য আছে সহজে তার মর্মোদ্ধার করা যায় না। একদম ঠিক। তাই বারবার পড়তে হয়। ভাতঘুম দেওয়ার আগে উপন্যাস পড়ার মতো নয়, মনোযোগ দিয়ে পড়া।

কেন পড়ব রবীন্দ্রনাথ? শুধু রবীন্দ্রনাথই পড়ব কেন? আরও তো অনেক মনীষী আছেন। হ্যাঁ, আছেন বইকি। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মতো বর্তমানের গণ্ডি পেরিয়ে দূর ভবিষ্যতকে দেখার দৃষ্টি ছিল না তাঁদের অনেকেরই। মানুষকে নিয়ে, মানুষের ধর্মকে নিয়ে, মানুষের সমাজ কে নিয়ে, জাতিসমস্যা নিয়ে, প্রকৃতি ও পরিবেশ নিয়ে তাঁর ভাবনাগুলি এখনও প্রাসঙ্গিক। আসুন না, পঁচিশে বৈশাখ আমরা ‘গোরা’, ‘ছিন্নপত্র’. ‘রক্তকরবী’, ‘মানুষের ধর্ম’, ‘মুক্তধারা’, ‘কালান্তর’ পড়তে শুরু করি। তাঁর বক্তব্যকে বর্তমান প্রেক্ষিতে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করি। সংকীর্ণ দেশপ্রেম, প্রদেশিকতা, ভোগবাদী সভ্যতা, হিন্দু-মুসলমান সমস্যা, পরিবেশের সংকট, যন্ত্রের যন্ত্রণা হবে ওঠা, যুদ্ধ এসব সম্পর্কে তিনি যা বলেছিলেন তার যাথার্থ বুঝতে চেষ্টা করি।


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “ঠাকুরকে ঠাকুর না বানিয়ে আসুন একটু চেনার চেষ্টা করি : দিলীপ মজুমদার”

  1. Abhijit Banerjee says:

    ঈশ্বর বলতে যদি ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর হন আর ঠাকুর বলতে যদি রবীন্দ্রনাথ হন তবে আপত্তি নেই, কিন্তু উভয়ই ব্যাক্তি পূজার ঘোর বিরোধী ছিলেন তাই তাঁদের মূল্যায়ন অন্য ভাবেই হওয়া উচিত।
    আপনার বক্তব্য খুবই স্পষ্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন