শুক্রবার | ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ১০:৪৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
সিন্ধু সভ্যতার ভূখণ্ড মেলুহা-র সঙ্গে বাণিজ্যে মাগান দেশ : অসিত দাস তদন্তমূলক সাংবাদিকতা — প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি : দিলীপ মজুমদার হেমন্তকুমার সরকার ও নজরুল-স্মৃতিধন্য মদনমোহন কুটির : ড. দীপাঞ্জন দে রামমোহন — পুবের সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলে গেলেও শেষ জীবনে পিছু ছাড়েনি বিতর্ক : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাওবাদী দমন না আদিবাসীদের জমি জঙ্গল কর্পোরেট হস্তান্তর : তপন মল্লিক চৌধুরী জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শ্রী অপরা একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত পর্যটন মানচিত্রে রামমোহনের জন্মভূমিতে উন্নয়ন না হওয়ায় জনমানসে ক্ষোভ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সংগীতে রবীন্দ্রনাথ : সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গোয়ার সংস্কৃতিতে সুপারি ও কুলাগার কৃষিব্যবস্থা : অসিত দাস পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও, চিয়ার লিডার এবং ফানুসের শব : দিলীপ মজুমদার ক্যের-সাংরী কথা : নন্দিনী অধিকারী সুপারি তথা গুবাক থেকেই এসেছে গোয়ার নাম : অসিত দাস রোনাল্ড রসের কাছে জব্দ ম্যালেরিয়া : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় উনিশের উত্তরাধিকার : শ্যামলী কর কেট উইন্সলেটের অভিনয় দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার ৩টি চলচ্চিত্র : কল্পনা পান্ডে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলা — আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংকট : সুব্রত কুমার দাস সিন্ধুসভ্যতার ভাষা যে ছিল প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার প্রমাণ মেলুহা তথা শস্যভাণ্ডার : অসিত দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস ভারতের সংবিধান রচনার নেপথ্য কারিগর ও শিল্পীরা : দিলীপ মজুমদার চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (পঞ্চম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস আলোর পথযাত্রী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (চতুর্থ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস কন্নড় মেল্ল থেকেই সিন্ধুসভ্যতার ভূখণ্ডের প্রাচীন নাম মেলুহা : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (তৃতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস লোকভুবন থেকে রাজনীতিভুবন : পুরুষোত্তম সিংহ
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

তদন্তমূলক সাংবাদিকতা — প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি : দিলীপ মজুমদার

দিলীপ মজুমদার / ৬৮ জন পড়েছেন
আপডেট শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

সংবাদ মাধ্যম হল আমাদের গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সেই চতুর্থ স্তম্ভটির হাল হকিকত কি রকম? ভয়ে আর লোভে সেই চতুর্থ স্তম্ভের লোকজনেরা রাজাকে উলঙ্গ দেখেও চিৎকার করে বলছে : সাবাশ সাবাশ। রাজা বলছে, আমার গুণগান না করলে গর্দান যাবে, তাই সাবধান। অনেক মেইন স্ট্রিম মিডিয়া বুক ফুলিয়ে বলার চেষ্টা করে : আমরা স্বাধীন, স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়? সেসব কথার কথা।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকলে তবেই তো নির্ভীক হতে পারে। কোথায় সে স্বাধীনতা? ২০২৩ সালে রিপোর্টাস উইদাউট বর্ডার্সের প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অনুসারে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিচারে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান নেমে এসেছে ১৬১ তে। সাগরিকা ঘোষ, রবীশ কুমারের মতো কয়েকজন সাংবাদিক বলেছেন যে বিজেপি সরকারের সমালোচনা করায় সাংবাদিকদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়, হুমকি দেওয়া হয়। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৪০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, ১৯৮টি গুরতর আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে বহু মিডিয়া গোষ্ঠী সরাসরি আত্মসমর্পণ করেছে সরকারের কাছে। সরকারের স্তুতির সঙ্গে সঙ্গে মিথ্যে খবরের বন্যা তৈরি করে যাচ্ছে তারা। রবীশ কুমার এদেরই ‘গোদি মিডিয়া’ নাম দিয়েছেন। এসব মিডিয়া মৌলিক ইস্যুকে আড়াল করে, ধর্মীয় মেরুকরণ করে, বার বার মিথ্যে বলে মিথ্যেকে সত্যি করার চেষ্টা করে, বিরোধীদের উপর কলঙ্কলেপন করে যায় এবং এভাবে ক্রমাগত জনগণকে বিভ্রান্ত করে। গোদি মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকরা হলেন অঞ্জনা ওম কাশ্যপ (আজ তক/জি নিউজ), অর্ণব গোস্বামী (রিপাবলিক টিভি), অরুণ পুরী (ইণ্ডিয়া টুডে গ্রুপ), গৌতম আদানির এনডিটিভি, রাঘব বাহল (সি এন এন-নিউজ-১৮), রাহুল শিবশঙ্কর (টাইমস নাউ), রজত শর্মা (ইণ্ডিয়া টিভি), রাজীব চন্দ্রশেখর (রিপাবলিক টিভি), সুধীর চৌধুরী (আজ তক/জি নিউজ), সুরেশ চ্যবন (সুদর্শন নিউজ), সুরজিৎ ভাল্লা (স্বরাজ্য পত্রিকা), স্বপন দাশগুপ্ত (স্বরাজ্য পত্রিকা), ময়ূখরঞ্জন ঘোষ (রিপাবলিক বাংলা) প্রভৃতি। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক এঁদেরই ‘চিয়ার লিডার্স’ বলে ব্যঙ্গ করেছেন।

এই যখন অবস্থা, তখন কে করবে নিরপেক্ষ তদন্তমূলক সাংবাদিকতা? যে তদন্তে বেরিয়ে আসবে সরকারের স্বজন-পোষণ, দুর্নীতি, জনতার অর্থের নয়-ছয়! তবে হ্যাঁ, বিভিন্ন রাজ্যের অ-বিজেপি সরকারগুলির ক্ষেত্রে গোদি মিডিয়া ‘তদন্তমূলক সাংবাদিকতা’ করে বৈকি! সেই সব রাজ্যের সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য তদন্তের নামে রচনা করে যায় নানা মনগড়া কাহিনি। সেই সব রাজ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা যখন বিজেপিতে যোগ দেন, তখন ওয়াশিং মেশিনে তাঁদের পরিশুদ্ধ করে নেওয়া হয়।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে এই প্রশ্ন করেছিলেন পালাগুমি সাইনাথ। তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন নুথালাপতি ভেঙ্কট রমনা (২৪/০৪/২১-২৬/০৮/২২)। পালাগুমি সাইনাথ এলেবেলে লোক নন। তিনি বিরাট মাপের সাংবাদিক ও লেখক। গ্রামীণ ভারত, দারিদ্র্য, অর্থনৈতিক বৈষম্য, জাতিগত বৈষম্য, কৃষকদের প্রতিবাদ প্রভৃতি বিষয়ে নানা নিবন্ধ ও প্রতিবেদন লিখেছেন তিনি। ২০১৪ সালে তৈরি করেছেন ‘পিপলস আর্কাইভ অব রুরাল ইণ্ডিয়া’ নামে সংগঠন। সম্পাদনা করেছেন ‘দ্য হিন্দু’ নামক পত্রিকা। লিখেছেন ‘এভরিবডি লাভস আ গুড ড্রট’ নামে এক দুর্ধর্ষ বই। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের মতে তিনি — ‘one of the world’s great expert on famine and hunger’.

প্রধান বিচারপতি একদা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে তিনি তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘মিডিয়ার ক্যানভাস থেকে দিনকে দিন ফিকে হয়ে যাচ্ছে তদন্তমূলক সাংবাদিকতা ….তাবড় তাবড় সব কেচ্ছার কথা ফাঁস হচ্ছে খবরের কাগজের পাতায় পাতায়. সেসবের জন্য তীর্থের কাক হয়ে বসে থাকতাম ছোটবেলায়।

‘অতীতে আমরা দেখেছি কেমন করে কেলেঙ্কারির কথা খবরের কাগজে ফাঁস হওয়ার পর আলোড়ন পড়ে যেত চারদিকে, পরিণতির গুরুভার আটকানো যেত না।

‘আজকাল এমন কোন বড়সড় খবর চোখেই পড়ে না। এ দেশের বাগিচা যেন শুধুই সুবাসিত গোলাপের কেয়ারি।’

প্রধান বিচারপতির এই কথার সূত্র ধরেই সাইনাথ বলেছেন, ‘সাহেব, আপনি যদি আর এক পা এগিয়ে এটাও বলে দিতেন যে ঠিক কী কী কারণে আজ ভারতীব সাংবাদিকতার ষোল আনাই (সে তদন্তমূলক হোক বা অন্য কিছু) ডুবতে বসেছে, বড্ড খুশি হতাম।’

এরপর সাইনাথ নিজেই সেই কারণগুলি ব্যাখ্যা করেছেন :

১] কাঠামোগতভাবে মিডিয়ার মালিকানা আজ মুষ্টিমেয় কর্পোরেট পরিবারের পকেটে বন্দি, যাদের মগজে মুনাফা ছাড়া আর কিছু ঢোকে না।

২] স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার উপর যে হারে আজ রাষ্ট্রীয় অবদমন নেমে এসেছে, এমনটা এর আগে কেউ দুঃস্বপ্নেও ভাবে নি।

৩] নীতিবোধের অবক্ষয়, যে কারণে আজ প্রবীণ থেকে প্রবীণতর সাংবাদিকের দলও ক্ষমতার কলমচি হতে উঠে পড়ে লেগেছে।

সেই সঙ্গে সাইনাথ বিচার বিভাগের দিকেও আঙুল তুলেছেন : ‘স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা এমনভাবে তলানিতে ঠেকেনি এর আগে কখনও। তবে আমাদের বিচার ব্যবস্থা যদি চোখ থেকে ঠুলি সরিয়ে এ বাস্তবের মুখোমুখি হয়, তবে অবস্থার কিছুটা হলেও উন্নতি হতে পারে।’


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “তদন্তমূলক সাংবাদিকতা — প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি : দিলীপ মজুমদার”

  1. Abhijit Banerjee says:

    সন্দেহাতীত সত্য তথ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন