বুধবার | ২৩শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:০৩
Logo
এই মুহূর্তে ::
ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ : রিঙ্কি সামন্ত ফের আমেদাবাদে হিন্দুত্ববাদীদের অন্য ধর্মের উপর হামলা : তপন মল্লিক চৌধুরী লোকসংস্কৃতিবিদ আশুতোষ ভট্টাচার্য ও তাঁর চিঠি : দিলীপ মজুমদার নববর্ষের সাদর সম্ভাষণ : শিবরাম চক্রবর্তী নববর্ষ গ্রাম থেকে নগরে : শিহাব শাহরিয়ার ফিরে আসছে কলের গান : ফজলুল কবির সিন্ধুসভ্যতার ফলকে খোদিত ইউনিকর্ন আসলে একশৃঙ্গ হরিণ : অসিত দাস একটু রসুন, রসুনের কথা শুনুন : রিঙ্কি সামন্ত ১২ বছর পর আরামবাগে শোলার মালা পরিয়ে বন্ধুত্বের সয়লা উৎসব জমজমাট : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কোনিয়াকদের সঙ্গে দু’দিন : নন্দিনী অধিকারী স্বচ্ছ মসলিনের অধরা ব্যুৎপত্তি : অসিত দাস বাড়বে গরম, চোখের নানান সমস্যা থেকে সাবধান : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী আঠালো মাটি ফুঁড়ে জন্মানো শৈশব : আনন্দগোপাল হালদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত ওয়াকফ হিংসার জের কি মুর্শিদাবাদেই থেমে গিয়েছে : তপন মল্লিক চৌধুরী এক বাগদি মেয়ের লড়াই : দিলীপ মজুমদার এই সেনসরশিপের পিছনে কি মতাদর্শ থাকতে পারে : কল্পনা পাণ্ডে শিব কম্যুনিস্ট, বিষ্ণু ক্যাপিটেলিস্ট : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গায়ন’ থেকেই গাজন শব্দের সৃষ্টি : অসিত দাস কালাপুষ্প : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু হোক বাঙালি-অস্মিতার প্রচারযাত্রা : দিলীপ মজুমদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত পেজফোর-এর নববর্ষ বিশেষ সংখ্যা ১৪৩২ প্রকাশিত হল সিন্ধিভাষায় দ্রাবিড় শব্দের ব্যবহার : অসিত দাস সিন্ধুসভ্যতার জীবজগতের গতিপ্রকৃতির মোটিফ : অসিত দাস হনুমান জয়ন্তীতে নিবেদন করুন ভগবানের প্রিয় নৈবেদ্য : রিঙ্কি সামন্ত গল্প লেখার গল্প : হাসান আজিজুল হক ওড়িশার হীরক ত্রিভুজ : ললিতগিরি, উদয়গিরি ও রত্নগিরি (শেষ পর্ব) : জমিল সৈয়দ চড়কপূজা কি আসলে ছিল চণ্ডকপূজা : অসিত দাস অরুণাচলের আপাতিনি : নন্দিনী অধিকারী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

‘গ্রাম গ্রামান্তর’ পত্রিকা : দীপাঞ্জন দে

দীপাঞ্জন দে / ১৪৪২ জন পড়েছেন
আপডেট সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩

নদিয়া জেলা আগাগোড়াই শিক্ষা-সংস্কৃতির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এই জেলাকে চিন্তা ও মননের উর্বর ক্ষেত্র বলে অনেকেই মনে করে থাকেন। আর তার যথেষ্ট নজিরও রয়েছে। হিন্দু-মুসলিম সংস্কৃতির সমন্বয়ের জন্যেও এই জেলা বিশেষ ঐতিহ্য বহন করে আসছে। প্রায় পাঁচশত বছর আগে আবির্ভূত চৈতন্যদেবের আমল থেকেই প্রবাহিত এই ধারা। প্রসঙ্গত হুসেন শাহের আমলের একাধিক ঘটনা, কিংবা চৈতন্য ও চাঁদ কাজীর ঘটনাবহুল বিবরণ আমরা অনেকেই পড়েছি বা শুনেছি। এই জেলাতেই জন্ম লালন সাহ ফকিরের, কুবের গোঁসাইয়ের। কর্তাভজা, খুশি বিশ্বাসী, বলাহাড়ি, সাহেবধনী সম্প্রদায়ের মতো একাধিক গৌণ ধর্মের জন্ম এই জেলায়। এই জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগর। সেও এক সাংস্কৃতিক পীঠস্থান। এছাড়া এই জেলায় রয়েছে নবদ্বীপ, রানাঘাট, অনুলিয়া, ফুলিয়া, শান্তিপুরের মতো একাধিক জনপদ, যেখানে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষাচর্চার এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। কৃষ্ণনগর তো আধুনিক শিক্ষার অন্যতম কেন্দ্র কৃষ্ণনগর কলেজের ঐতিহ্যও বহন করে চলেছে।

আঞ্চলিক পত্র-পত্রিকার মধ্যে দিয়ে কোনো জায়গার শিক্ষা সংস্কৃতির অগ্রগতি, খবরা খবর, ইতিহাস যেমন জানা যায়, তেমনি সেই জায়গার শিক্ষা সংস্কৃতির বর্তমান রূপটিও প্রত্যক্ষ করা যায়। পত্র-পত্রিকার মধ্যে দিয়েই সেখানকার জ্ঞানবিদ্যা চর্চার এক ধরনের প্রকাশ ঘটে। প্রসঙ্গত কৃষ্ণনগরের একটি বিশেষ পত্রিকার কথা এখানে বলা যাক। কৃষ্ণনগর তথা নদিয়া জেলার একটি অন্যতম খবরের কাগজ হল ‘গ্রাম গ্রামান্তর’। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে এই কাগজটি প্রকাশ পাচ্ছে। এই কাগজের প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৭৭ সালে। নীহার ব্যানার্জীর উদ্যোগেই মূলত সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে ‘গ্রাম গ্রামান্তর’-এর পথচলা শুরু হয়। তবে প্রকাশক হিসেবে পত্রিকায় তাঁর নাম থাকত না। ‘গ্রাম গ্রামান্তর’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশক হিসেবে যার নাম থাকত, তিনি হলেন নির্মলা ব্যানার্জী। তিনি একজন গৃহবধূ এবং সম্পর্কে তিনি ছিলেন নীহার ব্যানার্জীর মেজ বৌদি। পত্রিকা প্রকাশ পেত কাঁঠালপোতা, কৃষ্ণনগর থেকে। আর এই পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন শতঞ্জীব রাহা। যিনি পরবর্তীতে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে বিশেষ পরিচিতি পান। যাইহোক, শুরুতে এই টিম নিয়েই ‘গ্রাম গ্রামান্তর’ পত্রিকার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়। ক্রমান্বয়ে ‘গ্রাম গ্রামান্তর’ কৃষ্ণনগরের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ কাগজ হয়ে ওঠে।

একসময় ‘গ্রাম গ্রামান্তর’ পত্রিকার জেলা জুড়ে প্রায় ত্রিশ জনের অধিক সাংবাদকর্মী ছিলেন, যারা পত্রিকার জন্য নিয়মিত সংবাদ সংগ্রহ করতেন। জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে ‘গ্রাম গ্রামান্তর’-এর বিশেষ সংখ্যা পাঠকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করত। স্থানীয় সিনেমা হল চিত্রমন্দির নিয়ে ‘গ্রাম গ্রামান্তর’-এর স্পেশাল ইস্যুটির কথাও বলতে হয়। ‘গ্রাম গ্রামান্তর’-এর সঙ্গে লেখক সঞ্জিত দত্তর নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি দীর্ঘদিন এই কাগজের সহ-সম্পাদক ছিলেন। পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশে সঞ্জিত দত্ত মুখ্য দায়িত্ব নিতেন। পরবর্তীতে এই কাগজের সম্পাদক হয়েছিলেন শচীন বিশ্বাস, যিনি শক্তিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের বাংলা শিক্ষক ছিলেন। গল্পকার হিসেবেও তিনি সুনাম অর্জন করেছিলেন। তারপর চন্দন সান্যাল সম্পাদক হন। আর আগাগোড়াই পত্রিকা প্রকাশে আর্থিক সহযোগিতা ছিল নীহার ব্যানার্জীর। বছরে একবার এই পত্রিকার বাৎসরিক সভা হত। শ্রদ্ধেয় নীহার ব্যানার্জী দীর্ঘ ২৮ বছর ‘গ্রাম গ্রামান্তর’ পত্রিকা চালানোর পর প্রবীরকুমার বসুকে দায়িত্বভার অর্পণ করেন। পত্রিকার নামে গচ্ছিত ৪০০ টাকাও হস্তান্তরিত হয়। ‘গ্রাম গ্রামান্তর’ ২০০৪ সাল থেকে পাক্ষিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে। আর তখন থেকেই এর সম্পাদক ও প্রকাশক প্রবীর কুমার বসু। ২০২৩ সাল থেকে বার্তা সম্পাদক হিসেবে পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত হন দীপাঞ্জন দে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে ‘গ্রাম গ্রামান্তর’ ৪৭তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই কালপর্বে একাধিক উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে চলেছে এই পত্রিকাটি। দীর্ঘ ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে ‘গ্রাম গ্রামান্তর’ কাগজ এখনো নিয়মিত প্রকাশ পেয়ে চলেছে। প্রতি মাসে পত্রিকার দুটি সংখ্যা পাঠকেরা হাতে পান। কৃষ্ণনগর থেকে কাগজটি প্রকাশ পায়। ‘গ্রাম গ্রামান্তর’-এর মতো যেকোনো ক্ষুদ্র পত্র-পত্রিকার সংগ্রামময় অস্তিত্বকে কুর্ণিশ জানাতেই হয়।

লেখক: বার্তা সম্পাদক, ‘গ্রাম গ্রামান্তর’ পত্রিকা।


আপনার মতামত লিখুন :

6 responses to “‘গ্রাম গ্রামান্তর’ পত্রিকা : দীপাঞ্জন দে”

  1. পলাশ মোদক says:

    ভালো লাগলো।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন