শুক্রবার | ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:০৪
Logo
এই মুহূর্তে ::
নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘অমৃতসরী জায়কা’ মহিলা সংশোধনাগারগুলিতে অন্তঃসত্ত্বা একের পর এক কয়েদি, এক বছরে ১৯৬ শিশুর জন্ম : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ‘শোলে’র পঞ্চাশ বছর : সন্দীপন বিশ্বাস বিভাজনের রাজনীতি চালিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা ইতিহাস পালটাতে চায় : তপন মল্লিক চৌধুরী অশোক সম্পর্কে দু-চারটে কথা যা আমি জানি : অসিত দাস চৈত্রের শুরুতেই শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে শুরু হলো সন্ন্যাস মেলা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় প্রথম বাঙালি পরিচালকের প্রথম নির্বাক লাভ স্টোরি : রিঙ্কি সামন্ত গোপিনী সমভিব্যাহারে রাধাকৃষ্ণের হোলি ও ধ্যানী অশোকবৃক্ষ : অসিত দাস শেখাওয়াটির হোলী-হাভেলী : নন্দিনী অধিকারী সংস্কৃত সাহিত্যে অশোকবৃক্ষ যখন দোহলী : অসিত দাস প্রাণগৌরাঙ্গের প্রিয় পঞ্চব্যঞ্জন : রিঙ্কি সামন্ত ‘দ্য স্টোরিটেলার’ — শিল্প এবং বাজারের মধ্যে দ্বন্দ্ব : কল্পনা পান্ডে অপুষ্টি আর দারিদ্রতা ঢাকতে সরকার আর্থিক উন্নয়নের পরিসংখ্যান আওড়ায় : তপন মল্লিক চৌধুরী দোহলী মানে অশোকবৃক্ষ, তা থেকেই দোল ও হোলি : অসিত দাস সিনেমা প্রেমীদের হোলির গান : রিঙ্কি সামন্ত দোলের আগের দিনের চাঁচর নিয়ে চাঁচাছোলা কথা : অসিত দাস খোল দ্বার খোল, লাগল যে দোল — দোলা লাগল কি : দিলীপ মজুমদার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত সিঙেরকোণ-এর রাধাকান্ত এখনও এখানে ব্যাচেলর : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বৃন্দাবন যাত্রা (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত বাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা দায় কার : তপন মল্লিক চৌধুরী বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ‘কুড়কুড়ে ছাতুতে’ ক্যানসার নিকেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বোলপুর কি সত্যিই বলিপুর : অসিত দাস রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন অসুখী রাজকন্যাদের লড়াইয়ের গল্প : রিঙ্কি সামন্ত বিশ্ব থেকে ক্যানসারকে নির্মূল করতে গবেষণায় একের পর এক সাফল্য রূপায়ণের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কল্পনার ডানায় বাস্তবের রূপকথা : পুরুষোত্তম সিংহ হাইকোর্টের রায়ে ভাবাদিঘীতে তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরুর নির্দেশ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমছে, সঙ্কটে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল : তপন মল্লিক চৌধুরী ফল্গু নদীর তীরে একটি ছোট শহর এই বুদ্ধগয়া : বিজয় চৌধুরী
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ দোলপূর্ণিমা ও হোলি ও বসন্ত উৎসবের  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

রাজ্যের কৃষকমান্ডিতে কৃষকদের ধান বিক্রিতে দালাল মুক্ত করার নির্দেশ সরকারের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ১৫৯ জন পড়েছেন
আপডেট শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

কৃষকদের জন্য বাজার। উৎপাদিত ফসল সরাসরি বিক্রির জন্য বিশেষ বাজার। নাম দেওয়া হয়েছে কিষাণমাণ্ডি। এখানে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল এনে রেখে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন। রাজ্য সরকারের সহায়তায় এর পরিবেশও তৈরি হয়েছে। উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্যের প্রতিটি ব্লক স্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। ‘মা মাটি মানুষ’-এর সরকার আসার পর কৃষকদের অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং চাষে উৎসাহ বাড়াতে অভিনবপস্থা সরকার গ্রহণ করেছে। রাজ্যে কৃষকরা যাতে দালালদের কিম্বা ফড়েদের হাত থেকে রক্ষা পান, এজন্য প্রতি ব্লকে গড়ে তোলা হয়েছে কিষাণমাণ্ডি। এই কিষাণমাণ্ডিতে কৃষকরা চাইলেই ঘর পাবেন। তার বিনিময়ে সামান্য ভাড়া দিয়ে উৎপাদিত পণ্য রোজ বিক্রির সুযোগ পাবেন। সরকারের একটাই লক্ষ্য, কৃষকদের উন্নতি ঘটাতে পারলে রাজ্য তথা সমগ্র দেশের অর্থনৈতিক শিরদাঁড়া মজবুত হবে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকদের কথা ভেবে এই বিশেষ বাজার গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে, যার নাম কিষাণমাণ্ডি। রাজ্য কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য রাজ্য জুড়ে প্রায় ৩৫০টি কিষাণমাণ্ডি গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ কিষাণমাণ্ডি  চালুও হয়ে গিয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য কৃষকদের ওপর বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু হয়েছে অনেক দিন আগেই। আলু চাষিদের জন্য পরিবহনে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। এছাড়া বন্যা, ঝড়-বৃষ্টি, খরা, পোকা-মাকড়ে ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির হলে চাষিদের এককালীন অর্থ ও কৃষি সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, কিষাণমাণ্ডিতে চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল রেখে দাম উঠলে কেনা-বেচা করতে পারেন, সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন রাখার ফলে ফসল যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য নতুন ৮৮টি কিষাণমাণ্ডিতে হিমঘর তৈরির কাজও চলছে। সবজি যাতে নষ্ট না হয়, দীর্ঘদিন রেখে বিক্রি করতে পারেন কৃষকরা। সরকারের এই বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিরা কিষাণমাণ্ডিতে উৎপাদিত পণ্য গুদামজাত করারও সুযোগ পাবেন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরে রাজ্যে প্রায় ১৯৭ লক্ষ টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার চাষিদের ফসল উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এছাড়া যন্ত্রপাতি ও চাষের অনুষঙ্গের জন্য ৭৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে ২০ লক্ষ টন দানাশস্য ও বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝখানে কোনও দালাল বা ফড়েরা যাতে নাক না গলায় এটাই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ব্লকস্তরে যেসব কিষাণমাণ্ডি গড়ে উঠেছে তার উদ্বোধনও হচ্ছে। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে যাতে সমস্ত কিষাণমাণ্ডি চালু হয়ে যায়, সেদিকে সরকার বিশেষভাবে নজরও দিয়েছে। তবে কৃষকদের অভিযোগ, অধিকাংশ কিষাণমাণ্ডিতে রাজনৈতিক নেতাদের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ। ঘর নিতে গেলে নেতাদের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। এমনকী বহু নেতা উৎকোচ গ্রহণ করছেন কৃষকদের কাছ থেকে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এটা প্রশাসনকে দেখতে হবে। কৃষকদের আরও অভিযোগ, কিষাণমাণ্ডিতে যে সমস্ত ঘর আছে, সেগুলি যাতে কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদিত পণ্য রেখে বিক্রি করতে পারেন সেটা আগে দেখা দরকার। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তার উল্টো চিত্র। এখনও নেতা-কর্মীদের দখলদারিতে কিষাণমাণ্ডি। ফলে কৃষকরাই বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা সরাসরি প্রশাসন হস্তক্ষেপ না করলে রাজ্য সরকারের স্বপ্ন বিফলে যাবে।

এদিকে চাষির কাছ থেকে সরকারের ধান কেনার সময় দালালের উপস্থিতি সম্পূর্ণ বন্ধ করার নির্দেশ দিল নবান্ন। চাষি যাতে তাঁর ন্যায্য প্রাপ্য পান, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ধান কেনা নিয়ে শুক্রবার নবান্নে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই সঙ্গে ন্যায্য দাম মেটানোও নিশ্চিত করতে হবে। দাম কেটে নেওয়ার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। এদিনের বৈঠক থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ধান ক্রয়কেন্দ্রের মধ্যে বা তার আশপাশ থেকে দালালদের হটাতেই হবে। নজরদারি বৃদ্ধিতে বাড়াতে হবে সিসিটিভির সংখ্যা। দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকেও বিশেষভাবে সক্রিয় থাকতে হবে ।

এদিন বৈঠকে জেলাশাসকরা এবং খাদ্যদপ্তরের জেলার অফিসাররা যোগ দেন ভার্চুয়ালি। গত বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুর্শিদাবাদের বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস ধানক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ সরাসরি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রী তখনই মুখ্যসচিবকে বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন। বিধায়কের অভিযোগ ছিল, ধান ক্রয়কেন্দ্রে দালাল চক্রের কারণে চাষিরা বঞ্চিত হচ্ছেন। দালাল চক্র সক্রিয় থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধান ক্রয়কেন্দ্রে নজরদারিতে যেতে হবে ডিএম-এসপি’কেও। জেলার বৈঠকে থাকবেন সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা। সরকারি সূত্রে খবর, কী মানের ধান নেওয়া হবে তা নির্দিষ্টভাবে বলা থাকে। যেমন ধানে আর্দ্রতার মাত্রা ১৭ শতাংশ পর্যন্ত থাকলে তা ঠিক আছে বলে ধরা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন