বৃহস্পতিবার | ১২ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:২৮
Logo
এই মুহূর্তে ::
তন্ত্র বিদ্যার বিশ্ববিদ্যালয় চৌষট্টি যোগিনীর মন্দির : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী মেসোপটেমিয়া ও সিন্ধুসভ্যতার ভাষায় ও স্থাননামে দ্রাবিড়চিহ্ন : অসিত দাস ধরনীর ধুলি হোক চন্দন : শৌনক দত্ত সিন্ধুসভ্যতার ভাষা মেসোপটেমিয়ার ব্যাবিলনের রাজা হামুরাবির নামে : অসিত দাস বিস্মৃতপ্রায় জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয় ভাষায় সিন্ধুসভ্যতার মেলুহার ভাষার প্রভাব : অসিত দাস বঙ্গতনয়াদের সাইক্লিস্ট হওয়ার ইতিহাস : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘ঝড়ের পরে’ ভালো থাকার পাসওয়ার্ড (শেষ পর্ব) : বিদিশা বসু গাছে গাছে সিঁদুর ফলে : দিলীপ মজুমদার ভালো থাকার পাসওয়ার্ড : বিদিশা বসু সলিমুল্লাহ খানের — ঠাকুরের মাৎস্যন্যায় : ভাষা-শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা : মিল্টন বিশ্বাস নেহরুর অনুপস্থিতিতে প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদও ৩৭০ অনুমোদন করেছিলেন : তপন মল্লিক চৌধুরী সিঁদুরের ইতিকথা আর কোন এক গাঁয়ের বধূর দারুণ মর্মব্যথা : দিলীপ মজুমদার সাহিত্যিকদের সংস্কার বা বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে শ্রীপাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশীর মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত দশহরার ব্যুৎপত্তি ও মনসাপূজা : অসিত দাস মেনকার জামাই ও জামাইষষ্ঠী : শৌনক ঠাকুর বিদেশী সাহিত্যিকদের সংস্কার ও বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভক্তের ভগবান যখন জামাই (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-এর ছোটগল্প ‘সময়ের প্ল্যাকটফর্ম’ গুহাচিত্র থেকে গ্রাফিটি : রঞ্জন সেন জামিষষ্ঠী বা জাময়ষষ্ঠী থেকেই জামাইষষ্ঠী : অসিত দাস কার্বাইডে পাকানো আম দিয়ে জামাইষষ্ঠীতে জামাই খাতির নয়, হতে পারে ক্যান্সার : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ভক্তের ভগবান যখন জামাই (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত কাশ্মীর নিয়ে বিজেপির নেহরুকে দোষারোপ ধোপে টেকেনা : তপন মল্লিক চৌধুরী রবীন্দ্র নাটকের দুই ট্র্যাজিক রাজা : শৌনক দত্ত কবির মৃত্যু : দিলীপ মজুমদার শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণের সপ্তসঙ্গিনী : স্বামী তেজসানন্দ মহারাজ দীঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টার স্ট্রোক : সন্দীপন বিশ্বাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই প্রভু জগন্নাথদেবের শুভ স্নানযাত্রার আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

মেসোপটেমিয়া ও সিন্ধুসভ্যতার ভাষায় ও স্থাননামে দ্রাবিড়চিহ্ন : অসিত দাস

অসিত দাস / ১৪০ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫

বিখ্যাত সিন্ধুসভ্যতা বিশেষজ্ঞ ফিনল্যান্ডের আস্কো পারপোলার মতে মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয় লিপি ও টেক্সটে উল্লিখিত মেলুহা আসলে সিন্ধুসভ্যতার ভূখণ্ড। এটি দ্রাবিড় মেল থেকে এসেছে বলে তাঁর বিশ্বাস। দ্রাবিড়ভাষায় মেল-এর অর্থ উচ্চভূমি, আকম-এর অর্থ অঞ্চল। যে জায়গা উঁচুতে অবস্থিত, তাই নাকি মেলআকম তথা মেলুহা।
যদিও আমার মতে প্রোটোদ্রাবিড়ীয় ‘মেল্ল’ থেকে এসেছিল মেলুহা নামটি। মেল্ল শব্দের অর্থ প্রাচুর্য, বহুলতা বা উদ্বৃত্ততা। সিন্ধুসভ্যতার ভূমির উর্বরতা ও শস্যের প্রাচুর্যের ফলে শস্য উদ্বৃত্ত হত, ফলে সেখানে গড়ে উঠেছিল বেশ কয়েকটি শস্যভাণ্ডার। তাই মেলুহা নামটির উৎপত্তি হয়। সুমেরীয় ভাষায় মেলুহা মানে শস্যভাণ্ডার।
“উর’ বা ‘উরু’ শব্দটি তামিলে “স্থান” বোঝাতে ব্যবহৃত হয় এবং এটি তামিলে উপসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয় “গ্রাম, শহর, জনপদ” বোঝাতে।
যেমন: কারুর, মেলুর, কালাম্বুর ইত্যাদি,- এগুলি সবই বর্তমান তামিলনাড়ুর শহরের নাম।
অন্য দ্রাবিড় ভাষা কন্নড়েও এর প্রচলন আছে স্থাননামে। যেমন কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু, মাইসুরু,ম্যাঙ্গালুরু ইত্যাদি।
একইভাবে “উর” শব্দটি মেসোপটেমিয়ার সুমেরিয়ান অঞ্চলেও শহরের নামে দেখা যায়। সুমেরিয়ার অন্যতম বড় শহর ছিল “উর”। অনেকের মতে এটিই পৃথিবীর প্রথম নগর।

মেসোপটেমিয়ানরা নিজেদের “আং সাং সিগা” নামে পরিচয় দিত, সুমেরিয়ান ভাষায় তার অর্থ “কালো চুলবিশিষ্ট মানুষ”। এটি তামিলে “আঞ্জন সিগাই” অর্থাৎ “কালো মাথা/চুল”-এর সঙ্গে মিলে যায়।

“ইউফ্রেটিস” নদী সুমেরিয়া দিয়ে প্রবাহিত হয়, এটি সুমেরিয়ান ভাষায় ছিল “ফ্রাত”, ব্যাবিলোনীয় ভাষায় “পাহু রথ” এবং হিব্রু ভাষায় “পুগু রাথ”।
“ফ্রাত” হলো “পাহু” ও “রথ” শব্দের মিশ্রণ। ফ্রাত মানে, “যেটা ভাগ করা হয়”। নদীটি এমন নামেই পরিচিত ছিল কারণ এর জল অনেক শহর-রাষ্ট্রের মধ্যে ভাগ করা হতো। এই “পাহু”, “রথ”, শব্দ দুটি তামিল সঙ্গম সাহিত্যেও “পাহুরলি” নামে ব্যবহৃত হয়েছে। “পাহু” শব্দটি, যার মানে ভাগ করা, সুমেরিয়ান ও তামিল উভয় ভাষায় একই রকম।
শিলপাদকারম-এ বলা হয়েছে,, “মা কীর্তি” নামক এক রাজা “পাহুরলি” নদীর তীরে প্রথম তামিল সঙ্গম গঠন করেছিলেন। এই “মা কীর্তি”-ই সুমেরিয়ার “এনকি” দেবতার সমতুল্য।


সুমেরিয়ার বড় শহরগুলোর একটি ছিল এরিডু,-যেটি দেবতা মারদুক তৈরি করেছিলেন। “এর” শব্দটি সুমেরিয়ান ভাষায় “মার” হিসেবেও উচ্চারিত হতে পারে এবং “এরিডু” হয়ে যায় “মারদু”—যা পরে রূপান্তরিত হয়ে “মাদুরাই” হয়েছে। তাই প্রচলিত একটি মতে, তামিলরা যখন দুই দেশের দুটি শহরে বসতি স্থাপন করেছিল, উভয়ক্ষেত্রে তারা মাদুরাইয়ে ঘাঁটি গেড়েছিল।
সুমেরিয়ান ফলকে বলা হয়েছে “মারদু” ছিল একটি শহর যেখানে “মিষ্টি মানুষ” বসবাস করত। ঠিক যেমন “মাদুরাই” শব্দের সাথেও মাধুর্যের ধারণা জড়িয়ে আছে।

দ্বিতীয় তামিল সঙ্গম কাপাদুপুরমে হয়েছিল। সুমেরিয়ার ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদী দুটি Y আকৃতিতে প্রবাহিত হয়, যেটি তামিলে “কাভাডু” বলা হয়। গ্রীকরাও সুমেরিয়াকে “দুই নদীর মাঝখানের দেশ” বলত, যা এই “কাভাডু” বা Y আকৃতিকে চিত্ররূপে প্রকাশ করে। দ্বিতীয় সঙ্গম এই নদীর উপকূলে, সম্ভবত যেখানে দুই নদী মিলিত হয়, সেখানে গঠিত হয়েছিল।
সুমেরিয়ার(মেসোপটেমিয়ার) প্রধান কর্মকাণ্ড ছিল বাণিজ্য এবং তারা মেলুহা ও দিলমুন-এর সাথে বাণিজ্য করত। এখানে “মেলুহা” হলো সিন্ধু সভ্যতা (IVC), আর একটি মতে “দিলমুন” বর্তমান দক্ষিণ ভারত(মতান্তরে বাহারিন)।
তবে আমার মতে গুজরাটের লোথাল বন্দর থেকে আরব সাগর হয়ে পারস্য উপসাগরের তীরে দিলমুন তথা আজকের বাহারিন যাওয়া যতটা সোজা ও বাস্তবসম্মত, গুজরাট থেকে ভারতের পশ্চিম উপকূল ধরে দক্ষিণভারতে এসে সেখান থেকে আবার পারস্য উপসাগর ধরে মেসোপটেমিয়া যাওয়া ছিল ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। যদিও এর সপক্ষেও যুক্তি থাকতে পারে। তাই উচ্চাকাঙ্ক্ষী গবেষকরা যতই দাবি করুন যে দিলমুন দক্ষিণ ভারত, তার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
মাগান নামক দেশের সঙ্গেও মেসোপটেমিয়ার বাণিজ্য-সম্পর্ক ছিল। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ মাগানকে বর্তমান ওমান ভাবলেও একটি মতে এটি ইরানের দক্ষিণ উপকূলের মাকরান বা মাক্কান। দ্রাবিড়ভাষায় মগান শব্দের অর্থ পুরুষ। পুরুষশাসিত অঞ্চল হওয়ায় অঞ্চলটির নাম হয় মাগান। তাই মাগান শব্দটি দ্রাবিড়ীয় ব্যুৎপত্তি দাবি করে। বাস্তবিকই ইরান(পূর্বের পারস্য) দেশটির মানচিত্রে মাগান নামক গ্রাম এখনও বর্তমান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন