বুধবার | ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৩:১৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
চাষিদের বাঁচাতে রাজ্যের সরাসরি ফসল কেনার দাওয়াই গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার মোদীর মিডিয়া ব্যস্ত কুম্ভের মৃত্যুমিছিল ঢাকতে : তপন মল্লিক চৌধুরী রেডিওকে আরো শ্রুতিমধুর করে তুলেছিলো আমিন সায়ানী : রিঙ্কি সামন্ত গোপাল ভাঁড়ের আসল বাড়ি চুঁচুড়ার সুগন্ধ্যায় : অসিত দাস প্রতুলদার মৃত্যু বাংলা গানের জগতে অপূরণীয় ক্ষতি — মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : সুমিত ভট্টাচার্য মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র ও গোপাল ভাঁড়, মিথ এবং ডিকনস্ট্রাকশন : অসিত দাস মহাকুম্ভ ও কয়েকটি প্রশ্ন : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভিয়েতনামের গল্প (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব কাশীকান্ত মৈত্রের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন : ড. দীপাঞ্জন দে অমৃতের সন্ধানে মাঘী পূর্ণিমায় শাহীস্নান : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (ষষ্ঠ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের যোগ : অসিত দাস ‘হরিপদ একজন বেঁটে খাটো সাদামাটা লোক’-এর গল্প হলেও… সত্যি : রিঙ্কি সামন্ত রোহিঙ্গা সংকট — ফেলে আসা বছর ও আগামীদিনের প্রত্যাশা : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (পঞ্চম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার ‘রাঙা শুক্রবার অথবা কহরকন্ঠ কথা’ উপন্যাস বিষয়ে শতদল মিত্র যা বললেন রবীন্দ্রনাথের ধর্মীয় পরিচয় : গোলাম মুরশিদ কেজরিওয়াল হারলো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অরাজকতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য : তপন মল্লিক চৌধুরী বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (চতুর্থ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সাহেব লেখক দেড়শো বছর আগেই বলেছিলেন পঞ্চানন কুশারীর কবিয়াল হওয়ার সম্ভাবনার কথা : অসিত দাস বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (তৃতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার সর্বপাপবিনাশীনি জয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (দ্বিতীয় পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বাজেটে সাধারণের জীবনমানের উন্নয়নের একটি কথাও নেই : তপন মল্লিক চৌধুরী শঙ্খ ঘোষ-এর ‘এখন সব অলীক’ নস্টালজিক অনুভূতি দিয়ে ঘেরা মায়াময় এক জগৎ : অমৃতাভ দে বাংলার নবজাগরণের কুশীলব (প্রথম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার কালো গোঁসাইয়ের চিঠি — চিঠিকেন্দ্রীক স্মৃতির পুনর্জীবন : মোঃ তুষার উদ্দিন নব নব রূপে : নন্দিনী অধিকারী সরস্বতীর বীণা কচ্ছপী ও গজকচ্ছপ বাঙালি বুদ্ধিজীবী : অসিত দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বসন্ত পঞ্চমী ও সরস্বতী পুজোর  আন্তরিক শুভেচ্ছা শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

চাষিদের বাঁচাতে রাজ্যের সরাসরি ফসল কেনার দাওয়াই গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ৯ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

এ রাজ্যে বহুজাতিক সংস্থা ও ফড়ে বা মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে চাষিদের বাঁচাতে এগিয়ে এল মা মাটি মানুষের সরকার। যা দেশে নজিরবিহীন ঘটনা। চাষিদের ফসলের ন্যায্য দাম পাওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে পঃবঃ সরকার এক জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিল। উদ্দেশ্য হল পুঁজিপতি ও বহুজাতিক সংস্থার হাত থেকে চাষিদের বাঁচাতে সরাসরি ফসল কেনার দাওয়াই রাজ্যের।

প্রসঙ্গত, দেশের কৃষি আইন-বহুজাতিক এবং স্থানীয় পুঁজিপতিদের এজেন্ডায় আমাদের ভয় এখন পেয়ে বসেছে। গত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘে একটি ফুড সিস্টেমস সামিট অনুষ্ঠিত হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল মালথুসিয়ান জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ এর আলোকে “টেকসই কৃষি” লক্ষ্যমাত্রার প্রেক্ষাপটে বিশ্ব কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন পুনর্গঠন করা। ভারতে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সাম্প্রতিক চরমপন্থী কৃষি আইন এই বৈশ্বিক এজেন্ডার অংশ। গত বছর সেপ্টেম্বরে রাজ্যসভায় তিনটি নতুন কৃষি আইন পাশ হওয়ার পর থেকে ভারতে কৃষকরা ব্যাপক বিক্ষোভে সরব হয়েছেন। মোদীর কৃষি সংস্কার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) এবং কৃষির জন্য তার নতুন ভিশন, জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ এর আলোকে ক্লাউস শোয়াবের গ্রেট রিসেটের অংশ। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার তিনটি নতুন আইন পাশ করেছে। যার ফলে কয়েক মাস ধরে জাতীয় কৃষক বিক্ষোভ এবং দেশব্যাপী ধর্মঘটের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। সারা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ থেকেই তিনটি আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই আইন বড় বড় কর্পোরেশনের জমি ক্রয় এবং কৃষি পণ্য মজুদ করে প্রাইস ম্যানিফুলেশনেরএবং কৃষি পণ্য মজুদ করে প্রাইস ম্যানিফুলেশনের উপর নিষেধাজ্ঞা অবসান ঘটাবে। তারা বৃহৎ বহুজাতিক ব্যবসাকে/কোম্পানি স্থানীয় বা আঞ্চলিক রাষ্ট্রীয় বাজার বাইপাস করার অনুমতি দেয় যেখানে কৃষকদের পণ্য সাধারণত নিশ্চিত মূল্যে বিক্রি করা হয়। এর ফলে ভারতের ভঙ্গুর খাদ্য শৃঙ্খলে কোটি কোটি প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র কৃষক এবং ক্ষুদ্র মধ্যস্থতাকারীধ্বংস হবে। এই আইন প্রনয়নের জন্য আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক ১৯৯০ সাল থেকে দাবি জানিয়ে আসছে। ভারতীয় কৃষি এবং কৃষিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্পোরেট কৃষি ব্যবসার মডেলে আনার জন্য যা কয়েক দশক থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। যেটা আমেরিকাতে করেছে রকফেলার ফাউন্ডেশন।

এখানে আমরা ডব্লিউইএফ এবং গেটস ফাউন্ডেশনের আমূল বিশ্বায়িত কৃষি এজেন্ডা খুঁজে পাচ্ছি। ডব্লিউইএফ এবং কর্পোরেট এক্টিভিস্ট — এই আইন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বেশ কয়েক বছরের প্রচেষ্টা এবং এর নিউ ভিশন ফর এগ্রিকালচার (এনভিএ)আইন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বেশ কয়েক বছরের প্রচেষ্টা এবং এর নিউ ভিশন ফর এগ্রিকালচার (এনভিএ) উদ্যোগের সরাসরি ফলাফল। ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ডব্লিউইএফ এবং এর এনভিএ আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং এশিয়া। এদের বড় লক্ষ্য হচ্ছে ভারত, যেখানে ১৯৬০-এর দশকে রকফেলার ফাউন্ডেশনের সবুজ বিপ্লবের চেষ্টার পর থেকে কৃষি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তীব্র হয়েছে। ডব্লিউইএফ গ্রেট রিসেটের জন্য, যা টেকসই কৃষির জন্য জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ নামে পরিচিত। এর উদ্দেশ্য হল ভারতের ঐতিহ্যবাহী কৃষি এবং খাদ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিতে হবে। খুদ্র কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বৃহৎ কৃষি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বিক্রি করতে বাধ্য থাকবে। এবং আঞ্চলিক বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সুরক্ষা ব্যবস্থা রহিত করা হবে। এটা “টেকসই” হবে, ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য নয়, বরং বিশাল কৃষি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর জন্য। এই এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডব্লিউইএফ (ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম) এনভিএ ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল নামে কর্পোরেট শক্তিশালী দল তৈরি করে।

ডব্লিউইএফ-এর হোমপেজে এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “এনভিএ ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল ভারতে টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বেসরকারি খাতের সহযোগিতা এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য একটি আনুষ্ঠানিক, উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব দল হিসেবে কাজ করে। এটা পরিষ্কার যে ভারতের আনুমানিক ৬৫০ মিলিয়ন কৃষকের স্বার্থ এবং কল্যাণ এখানে অগ্রাধিকার পাইনি। লক্ষণীয় যে আইএমএফ-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ, যিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার পাইনি। লক্ষণীয় যে আইএমএফ-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ, যিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা, তিনি এই আইনকে সমর্থন করেছেন এবং বলেছেন যে ভারতের সদ্য প্রণীত কৃষি আইনে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এটাকে সফল করতে হলে বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার সাথে ভারতকে কর্পোরেট কৃষি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের বিশ্বায়নে আনতে হবে। স্পষ্টতই মোদী নতুন কৃষি আইন প্রনয়নের সময় জাতিসংঘ ২০২১ ফুড সিস্টেমস সামিটের কথা মাথায় রেখেছে। ভারতের কৃষকদের জন্য এজেন্ডার ইঙ্গিত হচ্ছে আসন্ন সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ খাদ্য ব্যবস্থা সম্মেলন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ২০১৯ সালে ঘোষণা করেন ভারতের কৃষকদের জন্য এজেন্ডার ইঙ্গিত হচ্ছে আসন্ন সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ খাদ্য ব্যবস্থা সম্মেলন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ২০১৯ সালে ঘোষণা করেন যে জাতিসংঘ ২০২০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ খাদ্য ব্যবস্থার সুবিধা সর্বোচ্চ করার লক্ষ্যে ২০২১ সালে খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে। তিনি রুয়ান্ডার অ্যাগনেস কালিবাতাকে ২০২১ সালের ফুড সিস্টেমস সম্মেলনের বিশেষ দূত হিসেবে ঘোষণা করেন। এই সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতার বিবৃতিতে নিখুঁত চাষ ব্যাবস্থার জন্য জিপিএস, বিগ ডাটা, রোবটিক্স এবং জিএমওকে সমাধান হিসেবে প্রমান করার চেষ্টা করা হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত রুয়ান্ডার প্রাক্তন কৃষি মন্ত্রী কালিবাতা আফ্রিকার সবুজ বিপ্লবের জোট আগ্রারার প্রেসিডেন্ট। আগ্রা বিল গেটসএবং রকফেলার ফাউন্ডেশন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আফ্রিকার কৃষিতে জিএমও পেটেন্টকৃত বীজ এবং সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক কীটনাশক চালু করার জন্য।

১৯৯০-এর দশক থেকে ওয়াশিংটনের চাপে বিশ্বব্যাংক উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকারের কাছে কৃষি ভর্তুকি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছে। যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ কৃষিতে ব্যাপকভাবে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। সস্তা ভর্তুকিযুক্ত ইইউ এবং ওইসিডি আমদানি স্থানীয় কৃষকদের দেউলিয়া করে দেয়। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে/হচ্ছে। আগ্রা, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদনে উপসংহার টেনেছে যে, “আগ্রা প্রজেক্ট চালু হওয়ার আগের বছরগুলোতে প্রধান প্রধান ফসলের উৎপাদন কম ছিল”। বাস্তবতা হল আগ্রা চালু হওয়ার পর থেকে ১৩টি ফোকাস দেশের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। আগ্রা ফোকাস দেশগুলুতে বছরে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগ্রা চালু হওয়ার ফলে ১৩টি আগ্রা ফোকাস দেশের ১৩ কোটি মানুষ প্রভাবিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কৃষি পন্যের নিয়ন্ত্রক মনসান্টো হল হাইব্রিড কৃষিপণ্যে ব্যাবহারিৎ কীটনাশক গ্লাইফোসেটের উৎপাদক। এই কীটনাশক মানুষের শরীরে ক্যান্সারের জীবাণুর জন্য দায়ী। যার কারণে মার্কিন আদালত মনসান্টোকে ২ বিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছিল। এই মনসান্টোর ব্যাবসায়িক অংশীদার হল বিল গেটস। বিল গেটসের ফাউন্ডেশন আফ্রিকার দেশগুলুতে আগ্রার অধীনে ৬৫০ মিলিয়ন ডলার তহবিল যোগান দিয়েছিল। এদের উদ্ধেশ্য হল বিশ্বব্যাপী ট্রেডিশনাল কৃষির পরিবর্তে হাইব্রিড কৃষির প্রসার ঘটানো। তাতে কৃষি সেক্টর পুরুপুরি বহুজাতিক কোম্পানির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। আগ্রার অধীন দেশগুলুতে বিশ্বব্যাংক প্রেশার দিয়ে প্যাটেন্ট আইন চালু করেছিল এই হাইব্রিডের ব্যাবসার কারণে ভারতের কৃষি বীজের নিয়ন্ত্রন হল পাঁচটি কোম্পানির হাতে। বিএএসএফ, ডুপন্ট, মনসান্টো, সিনজেন্টা এবং লিমা গ্রেইন। এরাই এখন ভারতের কৃষি পন্যের নিয়ন্ত্রন হাতে নিতে চাই। যার কারণে মোদিকে দিয়ে তারা এই আইনগুলু পাশ করিয়েছে। এর পিছনে কাজ করছে বিল গেটস, রকফেলার ফাউন্ডেশন, আম্বানি, আদানি। আম্বানি বা আদানি কেন এর পিছনে যুক্ত হল তারও কিছু মৌলিক কারন আছে। গেটস বিশ্বব্যাংক এবং জাতিপুঞ্জের মাধ্যমে দুনিয়াব্যাপি একই ধারার কৃষি সিস্টেমের প্রচার চালাচ্ছেন এবং এর জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করছেন। খোদ আমেরিকাতে গেটস এখন শীর্ষ কৃষি জমির মালিক। যার মালিকানায় রয়েছে ২ লক্ষ্য ৭০ হাজার একর কৃষি জমি। তার উদ্ধেশ্য হল কৃষি সেক্টরে মনোপলি সৃষ্টি করা। ঠিক এই কারনেই আম্বানি/ আদানিরা এই আইনের পিছনে কাজ করছে। কারণ ভারতের কৃষির জন্য আইনি সুরক্ষা রয়েছে। সেটা তুলে দিয়ে বহুজাতিক এবং স্থানীয় পুঁজিপতিদের হাতে এর নিয়ন্ত্রন তুলে দেয়া। তাই একথা নিশ্চিত করে বলা ভারতের কৃষি আইন হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন ঘটনার ফল নয়। এটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার ফসল। যে পরিকল্পনার বলি আমরা হতে খুবতাই একথা নিশ্চিত করে বলা ভারতের কৃষি আইন হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন ঘটনার ফল নয়। এটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার ফসল। যে পরিকল্পনার বলি আমরা হতে খুব বেশি দেরি নেই। ইতিমধ্যেই আমরা আমাদের কৃষিকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলুর বীজ এবং পেস্টিসাইডের উপর নির্ভরশীল করে ফেলেছি। আমদের দুর্ভাগ্য হল ভারতের কৃষকেরা মোদী আইনটি স্থগিতে বাধ্য করতে পারলেও এই দেশে এরকম কিছু হলে বুক পেতে দাঁড়ানোর জন্য কাউকে পাওয়া যাবে না।

এদিকে , মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় নাজেহাল আম জনতা। খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার জানুয়ারিতে সামান্য কমলেও এখনও তা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া (৪ শতাংশ) লক্ষ্যমাত্রার উপরেই রয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের বেশির ভাগ সময়েই শাক- সব্জি সহ অধিকাংশ খাদ্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া থাকায় সংসার টানতে হিমশিম খেতে হয়েছে মধ্যবিত্তকে। শাক-সব্জির মূল্যবৃদ্ধির অনেকগুলি কারণের মধ্যে অন্যতম হল ফড়ে বা মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য। সামান্য দামে কৃষকদের থেকে ফসল কিনে শহরের বাজারে চড়া দামে বিক্রি করে এঁদের মুনাফা আসে। অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মাঝেমধ্যে বাজারে কোনও পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরির পিছনেও থাকে ফড়েদের কারসাজি।

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের জন্য প্রস্তাবিত রাজ্য বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্যে আরও ৩৫০টি সুফল বাংলা স্টল এবং ২০০টি সব্জি ক্রয় কেন্দ্র চালুর কথা ঘোষণা করেছেন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। প্রশাসনিক এবং বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই পদক্ষেপ কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম পাওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে। কারণ, সুফল বাংলা স্টলে বিক্রির জন্য ফসল কেনা হয় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে। রাজ্যজুড়ে আরও এতগুলি সুফল বাংলা স্টল চালু হলে সরাসরি ফসল কেনার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যাবে। একইভাবে ক্রয় কেন্দ্র বৃদ্ধি হলে আরও সহজে ন্যায্য মূল্যে নিজেদের উৎপাদিত ফসল বেচতে পারবেন কৃষকরা। কোনও ফড়ের উপর আর নির্ভর করতে হবে না তাঁদের। রেগুলেটেড মার্কেট কমিটি নিয়ন্ত্রিত বাজার ও হাটগুলিতে ২০০ ধরনের সব্জি কিনতে এই বাজেটে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য। এই সমস্ত কেন্দ্রে কৃষকরা নিজেদের ফসল সরাসরি বিক্রি করতে পারবেন। ফলে খাদ্যপণ্য গুদামজাত করে রেখে দাম বাড়ানোর খেলাও বন্ধ হবে বলে আশা করছেন রাজ্যের পদস্থ কর্তারা। প্রসঙ্গত, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে মাঝেমধ্যেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকমাস আগে এরকম এক বৈঠকে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘শাক-সব্জি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ন্যায্য মূল্যে পাওয়া রাজ্যবাসীর অধিকার। এই অধিকার থেকে তাঁরা বঞ্চিত হলে আমি সহ্য করব না।’ সেই সূত্রে তিনি বাজারগুলির উপর নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশও দিয়েছিলেন। বর্তমানে রাজ্যে ৬৪৬টি সুফল বাংলা বিক্রয় কেন্দ্র আছে। সেখান থেকে আলু, পেঁয়াজ সহ নানা সব্জি ন্যায্য মূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় রাজ্য সরকার। মাছও বিক্রি করা হয়। কোনও সব্জির দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গেলে, তা ন্যায্য মূল্যে বিক্রির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার বড় উপায় হল এই কেন্দ্রগুলি। তাই রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে বলে মনে করছেন কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন