বৃহস্পতিবার | ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | সকাল ৮:৪৯
Logo
এই মুহূর্তে ::
চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস ভারতের সংবিধান রচনার নেপথ্য কারিগর ও শিল্পীরা : দিলীপ মজুমদার চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (পঞ্চম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস আলোর পথযাত্রী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (চতুর্থ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস কন্নড় মেল্ল থেকেই সিন্ধুসভ্যতার ভূখণ্ডের প্রাচীন নাম মেলুহা : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (তৃতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস লোকভুবন থেকে রাজনীতিভুবন : পুরুষোত্তম সিংহ চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (দ্বিতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত রবীন্দ্রনাথের ইরান যাত্রা : অভিজিৎ ব্যানার্জি ঠাকুরকে ঠাকুর না বানিয়ে আসুন একটু চেনার চেষ্টা করি : দিলীপ মজুমদার যুদ্ধ দারিদ্র কিংবা বেকারত্বের বিরুদ্ধে নয় তাই অশ্লীল উন্মত্ত উল্লাস : তপন মল্লিক চৌধুরী রবীন্দ্রনাথ, পঁচিশে বৈশাখ ও জয়ঢাক : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথ, গান্ধীজী ও শান্তিনিকেতন : প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় বাঙালী রবীন্দ্রনাথ : সৈয়দ মুজতবা আলী অনেক দূর পর্যন্ত ভেবেছিলেন আমাদের ঠাকুর : দিলীপ মজুমদার রবীন্দ্রনাথের প্রথম ইংরেজি জীবনী : সুব্রত কুমার দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (প্রথম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস শুক্লাম্বর দিঘী, বিশ্বাস করে দিঘীর কাছে কিছু চাইলে পাওয়া যায় : মুন দাশ মোহিনী একাদশীর ব্রতকথা ও মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত নিজের আংশিক বর্ণান্ধতা নিয়ে কবিগুরুর স্বীকারোক্তি : অসিত দাস ঝকঝকে ও মজবুত দাঁতের জন্য ভিটামিন : ডাঃ পিয়ালী চ্যাটার্জী (ব্যানার্জী) সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা : লুৎফর রহমান রিটন সংস্কৃতি জগতের এক নক্ষত্রের নাম বসন্ত চৌধুরী : রিঙ্কি সামন্ত আংশিক বর্ণান্ধতাজনিত হীনম্মন্যতাই রবীন্দ্রনাথের স্কুল ছাড়ার কারণ : অসিত দাস পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ কি অবশ্যম্ভাবী : তপন মল্লিক চৌধুরী সাত্যকি হালদার-এর ছোটগল্প ‘ডেলিভারি বয়’ নব নব রূপে এস প্রাণে : মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না — ভবানীপ্রসাদ মজুমদার : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ৬০২ জন পড়েছেন
আপডেট বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না’, এই কবিতার সঙ্গে বহু বাঙালিই পরিচিত। আর এই লেখার সৃষ্টিকর্তা ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। তাঁর হাত ধরেই সৃষ্টি হয়েছে বহু জনপ্রিয় কবিতা ও ছড়া। প্রয়াত সেই জনপ্রিয় কবি, ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। বুধবার ভোর রাতে চির শান্তির দেশে পাড়ি দিয়েছেন। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। সৌভাগ্য হয়েছিল একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকায় একসঙ্গে কাজ করার। ভাইয়ের মতো স্নেহ করতেন। পারিবারিক আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা আজও ভোলার নয়। মূলত ছোটদের জন্যই লিখতেন ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। তাঁর লেখায় বারবার উঠে এসেছে সামাজিক স্যাটায়ার। ‘জানেন দাদা, আমার ছেলের বাংলাটা ঠিক আসে না’, এই কবিতার সঙ্গে বাঙালি পরিচিত। আর এই লেখার সৃষ্টিকর্তা ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। নিজের জীবনে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি ছড়া লিখেছেন তিনি। নিজের লেখায় করেছেন নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা। মজার ছড়া, সোনালি ছড়া, ‘কলকাতা তোর খোল খাতা’, ‘হাওড়া-ভরা হরেক ছড়া’, ‘ডাইনোছড়া’র মতো বহু বই লিখেছেন। লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সত্যজিৎকে নিয়েও। লিখেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথ নইলে অনাথ’, ‘ছড়ায় ছড়ায় সত্যজিৎ’-এর মতো কবিতা।

কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের জন্ম ১৯৫৩ সালের ৯ এপ্রিল হাওড়া জেলার জগাছা থানার দাশনগরের কাছে দক্ষিণ শানপুর গ্রামে। তাঁর বাবা ছিলেন নারায়ণচন্দ্র মজুমদার এবং মা নিরুপমা দেবী। কবির শৈশব জীবন কেটেছে সেই গ্রামেই। কর্মজীবনে প্রবেশ করে কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার শিক্ষকতা করেছেন। বিশিষ্ট এই কবি ও ছড়াকার হাওড়া জেলার শানপুর গ্রামের কালিতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক হিসাবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে লেখালিখিও চালিয়ে গিয়েছেন।

উল্লেখ করা যেতে পারে ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের বিখ্যাত সেই কবিতা যা আজও বাঙালির জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে। ইংরাজি মাধ্যমে পড়াশোনা করা ছেলেমেয়েদের বাবা-মায়ের গর্ব নিয়ে তৈরি ‘বাংলাটা ঠিক আসে না’ একমুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছিল চারিদিকে। স্কুল শিক্ষক হিসেবে জীবন শুরু করার মাঝেও সাহিত্যচর্চা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি। যা পাঠক সমাজে সমাদৃত হয়েছিল। তাঁর বাংলা ভাষার জন্য লড়াই আজও সকলের কাছে অনুপ্রেরণার। শিল্পীর প্রয়াণে বড় ক্ষতি সাহিত্য জগতের।

প্রসঙ্গত, বাংলা ভাষার প্রতি বাঙালির যে অনীহা, তা কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন তিনি। তাঁর ক্ষুরধার লেখা, শব্দের প্রয়োগ, আর নজরকাড়া কিছু কথা অনেকেই ভেবেছেন বটে, তবে বলে ওঠা হয়নি। কবির মৃত্যুতে শোকের ছায়া সাংস্কৃতিক জগতে।

ওনার স্ত্রী জানালেন ওনার মরদেহ ওনার দাসনগরের বাসভবনে সকাল দশটা পর্যন্ত রাখা হবে। যাঁরা ওনাকে শ্রদ্ধা জানাতে চান তাঁরা যেতে পারেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন