শনিবার | ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | রাত ১১:৫৭
Logo
এই মুহূর্তে ::
রবীন্দ্রনাথ ও শান্তিনিকেতন : শান্তা দেবী বাঙালি মুসলমান সম্পাদিত প্রথম পত্রিকা : ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সিন্ধু সভ্যতার ভূখণ্ড মেলুহা-র সঙ্গে বাণিজ্যে মাগান দেশ : অসিত দাস তদন্তমূলক সাংবাদিকতা — প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি : দিলীপ মজুমদার হেমন্তকুমার সরকার ও নজরুল-স্মৃতিধন্য মদনমোহন কুটির : ড. দীপাঞ্জন দে রামমোহন — পুবের সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলে গেলেও শেষ জীবনে পিছু ছাড়েনি বিতর্ক : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাওবাদী দমন না আদিবাসীদের জমি জঙ্গল কর্পোরেট হস্তান্তর : তপন মল্লিক চৌধুরী জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শ্রী অপরা একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত পর্যটন মানচিত্রে রামমোহনের জন্মভূমিতে উন্নয়ন না হওয়ায় জনমানসে ক্ষোভ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সংগীতে রবীন্দ্রনাথ : সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গোয়ার সংস্কৃতিতে সুপারি ও কুলাগার কৃষিব্যবস্থা : অসিত দাস পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও, চিয়ার লিডার এবং ফানুসের শব : দিলীপ মজুমদার ক্যের-সাংরী কথা : নন্দিনী অধিকারী সুপারি তথা গুবাক থেকেই এসেছে গোয়ার নাম : অসিত দাস রোনাল্ড রসের কাছে জব্দ ম্যালেরিয়া : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় উনিশের উত্তরাধিকার : শ্যামলী কর কেট উইন্সলেটের অভিনয় দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার ৩টি চলচ্চিত্র : কল্পনা পান্ডে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলা — আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংকট : সুব্রত কুমার দাস সিন্ধুসভ্যতার ভাষা যে ছিল প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার প্রমাণ মেলুহা তথা শস্যভাণ্ডার : অসিত দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস ভারতের সংবিধান রচনার নেপথ্য কারিগর ও শিল্পীরা : দিলীপ মজুমদার চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (পঞ্চম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস আলোর পথযাত্রী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (চতুর্থ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস কন্নড় মেল্ল থেকেই সিন্ধুসভ্যতার ভূখণ্ডের প্রাচীন নাম মেলুহা : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

মোদীর মিডিয়া ব্যস্ত কুম্ভের মৃত্যুমিছিল ঢাকতে : তপন মল্লিক চৌধুরী

তপন মল্লিক চৌধুরী / ১৯৮ জন পড়েছেন
আপডেট সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

যখন সরকারিভাবে কোনো কর্তৃপক্ষ একটি বড় দুর্ঘটনাকে গুজব বলে দাবি করে তখন মানতেই হয় যে সেই কর্তৃপক্ষ দোষ ঢাকতে চাইছে, দায় নিজেদের ঘাড় থেকে নামিয়ে দিতে চাইছে, তা নাহলে তারা মিথ্যা কথা বলবে কেন। তার চেয়েও আশ্চর্যের বিষয় গুজব দাবি করেও তারা পরবর্তীতে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে নিল কেন? কারণ, খাশ রাজধানীর রেল স্টেশনের অব্যবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে। বিলম্বে ট্রেন চলাচল থেকে শুরু করে রেল স্টেশনের বিভ্রান্তিকর ঘোষণা তো সেকথাই বলে। আর সেই কারণেই পদপিষ্ট হওয়ার গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে রেল প্রশাসন। ঠিক এমনটাই করেছিল ২৯ জানুয়ারি মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনার সময়। উল্লেখ্য, গত শনিবার রাত ৯টা ২০ থেকে রাত ১০টার মধ্যে, নিউ দিল্লি স্টেশনের ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ট্রেন আসার কথা ছিল ১২ নম্বরে, কিন্তু যে মুহুর্তে রেল ঘোষণা করে ওই ট্রেন ১৬ নম্বরে আসবে তারপরেই রেল যাত্রীদের মধ্যে চরম হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় এবং তার থেকেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত অন্তত ১৮জনের প্রাণ চলে যাওয়ার পাশাপাশি বহু মানুষ গুরুতর আহত হন। ওই রাতেই ১১টা ৩৬ মিনিটে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্স হ্যান্ডেলে দাবি করেন, নয়া দিল্লি স্টেশনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দিল্লি পুলিশ ও আরপিএফ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, আহতদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। কিন্তু রেলের তরফে তখনও পর্যন্ত পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা বলা হয়নি। হয়নি তার কারণ, রেল মৃত্যু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, এমনকি রেলমন্ত্রীও। নয়া দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যুর কথা প্রথম পোস্ট করেন দিল্লির উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনা। তাঁরকরা রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের এক্সে তিনি বলেন, ‘নয়া দিল্লি রেল স্টেশনে মৃত্যু এবং গুরুতর আহত হওয়ার একটা মর্মান্তিক ও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে।’ যদিও কিছুক্ষণ পরেই মধ্যেই উপরাজ্যপালের বিবৃতি বদলে যায়, নিজের পোস্ট থেকে তিনি মৃত্যুর কথা মুছে ফেলেন, রেখে দেন শুধু ‘দিল্লি স্টেশনে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে।’ — এই কথাটুকু।

শনিবার রাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার কারণ হিসেবে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। তার চেয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে রেলের ভূমিকা নিয়ে। জানা গিয়েছে, রেল প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৫০০ জেনারেল টিকিট বিক্রি করছিল। টিকিট নিশ্চিত না হলেও যাত্রীদের ট্রেনে উঠে পড়তে বলা হয়। যাঁদের কাছে নিশ্চিত টিকিট ছিল, সংরক্ষিত আসন যাঁরা বুক করেছিলেন দেখা গিয়েছে তাঁরাই ট্রেনে উঠতে পারেননি। অথচ টিকিট ছাড়াও বহু মানুষ ট্রেনে ওঠার জন্য ঠেলাঠেলি করেছেন। প্রশ্ন, যেখানে প্রয়াগরাজ যাওয়ার দেদার টিকিট বিক্রি হওয়ায় প্ল্যাটফর্মে ভিড় উপচে পড়ে কিন্তু রেল তার পরও কেন ট্রেন না বাড়িয়ে কেন প্ল্যাটফর্ম বদল করা হয়? ট্রেনে উপচে পড়া ভিড় দেখেও রেল ভিড় নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ করে না? কয়েকদিন আগে কুম্ভের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েও কেন সতর্ক ছিল না রেল প্রশাসন? এমন অনেক প্রশ্ন উঠে আসছে একের পর এক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা থেকে জানা যাচ্ছে, প্রয়াগরাজের ট্রেন ধরতে সেই রাতে ১২, ১৩, ১৪ ও ১৬ নং প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের ভিড় ছিল উপচে পড়া। নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস। স্বতন্ত্র সেনানী ও ভুবনেশ্বর রাজধানী আসতে দেরি করায় স্টেশনে ভিড় ক্রমশ বাড়ছিল। ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে বারকয়েক প্ল্যাটফর্ম বদলের ঘোষণা হওয়াতে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার কথা ছিল ট্রেনের। কিন্তু হঠাৎই ঘোষণা হয়, ওই ট্রেন ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢুকবে। ফলে বিভ্রান্ত যাত্রীরা এদিক ওদিক ছুটতে শুরু করেন। আর তার থেকেই পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে কিন্তু সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো পুলিশ যেমন ছিল না, পাশাপাশি ছিল না রেলের নজরদারি। কিন্তু এই ঘটনার দায় রেল সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আশ্চর্য! মহাকুম্ভ নিয়ে যে এত প্রচার, লক্ষ লক্ষ মানুষকে মহাকুম্ভের জন্য উৎসাহ দেওয়া, তাতে তো কাতারে কাতারে মানুষ সারা দিচ্ছে, ভিড়ও হচ্ছে, তাহলে কেন বেশি ট্রেন চালালো না রেল? উলটে ঘটনার দায় ঘাড় থেকে নামিয়ে দিতে পদপিষ্টের ঘটনাকে গুজব বলে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা? প্রশ্নের মুখে পড়লেই সরকার ঢোক গিলে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে, রেল কর্তৃপক্ষও এক্ষেত্রে সেই পদক্ষেপ করেছে। কেন এই দুর্ঘটনা ঘটল, উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী এবং রেলের তরফে ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও করা হয়েছে। কিন্তু তাতেই কি ঘটনার দায় অস্বীকার করা যায়, না দায় এড়ানো যায়?

নয়াদিল্লিতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার অন্যতম কারণ যদি অতিরিক্ত ভিড় হয় তাস্বত্তেও বলতে হবে রেলের গাফিলতি ছিল। ভিড়ের কারণ কুম্ভ যাওয়ার উদ্দেশে শনিবার রাতে শয়ে শয়ে মানুষ জড়ো হন নয়াদিল্লি স্টেশনে। আসলে নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন হয় সরাসরি কুম্ভে যাওয়ার কথা, নয়তো কুম্ভ হয়ে অন্য গন্তব্যে যাওয়ার কথা। সেই ট্রেনগুলির আশায় দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।স্বতন্ত্রতা সেনানী এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর-রাজধানী এক্সপ্রেস এই দুটি ট্রেনে প্রয়াগরাজ যাবেন বলে বহু মানুষ ১২ এবং ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু দুটি ট্রেনের কোনওটিই সময়মতো পৌছয়নি। এর মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে ট্রেনদুটি বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে কুম্ভের জন্য স্পেশাল ট্রেন প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ঢুকে পড়ে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস আসতে দেখে ওই ট্রেনের যাত্রীরা এবং বাকি দুটি ট্রেনের যাত্রীরাও ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে ছুটতে থাকেন। সকলে একসঙ্গে ওই ট্রেনটিতে ওঠার চেষ্টা করলে অনেকে পড়ে যান। বহু লোক তাঁদের মাড়িয়েই ট্রেনের দিকে ছুটে যান আর্তনাদ-চিৎকার তোয়াক্কা না করে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে রেল পুলিশ কার্যত ব্যর্থ হয়। প্রশ্ন ভিড় এবং তা থেকে হুড়োহুড়ির পরিস্থিতি তৈরি হল কেন? প্রথমত দুটি ট্রেন লেট। কেবল লেট নয়, এতটাই ‘লেট’ যে গুজব ছড়িয়ে পড়ে ট্রেনদুটি বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বিভ্রান্তিকর ঘোষণা শোনা গিয়েছে বলে দাবি। চমকপ্রদ বিষয় হল, প্রয়াগরাজ যাওয়ার জন্য দেড় হাজার যাত্রী অসংরক্ষিত টিকিট কেটেছিলেন। এত বিশাল সংখ্যক অসংরক্ষিত টিকিট বিক্রির পরও কোনওরকম সচেতনতামূলক পদক্ষেপ করা হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন