মঙ্গলবার | ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৪:২১
Logo
এই মুহূর্তে ::
অদ্বৈত মল্লবর্মণ — প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য-সমালোচক (দ্বিতীয় পর্ব) : রহমান হাবিব লঙ্কা চাষ বাড়ছে, লাভবান চাষিরা, রপ্তানি বাড়াতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় পাশাপাশি, তবে প্রাণ নেই, চিহ্ন বইছে ভেলুগোন্ডা, রবিবার জল সরার পরে : অশোক মজুমদার নলিনী বেরার কবিতা — স্বভূমি, স্বদেশ, স্বজন : ড. পুরুষোত্তম সিংহ অদ্বৈত মল্লবর্মণ — প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য-সমালোচক (প্রথম পর্ব) : রহমান হাবিব রংবাহারি ক্যাপসিকাম : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যের কৃষকমান্ডিতে কৃষকদের ধান বিক্রিতে দালাল মুক্ত করার নির্দেশ সরকারের : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘উচ্ছেদ’ আমাদের সংবিধান, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং নানা মত : তপন মল্লিক চৌধুরী বেঙ্গল গোট গ্রামীণ অর্থনীতিতে এনে দিতে পারে স্বচ্ছলতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় পিটার নাজারেথ-এর ছোটগল্প ‘মালদার’ অনুবাদ মাসুদ খান আমরা নারী-আমরাও পারি : প্রসেনজিৎ দাস ঝুম্পা লাহিড়ীর ছোট গল্প “একটি সাময়িক ব্যাপার”-এ অস্তিত্ববাদ : সহদেব রায় ঝুম্পা লাহিড়ী-র ছোটগল্প ‘একটি সাময়িক বিষয়’ অনুবাদ মনোজিৎকুমার দাস ঠাকুর আমার মতাে চিরকালের গৃহীর চিরগুরু : সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় ভাবাদিঘির জট এখনও কাটেনি, বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি রেল চলাচল শীঘ্রই : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (শেষ পর্ব) : অভিজিৎ রায় উৎপন্না একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত মারাঠাভুমে লাডকি বহিন থেকে জয়, ঝাড়খণ্ডে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী প্রচারে হার : তপন মল্লিক চৌধুরী কিন্নর-কৈলাসের পথে : বিদিশা বসু হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (চতুর্থ পর্ব) : অভিজিৎ রায় ভনিতাহীন চলন, সাইফুর রহমানের গল্প : অমর মিত্র সাইফুর রহমান-এর বড়োগল্প ‘করোনা ও কফিন’ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (তৃতীয় পর্ব) : অভিজিৎ রায় নানা পরিচয়ে গৌরী আইয়ুব : গোলাম মুরশিদ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (দ্বিতীয় পর্ব) : অভিজিৎ রায় কেন বারবার মণিপুরে আগুন জ্বলে আর রক্ত ঝড়ে : তপন মল্লিক চৌধুরী শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (শেষ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (প্রথম পর্ব) : অভিজিৎ রায় শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (ষষ্ঠ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

লঙ্কা চাষ বাড়ছে, লাভবান চাষিরা, রপ্তানি বাড়াতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায়

মোহন গঙ্গোপাধ্যায় / ২১ জন পড়েছেন
আপডেট সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪

রান্নাঘরে গৃহস্থদের কাছে প্রধান মশলাই হল লঙ্কা। চাষিদের কাছে এখন উল্লেখযোগ্য ফল বলেও পরিচিত। আবার অসংখ্য চাষিদের কাছে অর্থকরী ফসলও। রাজ্য সরকারের সহায়তায় রপ্তানি করে আর্থিক লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশ জুড়ে এই ফসলের কদর। তা হল লঙ্কা। এই লঙ্কা রপ্তানি করেই কোটি কোটি টাকা মুনাফা করছে দেশ। পশ্চিমবঙ্গ সহ সারাদেশে চাষিদের কাছে এখন অন্যতম অর্থকরী ফসল। তাই বিভিন্ন প্রান্তের চাষিরা লঙ্কা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। একদিকে বাড়ছে চাষ, অপরদিকে মজবুত হচ্ছে চাষিদের অর্থনৈতিক শিরদাঁড়া।

প্রসঙ্গত, ভারতে ৮৮টি জাতের লঙ্কা চাষ হচ্ছে। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই রয়েছে ৫৪টি জাতের। ২০২২-‘২৩ বছরে ভারতে লঙ্কা চাষ হয়েছিল ১০.১৫ লক্ষ হেক্টর। পশ্চিমবঙ্গে ৬৮ হাজার ৯৩০ হেক্টরে। এর থেকে লঙ্কা উৎপাদন হয়েছিল ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৭৭ টন। যা সমগ্র দেশের মধ্যে ৬ শতাংশ লঙ্কার উৎপাদন হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গেই। উল্লেখ করা যেতে পারে, পশ্চিমবঙ্গে যে ৫৪টি জাতের লঙ্কা চাষ হয়, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বুলেট, তেজস্বিনী, ধুলিয়া, এস-৮, লাল লঙ্কা, ধানি লঙ্কা, আচার লঙ্কা, কুল লঙ্কা, এস-৯, ঘি লঙ্কা, সবুজ, বোম্বে, সূর্যমুখী ইত্যাদি। এছাড়া ক্যাপসিকামও উল্লেখযোগ্য হারে চাষ হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বছরে দুটি মরশুমে লঙ্কা চাষ হতে দেখা যায়। রবি ও খরিফ মরশুমে। ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা, স্বল্প বৃষ্টি, বেলে, দোঁয়াশ বা এঁটেল মাটিতে লঙ্কা চাষ ভালো হয়। রাজ্যে প্রতি হেক্টরে ৫৭৪ থেকে ৯৫৭ কেজি লঙ্কা উৎপাদন হয়। সাধারণত ১ হেক্টরে ১ থেকে ১.৫ কেজি লঙ্কা বীজ লাগে। উল্লেখ করা যেতে পারে, পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর বাড়ছে লঙ্কার চাষ। প্রায় প্রতিটি জেলায় এর চাষ হচ্ছে। হাইব্রিড ছাড়াও বিভিন্ন জাতের লঙ্কা চাষ দেখা যাচ্ছে। ঝাল লঙ্কা থেকে শুরু করে আচার লঙ্কা চাষ হচ্ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে সবজি হিসাবে ক্যাপসিকামের চাষ। যা লাভজনক। বাজারে চাহিদাও বাড়ছে।

রাজ্যে পাহাড় থেকে শুরু করে সমতলের বিভিন্ন ক্ষেত খামারে লঙ্কার চাষ হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের ঘুম, কালিম্পং, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর, কালিয়াচক, বহরমপুর, বেলডাঙা ছাড়াও বোলপুর, রামপুরহাট, চাকদহ, কল্যাণী, বর্ধমান, বিষ্ণুপুর, আরামবাগ, সোদপুর, ঝালদা, বাঘমুন্ডি ইত্যাদি জায়গায় উল্লেখযোগ্যভাবে চাষ হয়। প্রদীপ মাইতি, স্বপন চৌধুরি, অশোক পালদের মতো বর্ধিষ্ণু চাষিরা জানাচ্ছেন, সঠিক পরিচর্যায় লঙ্কা চাষ করতে পারলে বিঘা পিছু ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ হতেই পারে। বর্তমান বাজারে উত্তোরোত্তর চাহিদা বাড়ছে। সেইসঙ্গে নায্য দামও থাকছে। রাজ্যের অধিকাংশ ব্লকের কৃষি বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এখন লঙ্কা চাষে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকার এই চাষে সহায়তাও করছে। ফলে চাষিদের উৎসাহ বাড়ছে। চাষিদের লঙ্কা বীজ, সার ও ওষুধ দিয়ে সরকার সহায়তা করছে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রায় সব ধরনের মাটিতে লঙ্কা চাষ করা যেতে পারে । বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, উচ্চ ফলনশীল লঙ্কা চাষে চাষিদের আগ্ৰহ বাড়ছে। হাইব্রিডের বুলেট ও অশ্বিনী বেশি চাষ হচ্ছে । সেইসঙ্গে ক্যাপসিকাম চাষে ঝোঁক বাড়ছে চাষিদের। লঙ্কা চাষকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে ছোট ছোট শিল্প যেমন গড়ে উঠেছে, সেইসঙ্গে নতুন বাজার তৈরি হয়েছে।

অর্থকরী ফসল আলু, ধানের, পাশাপাশি বিকল্প চাষ হিসেবে সরষে চাষ রাজ্যে বাড়ছে। এদিকে লঙ্কা উৎপাদন করে যাতে তা নষ্ট না হয়ে যায় এজন্য হিমঘরে মজুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সবজির পাশাপাশি লঙ্কারও স্থান পাচ্ছে হিমঘরগুলিতে। এজন্য সারা বছর লঙ্কার যোগানও থাকছে। রাজ্য কৃষি বিপণন দফতর কিষাণ মাণ্ডি থেকে লঙ্কা কেনাবেচার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি চাষিরা যাতে নায্য দাম পান এজন্য কৃষি বিপণন দফতরও এগিয়ে এসেছে। ইতিমধ্যে কলকাতা, হাওড়া, শিয়ালদার কোলে মার্কেট, ঢাকুরিয়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, নদিয়া ইত্যাদি জেলাতে লঙ্কার বড় বড় বাজার তৈরি হয়েছে। এখান থেকে লঙ্কা কিনে ব্যবসায়ীরা তা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠাচ্ছে। এমনকি পশ্চিমবঙ্গের লঙ্কা বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গনা ইত্যাদি রাজ্যে ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে লঙ্কা চাষ। এরমধ্যে ঝাল ও আচার লঙ্কা দুইই আছে। আর আছে ক্যাপসিকাম। যা সবজি ও স্যালাড হিসেবে খাদ্যের তালিকায় প্রবেশ করেছে। প্রোটিন হিসেবেও লঙ্কার গুণগত মান নিয়ে সহমত পোষন করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভিটামিন-সি ছাড়াও ক্যালসিয়াম আছে।

এছাড়াও উচ্চ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। যা মানব শরীরে প্রয়োজন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন