শুক্রবার | ২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:১৮
Logo
এই মুহূর্তে ::
সিন্ধুসভ্যতার ফলক ও সিলে হরিণের শিং-বিশিষ্ট ঋষ্যশৃঙ্গ মুনি : অসিত দাস বৈশাখ মাসে কৃষ্ণপক্ষে শ্রীশ্রীবরুথিনী একাদশীর ব্রতকথা মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত সিন্ধুসভ্যতার লিপি যে প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার অকাট্য প্রমাণ : অসিত দাস বাঙালির মায়াকাজল সোনার কেল্লা : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ : রিঙ্কি সামন্ত ফের আমেদাবাদে হিন্দুত্ববাদীদের অন্য ধর্মের উপর হামলা : তপন মল্লিক চৌধুরী লোকসংস্কৃতিবিদ আশুতোষ ভট্টাচার্য ও তাঁর চিঠি : দিলীপ মজুমদার নববর্ষের সাদর সম্ভাষণ : শিবরাম চক্রবর্তী নববর্ষ গ্রাম থেকে নগরে : শিহাব শাহরিয়ার ফিরে আসছে কলের গান : ফজলুল কবির সিন্ধুসভ্যতার ফলকে খোদিত ইউনিকর্ন আসলে একশৃঙ্গ হরিণ : অসিত দাস একটু রসুন, রসুনের কথা শুনুন : রিঙ্কি সামন্ত ১২ বছর পর আরামবাগে শোলার মালা পরিয়ে বন্ধুত্বের সয়লা উৎসব জমজমাট : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় কোনিয়াকদের সঙ্গে দু’দিন : নন্দিনী অধিকারী স্বচ্ছ মসলিনের অধরা ব্যুৎপত্তি : অসিত দাস বাড়বে গরম, চোখের নানান সমস্যা থেকে সাবধান : ডা. তনুশ্রী চক্রবর্তী আঠালো মাটি ফুঁড়ে জন্মানো শৈশব : আনন্দগোপাল হালদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত ওয়াকফ হিংসার জের কি মুর্শিদাবাদেই থেমে গিয়েছে : তপন মল্লিক চৌধুরী এক বাগদি মেয়ের লড়াই : দিলীপ মজুমদার এই সেনসরশিপের পিছনে কি মতাদর্শ থাকতে পারে : কল্পনা পাণ্ডে শিব কম্যুনিস্ট, বিষ্ণু ক্যাপিটেলিস্ট : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গায়ন’ থেকেই গাজন শব্দের সৃষ্টি : অসিত দাস কালাপুষ্প : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু হোক বাঙালি-অস্মিতার প্রচারযাত্রা : দিলীপ মজুমদার মাইহার ঘরানার সম্রাট আলি আকবর খান (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত পেজফোর-এর নববর্ষ বিশেষ সংখ্যা ১৪৩২ প্রকাশিত হল সিন্ধিভাষায় দ্রাবিড় শব্দের ব্যবহার : অসিত দাস সিন্ধুসভ্যতার জীবজগতের গতিপ্রকৃতির মোটিফ : অসিত দাস হনুমান জয়ন্তীতে নিবেদন করুন ভগবানের প্রিয় নৈবেদ্য : রিঙ্কি সামন্ত
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

মধুর সম্পর্কের আরেক নাম চকোলেট : রিঙ্কি সামন্ত

রিঙ্কি সামন্ত / ৬৭৫ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ভালোবাসা ছোট্ট এই শব্দের জন্য মানবজাতি তার জীবন-যৌবন, প্রত্যাশা-প্রাচুর্য বাজি রাখতে প্রস্তুত। তবে ভালোবাসার গল্প কিন্তু রূপকথা নয়, গলি থেকে রাজপথ শত শত আকুতি মিনতির মাঝে কান্নাভেজা চোখে ‘নীল খামেদের ভেলা’। সেই ‘নীল খামেদের ভেলা’ তে পুরে দিন একটা চকোলেট। ব্যস, আপনার ভালোবাসর ভেলা ঠিক পাড়ে থামবে। পকেট ফ্রেন্ডলি বাজেটে চকোলেটের স্বাদ মনের বেদনা ভুলিয়ে দিয়ে আনতে পারে আনন্দের অনুভূতি। চকোলেট দিবসে পছন্দের মানুষটিকে ভালোবাসার বার্তা দিতে চকোলেটের থেকে আর ভালো উপহার কি বা আছে।

অবাক হচ্ছেন। চকোলেট বিশ্বজুড়ে এতটাই প্রিয় যে এটি উদযাপন করার জন্য শুধুমাত্র একটি তারিখ হতে পারে না। তাইতো ৯ই ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘চকোলেট ডে’ হিসেবে পালন করা ছাড়াও ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক চকোলেট দিবস, ৭ জুলাই বিশ্ব চকোলেট দিবস এবং ২৮ অক্টোবর এবং ২৮ ডিসেম্বর দুটি জাতীয় চকোলেট দিবস পালন করা হয়! ন্যাশনাল কনফেকশনার্স অ্যাসোসিয়েশন ১৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক চকোলেট দিবস উদযাপন করে কারণ কাকতালীয়ভাবে এটি হার্শে চকোলেট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন এস. হার্শির (Milton S. Hershey) জন্মদিনের সাথে মিলে যায়।

খাবারের জগতে চকোলেট নামটি এসেছে স্প্যানিশ ভাষা থেকে। তবে এই নিয়ে রয়েছে মতভেদ। অন্যমতে প্রাচীন আমেরিকার ‘মায়া সভ্যতা’র সময়ে নাকি আজকের চকোলেটের উৎপত্তি। আমেরিকার আদিনিবাসী ‘ব্ল্যাক’ মানুষের ভাষা xocolatl থেকে। Xococ এর অর্থ হলো তেতো ও atl এর অর্থ তরল বা পানীয়। একত্রে যার অর্থ ‘অম্ল পানীয়’। চকোলেটের মূল উপাদান ‘কোকো’। এই কোকোয়া গাছের বীজ থেকে প্রস্তুত চকোলেট গোড়ার দিকে পানীয় হিসেবেই ব্যবহার করা হতো কেবলমাত্র ধনীরা।

পরবর্তীকালে মায়ার থেকে আমেরিকারই আরেক প্রাচীন সভ্যতা ‘আজটেক’ এই পানীয় তৈরি শিখে নেয়। আজটেক সভ্যতার মানুষদের ধর্মীয় বিশ্বাস, রূপকথার গল্পে জুড়ে থেকে যায় কোকো। কোকো শব্দটি এসেছে “কাকাওয়া” (Kawakawa) থেকে। তাদের বিশ্বাস আরাধ্য দেবতা ‘কোয়েটজালকটল’ই (quetzalcoatl) নাকি এই কোকো গাছ পৃথিবীতে এনেছিলেন। চিরসবুজ ২০-২৫ ফুটের এই কোকোয়া বৃক্ষের ফল দেখতে অনেকটা নাশপাতির মতো। অধিবাসীরা বিশ্বাস করতেন এই ফল খেলে সাম্রাজ্য, ক্ষমতা ইত্যাদি বাড়ে। কোকোয়া গাছ দেবতা জ্ঞানে পূজিত হত। এমনকি মুদ্রা হিসেবে কোকোর ব্যবহারেরও হদিস মেলে আজটেক সভ্যতায়।

১৪৯৫ সালে ক্রিস্টোফার কলম্বাস মধ্য আমেরিকা থেকে কোকো বীজ ইউরোপে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ইউরোপীয় হানায় একেবারে ধ্বংস হয়ে যাওয়া আমেরিকার প্রাচীন সভ্যতাগুলোর আবিষ্কারগুলিতে ইউরোপীয় শিলমোহর পড়ে যায়। ইউরোপীয়রা চকোলেট পানীয়তে দুধ ও চিনি যোগ করে, যা আরো স্বাদ বাড়িয়ে তোলে চকলেটের।

চকোলেটের ফল কোকোয়া

পরে ফরাসীরা এই গাছের সন্ধান পায়। এক ফরাসী নাগরিক ‘চকোলেট হাউস’ প্রতিষ্ঠা করে একে জনপ্রিয় করে তোলে। ১৯ শতকে Briton John Cadbury কে আধুনিক চকলেট বারের জনক বলা হয় কারণ তিনিই প্রথম চকলেটকে শক্ত আকার দেন।

আজ পুরো বিশ্বে চকলেটের কদর। অনেকেই বলেন দাঁতে পোকা ধরা, ওজন বৃদ্ধি পায় চকোলেট খেলে। এ ধারণা ভুল। ডার্ক চকোলেটে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বের করতে, ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে, ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করতে, স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগের বিকাশ ঘটাতে, হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত ডার্ক চকলেট খেলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে।

চকলেটে ফিনাইল ইথাইলামাইন নামক উপাদান আছে, গবেষকেরা যার নাম দিয়েছেন ‘লাভ কেমিক্যাল’। তাই সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্যও নিয়মিত ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে। তবে যে কোন চকোলেট পরিমিত গ্রহণ করাই স্বাস্থ্য সম্মত।

ছোটো থেকে বড়ো চকোলেটে মজেছেন সকলে। চকোলেট নিয়ে অনেক মজার গল্প শোনা যায়। তার মধ্যে আমার প্রিয় দুটি মানুষের গল্প বলি।

বাবা রাজ কাপুরের সঙ্গে শুটিং দেখতে এসেছে তিন বছরের ছোট্ট ঋষি কাপুর। বলিউডের আইকনিক ছবি ‘শ্রী ৪২০’-এর শুটিং ফ্লোর। রাজ কাপুর ও নার্গিস ছাতা মাথায় দিয়ে ‘প্যায়ার হুয়া একরার হুয়া…’ গানটি গাইতে গাইতে পিচের রাস্তা ধরে চলেছেন আর পাশ দিয়ে হাতে হাত রেখে চলে গেল রেইন কোট পরা তিনটি শিশু। তিনজনের একজন হলেন ঋষি কাপুর যাকে নার্গিস চকলেটের লোভ দেখিয়ে ওই দৃশ্যে অভিনয় করিয়ে নিয়েছিলেন।

শিবরাম চক্রবর্তী মানেই হাসির পটরা। শুধু বড়দের জন্য নয়, ছোটোদের জন্যও লিখেছেন প্রচুর। নিজের ফেলে আসা শৈশব কে ফিরে পেতে শিশুদের মতো খেতে আর থাকতে ভালোবাসতেন। তাঁর প্রিয় ছিল চকোলেট। লেখালিখি না থাকলে মুখের ভিতর একটা চকোলেট নিয়ে চুষতে দেখা যেতো।

চকলেট মুখে নিতেই এর মিষ্টি স্বাদে মানসিক ক্লান্তি ও চাপ অনেকটাই কেটে যায়। আজ যেহেতু চকলেট ডে, তাই প্রিয়জনকে চমকে দিতে চকোলেট বানানোর প্রসেস জেনে ঘরেই তৈরি করতে পারেন চকলেট। নিজের কাছের মানুষটিকে ভালোবাসার বার্তা দিতে চাইলে অবশ্যই এই দিনটিকে মিস করা চলবে না। সম্পর্ক মিষ্টি হোক চকোলেটের গুণেই। চকোলেটই হোক প্রেমের মধুরেণ সমাপয়েত।।

Source : Various articles and journals have been referred for the Writeup.


আপনার মতামত লিখুন :

8 responses to “মধুর সম্পর্কের আরেক নাম চকোলেট : রিঙ্কি সামন্ত”

  1. p k biswas says:

    মধুর সম্পর্কের আরেক নাম চকোলেট*মিষ্টি মধুর
    নিবদন ম্যাডাম রিঙ্কি’র।আজও শব্দ রসে নতুন করে ভিজলাম মধুর চকোলেটের স্বাদে।ধন্যবাদ
    পেজ ফোর* ভালোলাগা ভালোবাসা।শারদ শিউলি শুভেচ্ছা।

  2. Shyamal Majumder says:

    যেমন চকোলেট আমার ভালো লাগে, তেমনি এই পোস্ট টা তার থেকে কম ভালো লাগেনি 😀

  3. Pallab dey says:

    জাস্ট ফাটাফাটি👏👏👏

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন