শুক্রবার | ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:০৫
Logo
এই মুহূর্তে ::
তদন্তমূলক সাংবাদিকতা — প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি : দিলীপ মজুমদার হেমন্তকুমার সরকার ও নজরুল-স্মৃতিধন্য মদনমোহন কুটির : ড. দীপাঞ্জন দে রামমোহন — পুবের সূর্য পশ্চিমে অস্তাচলে গেলেও শেষ জীবনে পিছু ছাড়েনি বিতর্ক : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় মাওবাদী দমন না আদিবাসীদের জমি জঙ্গল কর্পোরেট হস্তান্তর : তপন মল্লিক চৌধুরী জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষে শ্রী অপরা একাদশী মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত পর্যটন মানচিত্রে রামমোহনের জন্মভূমিতে উন্নয়ন না হওয়ায় জনমানসে ক্ষোভ : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় সংগীতে রবীন্দ্রনাথ : সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর গোয়ার সংস্কৃতিতে সুপারি ও কুলাগার কৃষিব্যবস্থা : অসিত দাস পুলওয়ামা থেকে পহেলগাঁও, চিয়ার লিডার এবং ফানুসের শব : দিলীপ মজুমদার ক্যের-সাংরী কথা : নন্দিনী অধিকারী সুপারি তথা গুবাক থেকেই এসেছে গোয়ার নাম : অসিত দাস রোনাল্ড রসের কাছে জব্দ ম্যালেরিয়া : রিঙ্কি সামন্ত রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ছে, কমবে অন্য রাজ্যের উপর নির্ভরতা : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় উনিশের উত্তরাধিকার : শ্যামলী কর কেট উইন্সলেটের অভিনয় দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জিং ভূমিকার ৩টি চলচ্চিত্র : কল্পনা পান্ডে হিন্দু-জার্মান ষড়যন্ত্র মামলা — আমেরিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংকট : সুব্রত কুমার দাস সিন্ধুসভ্যতার ভাষা যে ছিল প্রোটোদ্রাবিড়ীয়, তার প্রমাণ মেলুহা তথা শস্যভাণ্ডার : অসিত দাস চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (শেষ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস জাতিভিত্তিক জনগণনার বিজেপি রাজনীতি : তপন মল্লিক চৌধুরী গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তালশাঁসের চাহিদা : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (ষষ্ঠ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস ভারতের সংবিধান রচনার নেপথ্য কারিগর ও শিল্পীরা : দিলীপ মজুমদার চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (পঞ্চম পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস আলোর পথযাত্রী : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (চতুর্থ পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস কন্নড় মেল্ল থেকেই সিন্ধুসভ্যতার ভূখণ্ডের প্রাচীন নাম মেলুহা : অসিত দাস রবীন্দ্রনাথের চার্লি — প্রতীচীর তীর্থ হতে (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (তৃতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস লোকভুবন থেকে রাজনীতিভুবন : পুরুষোত্তম সিংহ চল্লিশের রাজনৈতিক বাংলার বিস্মৃত কথাকার সাবিত্রী রায় (দ্বিতীয় পর্ব) : সুব্রত কুমার দাস
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

বিষয়বৈচিত্র্যে ভরা স্মৃতি দিয়ে ঘেরা চৈত্র সেল এখন পার্সেল : রিঙ্কি সামন্ত

রিঙ্কি সামন্ত / ৫৫৮ জন পড়েছেন
আপডেট বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২

“এসো হে বৈশাখ, এসো এসো।

তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,

বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাক।

এসো এসো… ”

বৈশাখের খরতাপে হৃদয় তৃষা হানলেও আমার ছোটবেলার সকালে রেডিওতে গানটা শুনে শুরু হতো পয়লা বৈশাখের সূচনা। দিনকালটা ছিলো একটু আলাদা। তখনো রাস্তায় অটো নামেনি, দুধকে প্লাস্টিকের প্যাকেটে বন্দি করা যায়নি, চাউমিনের জন্ম হয়নি, আল্ট্রামডার্ন হওয়ার জন্য জিন্সের প্যান্ট ছিঁড়তে হয়নি বা খুব সচেতন মানুষও জল কিনে খাওয়ার কথা ভাবেনি। নতুন বছর আসবে বলে সেই আছিলায় ঘর ঝাড়াপোঁছা চলতো। নতুন জামা, নতুন ক্যালেন্ডার, লাড্ডু আর রঙিন শরবত পাওয়ার জন্য অগ্নিস্নানই সই, কালবৈশাখিতেও ভয় নেই, গগন বিদীর্ণ করে চিৎকার করে গাইতাম, ‘এসো হে বৈশাখ।’

পয়লা বৈশাখের প্রতিটি ভাঁজে জড়িয়ে আছে বাঙালির নস্টালজিয়া, ভালোবাসা, ভালোলাগা। শুধু মাছে-ভাতে-মিষ্টিতে বাঙালি নয়, বরং তার সঙ্গে গান-বাজনা, কেনাকাটার  প্রতিটি পর্বের সঙ্গে একেবারে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে বাঙালির পয়লা বৈশাখ।

চৈত্র মাসে শহরের অধিকাংশ দোকানে ক্রয়ের উপর দেওয়া হয়ে থাকে বিশেষ ছাড়, যার প্রচলিত কথ্য নাম ‘চৈত্র সেল’। তাই পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে এবং এই ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করতে অর্থনৈতিক অবস্থা নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ একমাস ধরে নতুন জামাকাপড়, বাসন, আসবাবপত্র ইত্যাদি কেনাকাটা করে থাকে।

আমাদের ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখের বিকালে গা ধুয়ে নেবার পর আমরা ছোটরা পরতাম চৈত্র সেলে কেনা একটু বড় মাপের নতুন জামা, মা পরতো নতুন ফোলা তাঁতের শাড়ি গায়ে সুগন্ধি পাউডার মেখে আর বাবা, কাকারা পড়তো নতুন ফতুয়া বা পাঞ্জাবি।

আসলে, চৈত্র সেলের সঙ্গে বাঙালির এক অদ্ভুত নস্টালজিয়া জড়িয়ে আছে, তা অধুনা শপিং মল হোক বা ফুটপাত। হারজ্বালানি গরমেও তাই বাঙালি সগৌরবে কেনাকাটা চালিয়ে যায়।

কিছু বছর আগেও গরিয়াহাট, হাতিবাগান, এসপ্ল্যানেড চত্ত্বর জুড়ে শুধু নয়, মফস্বলেও চৈত্র মাস জুড়ে ভিড়ে ঠাসা থাকত সেলের বাজার। ভিড়ের ঠেলায় দোকানির ঘাম লেগে যেত খদ্দেরের গায়ে। বিশেষ করে সন্ধ্যায় নামতো জনসমুদ্রের ঢাল। রাস্তায় ঢালাও বিক্রি হতো বিছানার চাদর থেকে হাতাখুন্তি, চিরুনি থেকে খেলনা বন্দুক, লুঙ্গি থেকে টুথপিক, জামা, কাপড়, জুতো থেকে আরম্ভ করে আরো কত কি!

সময় বদলের সঙ্গে পাল্টে গেল চৈত্রের ভিড়ে ঠাসা রাজপথ। ভিড় কমতে থাকলো এতটাই যে ট্রাফিক চলাচল করলো অনায়াসে প্রথমে শহরে পরে মফঃস্বলে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চৈত্রের সেলে থাবা বসিয়েছে অনলাইনে মানুষের কেনাকাটার অভ্যাস। এমনি করোনা আবহে কেনাকাটায় ভাটা পড়েছিলো। তার উপর চলে সারা বছরই নানান ডিসকাউন্ট। এখনতো ‘চৈত্র সেল’ বদলে হয়েছে ‘এন্ড অফ সিজিন সেল’।

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন হয়েছে সেল’-এর কৌশলে। ব্র্যান্ডেড কোম্পানি, বড় বড় স্টোর ও বিশেষ করে বুটিকগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে তাদের প্রোডাক্টগুলি ক্রেতাদের নজরে নিয়ে আসছেন। এদের ফেসবুকে ফ্যান ফলোয়ার প্রচুর। ইউটিউব মারফৎ এদের ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাস্টমারদের সম্পর্ক আরো নিবিড় হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ছোট ছোট উদ্যোগগুলিও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এমন অনেক মাঝারি ও ছোট দোকাদার আছেন, যাঁদের এই বিক্রির উপর সারাবছরের ব্যবসা নির্ভর করে থাকে। তাঁরাও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা নিয়ে নিজের পণ্যের বিপণন করতে পারছেন। এইগুলো থেকে এটাই প্রমাণিত যে সোশ্যাল মিডিয়া উৎসব ইকোনমিক্স-এ বেশ বড়ো ভূমিকা নিয়েছে।

আবার অনেকেই মনে করে চোখে দেখে হাতে নিয়ে পছন্দ করে কেনাকাটার একটা আলাদা মজা আছে। এখানেই স্বার্থত্যাগ করলে অনলাইন শপিংয়ের সুবিধা পাওয়া যাবে। অনেক স্টোরের মালিকরা চাইছেন না স্টোরে এসে ট্রায়াল দিয়ে লোকজন জিনিসটা কিনুক। এতে ঝক্কি বেশি। তাছাড়া অনলাইন শপিংয়ে জিনিষ পছন্দ না হলে ফেরৎ বা রিটার্ন অপশন তো থাকেই।

বাংলা নববর্ষ শুরু হওয়ার আগে জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য ‘সেল’ পাগল বাঙালির উন্মাদনা অনেকটাই পাল্টিয়ে গেছে। তবু চৈত্র সেলের প্রতি আবেগ বাঙালির হাড়ে-মজ্জায়। পয়লা বৈশাখে ফুলের মালা, আমপাতা ও রঙিন কাগজে সেজে ওঠে ছোট দোকান থেকে বড় বড় শপিংমলগুলো। বাংলা গান-পোশাক-রান্নার মাধ্যমে পয়লা বৈশাখের হাত ধরে নিজস্ব সংস্কৃতির কাছে অন্তত এই এক দিনের জন্য হলেও পুরোন মেজাজে জমে ওঠে বাঙালির পয়লা বৈশাখ৷


আপনার মতামত লিখুন :

4 responses to “বিষয়বৈচিত্র্যে ভরা স্মৃতি দিয়ে ঘেরা চৈত্র সেল এখন পার্সেল : রিঙ্কি সামন্ত”

  1. BAISHNO ROY says:

    Sale sale….idea korun

    A popular dialogue

  2. p k biswas says:

    অপূর্ব *চৈত্র সেল* খুব ভালোলাগা।

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন


StatCounter - Free Web Tracker and Counter StatCounter - Free Web Tracker and Counter