‘একবার নাকি একটা গল্প লিখতে মানিকবাবুর প্রয়োজন হয় মানুষের মাংস পোড়া গন্ধটা হুবহু ঠিক কেমন তার ঘ্রাণ পাওয়া। অতএব উনুন থেকে চিমটে দিয়ে জ্বলন্ত কয়লা তুলে হাঁটুর পাশটা একটু পুড়িয়ে শুঁকছিলেন।’ (মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় : স্মৃতি, অনুষঙ্গ, মৃত্যু—দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়)
এই চিত্র যতবার চোখে ভেসে ওঠে, ততবার শিউরে উঠি। শিউরে উঠি লেখকের দায়বদ্ধতায়। দায়বদ্ধতা কীসের প্রতি? লেখার প্রতি, সৃষ্ট শিল্পের প্রতি, বাস্তবের প্রতি এবং অবশ্যই পাঠকের প্রতি। এমন দায়বদ্ধ কথাসাহিত্যিকের দেখা আমরা সচরাচর পাই না। এমনই এক আপাদমস্তক দায়বদ্ধতার প্রতিবিম্ব ছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯.৫.১৯০৮-৩.১২.১৯৫৬) ঐ ঘটনা বেশ প্রতীকীও মনে হয়। মানিক তো আজীবন নিজেকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে, কোনও মশালের মতো হয়ে দীপ্ত করে তুললেন বাংলা কথাসাহিত্য। পরবর্তী পাঠকের কাছে মানিক, সেই সূত্রে বলা চলে, জ্বলন্ত এক অগ্নিপিণ্ড। আগুন পাখি। শিল্পের উপাদান যথাযথ আয়তনে লিপিবদ্ধ করতে যিনি নিরন্তর নিজেকে যন্ত্রণা দিয়ে সৃষ্টিকে ঋজু আর সৎ রাখলেন।
সে সময় তিনি লিখেছেন, সেই যুগ বাংলা সাহিত্যে নির্ধারিত হয়ে আছে ‘তিন বাঁড়ুজ্যে’র পর্ব হিসেবে। তারাশঙ্কর, বিভূতিভূষণের পাশে মানিক সদর্পে নির্দিষ্ট করেছিলেন তাঁর লিখনভূখণ্ড। বাংলা কথাসাহিত্যে নিজস্ব ‘তৃতীয় ধারা’। নির্মম পর্যবেক্ষণ, নিস্পৃহ অথচ মর্মভেদী বিশ্লেষণ আর সর্বোপরি নির্মেদ বিবরণ—এই তিন আয়ুধের সমন্বয়ে তিনি জীবন-জগৎ-মানুষ এই তিন অক্ষকে বারংবার বিদ্ধ করেছেন। মূর্ত-বিমূর্ত নানাস্তরে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন আখ্যানের অভিমুখ, খানাতল্লাশি করে দেখতে চেয়েছেন মানবজীবনের বহুমাত্রিক রহস্যসম্ভার। আজও, একশো দশ বছরের জন্মদিনে, সমস্ত সূক্ষ্মতা, সমস্ত বিমূর্ততা, সমস্ত তির্যকতা, সমস্ত ক্ষুরধার উন্মোচন-ক্ষমতা নিয়ে তিনি দণ্ডায়মান। ‘রাতের পর রাত আমি জেগে থেকে দেখেছি/কতক্ষণে কিভাবে সকাল হয়,/আমার দিনমান গেছে অন্ধকারের রহস্য ভেদ করতে।/আমি একদিন, এক মুহূর্তের জন্যেও থামিনি।/জীবন থেকে রস নিংড়ে নিয়ে বুকের ঘটে ঘটে আমি রেখেছিলাম/আজ তা উথলে উঠল।’ (পাথরের ফুল/সুভাষ মুখোপাধ্যায়) অবহেলা আর উপেক্ষায় বিদীর্ণ, দারিদ্র্যক্লিষ্ট তাঁর মৃত্যু দেখে এভাবেই স্যালুট ঠুকেছিলেন কবি সুভাষ।
পোশাকি নাম প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়। গণিতবিদ্যার ছাত্র। কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে বাজি রেখে প্রথম গল্প লেখা—‘অতসীমাসী’। প্রকাশিত হয় প্রখ্যাত পত্রিকা ‘বিচিত্রা’-য়। পরে লেখালেখিই হয়ে ওঠে তাঁর পেশা। অপ্রতিহত গতিতে ছুটে চলে তাঁর কথাসাহিত্যের জয়রথ। স্বল্পায়ু জীবন। কিন্তু তাঁর রচনাবলি কালসীমানাকে সদর্পে অতিক্রম করে প্রসারিত। সাহিত্যিক জীবন ২৮ বছরের। ৩৬টি উপন্যাস আর ১৭টি গল্পগ্রন্থে সংকলিত ১৭৭টি ছোটোগল্প। মোটামুটি এই তাঁর অশ্বগতির জ্বালানি।
২
অথচ, আজীবন এবং মৃত্যু-পরবর্তীকালেও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে তর্ক-বিতর্ক অব্যাহত। তিনি কতদূর ‘মার্কসবাদী’, তাঁর লেখা কতদূর ‘মার্কসবাদী’, ফ্রয়েড থেকে মার্কস-এ তাঁর ‘উত্তরণ’ কত ‘বৈপ্লবিক’, আবার শেষ বয়সে ডায়েরিতে দৈবী মাতৃশক্তির প্রতি নতজানু আত্মসমর্পণ কতদূর ‘পতন’, অন্তিম বছরগুলিতে ‘স্বেচ্ছানির্বাচিত দারিদ্র্য এবং চিকিৎসাতীত ব্যাধির’ আক্রমণে তিনি কতদূর মানসিক রোগী হয়ে উঠেছিলেন, তিনি এপক্ষের না ওপক্ষের এসব চর্চায় মানিকসাহিত্য যুগপৎ নির্মিত এবং নির্ধারিত হতে থাকে। ‘স্বেচ্ছানির্বাচিত দারিদ্র্য’ শব্দবন্ধটি পড়ে অবশ্য চোখে জল আসে। দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘বোবার গানের মতো এই একটা কথা বারবার আমার মনে জান্তব আর্তনাদের আঁচড় কাটছিল, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় মরে যাচ্ছেন। কী চিকিৎসা হয়েছিল, তার প্রমাণ পাচ্ছি টেবিলে ওষুধের শিশি কটা দেখে। কী পথ্যি তিনি পেয়েছেন, তার প্রমাণ মিলেছে বৌদির মুখের অসতর্ক একটি কথায়। সুভাষ মুখোপাধ্যায় মানিকবাবুর স্ত্রীকে অভিযোগ করে বলেছিলেন : এমন অবস্থা, আগে টেলিফোন করেননি কেন? উত্তরে তাঁকে হাসতে হয়েছিল। আর তারপর অস্ফুটে বলে ফেলেছিলেন : তাতে যে পাঁচ আনা পয়সা লাগে ভাই।’ (নেয়ারের খাট, মেহগিনি পালঙ্ক এবং একটি দুটি সন্ধ্যা) পরবর্তীকালে ঠান্ডাঘরে বসে সমালোচকের লিখতে ভালো লাগে, ‘স্বেচ্ছানির্বাচিত দারিদ্র্য’!
লেখকের জন্মদিনের সূত্রে এসব তিক্ত প্রসঙ্গ বেশি না তোলাই ভালো। প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। গুরুতর প্রশ্ন। একজন লেখকে আর তাঁর লেখাকে কীভাবে দেখবো আমরা? কোনও লেখক কি বিশেষ মতাদর্শের ক্যাডারকুল কিংবা বিশেষ দলের ভোটার নির্মাণের উৎপাদক মাত্র? তাঁর ‘গরিমা’ এবং ‘বিচ্যুতি’ কীভাবে নির্ধারিত হবে? লেখার সাফল্যে নাকি দলের সাফল্য? কোনও বিশেষ মতাদর্শে বিশ্বাসী বা কোনও বিশেষ দলের সভ্য হলেই লেখকের দায় হবে ‘পার্টিলাইন’ মান্য করে ‘সাহিত্য’ ‘যোগান’ দেওয়া? মানিকের কথাসাহিত্যে সামাজিক মানুষ, রাজনৈতিক মানুষ, অর্থনৈতিক মানুষ যেমন এসেছে, ধরা পড়েছে অস্তিত্ববাদী মানুষ, বিষণ্ণ একাকিত্বে মজ্জমান মানুষ, প্রশ্নচিহ্নে জর্জরিত মানুষ, এমনকী যুক্তি-অযুক্তিতে আকীর্ণ মানুষ। সহজ কথায়, একটা গোটা মানুষ। ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ (১৯৩৬) উপন্যাসের অবিস্মরণীয় লেখকের কাছে ক্রমাগত কিছু ফ্যাকাশে, যন্ত্রবৎ, জড়, ব্যক্তিত্বহীন ‘পুতুল’ প্রত্যাশা করে যাবো? মানবজীবন রোমাঞ্চকর কেননা তা রহস্যময় অনিশ্চয়তায় ভরা। সেই রোমাঞ্চ আর রহস্যের দক্ষ কথাকার মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। কে তাঁকে সম্পাদনা করবে? কেন করবে?
৩
বাস্তব ঘটনাবলি নিপুণ হাতে পরিবেশনের মাঝে মানিক প্রায়শই ডাক দেন বিমূর্ত অবাস্তবকে। বিছিয়ে দেন অনুভবের ইন্দ্রজাল। ‘জ্বর আসিবার মুখে ভোজ খাইয়াছিল, অবস্থা বড়ো শোচনীয় হইয়া পড়িয়াচে কুবেরের।….মাথার মধ্যে যেন কুয়াশা নামিয়াছে আর শব্দ হইতেছে গমগম। কোথায় কী অবস্থায় সে পড়িয়া আছে তাও মাঝে মাঝে গোলমাল হইয়া যাইতেছে সব,—সমুদ্রতরঙ্গ, দুর্গাপূজার আলো, অন্ধকার একটা চাঁচের বেড়ার বাহিরে সারি সারি ঘুমন্ত মানুষ, বারবার জাল উঠানো নামানো, ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা মাছের লাফালাফি সব একবার হইয়া যাইতেছে’। (পদ্মানদীর মাঝি/১৯৩৬)
অথবা
‘চারু তাহার প্রথম বয়সের নেশা; অদম্য, অবুঝ, বহুকাল স্থায়ী। যে বয়সে নারীদেহের সুলভতা সম্বন্ধে প্রথম জ্ঞান জন্মে, নারী মনের দুর্লভতার প্রথম হতাশা জাগে, চারুকে বনমালী সেই বয়সে দেহমন দিয়া চাহিয়াছিল। চারু রীতিমতো তাহাকে লইয়া খেলা করিত, ওষুধের ডোজে আশা দিয়া তাহার প্রেমকে বাঁচাইয়া রাখিত এবং প্রাণপণে এই খেলার উন্মাদনা উপভোগ করিত। বনমালীর একগ্রাসে পেট ভরানোর প্রবৃত্তি ক্ষুধাতুর বন্য জন্তুর মতো চারুর দুর্ভেদ্য সাবধানতা ঘেরিয়া পাক খাইয়া মরিত দিনের পর দিন, মাসের পর মাস।’ (সরীসৃপ)
প্রতিটি বাক্য, লক্ষ্য করুন, কী আশ্চর্য বলিষ্ঠতায়, কী আশ্চর্য মুনশিয়ানায়, অভিধাকে হয় অতিক্রম করে যাচ্ছেন লেখক, অথবা সামান্যঅর্থকে ঠেলে দিচ্ছেন অনুভবের গভীর প্রদেশে, বিমূর্ত অঞ্চলে। সে কারণেই প্রায়শ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আখ্যানে কোনও নির্দিষ্ট কেজো বা সুপ্রাচ্য একমাত্রিক ‘বার্তা’ থাকে না। তাঁর গদ্যরীতি বা কাহিনি কাঠামো বহুস্তরিক বোধে আঘাত করতে থাকে। বাস্তব থেকে স্বপ্নে, যুক্তি থেকে অনুভবে, অর্থনির্দিষ্টতা থেকে বিমূর্ততায় তিনি অবিরত চলাচল করেন। নায়ক-নায়িকার ছোটো অপরিসর কক্ষ, স্থানকালের খিল-আঁটা বন্দিশিবির অর্থাৎ মানবজীবন সেই প্রতাপান্বিত কুঠারাঘাতে থরথর করে কাঁপতে থাকে। একসময় দেয়ালদরজা ভেঙে মহাপৃথিবীর দিকে তার যাত্রা সূচিত হয়। স্তম্ভিত পাঠক কুর্নিশ করার সংবিৎ পর্যন্ত হারিয়ে তখন বসে আছে।
৪
অজাতশত্রু (অমলেন্দু চক্রবর্তী)-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিতে সেই কথাটিই বলতে চেয়েছিলেন যা সম্ভবত তাঁর স্বসৃষ্ট সাহিত্যেরও মর্মবাণী। সাহিত্যিকের স্বরূপ বোঝাতে তিনি বলেন, ‘সাহিত্যিকরা তাঁদের এই সংবেদনশীল অনুভূতি দিয়ে মানুষকে দেখাবেন, সমাজের গভীর থেকে গভীরতম অন্তঃপুরে প্রবেশ করবেন, সামগ্রিকভাবে দেশ আর দেশের মানুষকে নিজের সংসার আর নিজের আত্মীয় বলে গ্রহণ করে দায়িত্ব নেবেন সাহিত্য-সৃষ্টির।’ (নতুন সাহিত্য/১৩৩৬)
মানিকের রচনায় বারংবার জীবন্ত রূপে-রসে ধরা পড়ে দেশ আর মানুষের অতিকায় অবয়ব। গভীর যত্নে, আদ্যন্ত মমতায় তিনি রচনা করেন মানুষ আর স্বদেশের বহুবিচিত্র ইতিকথা। মানবমনের গভীর গোপন ঘরে যেমন তিনি ঢুকে পড়েন তেমন পর্যটন করেন নানা প্রত্যন্ত গাঁয়ে-গঞ্জে, নদীপ্রান্তরে, বদ্বীপে-অন্তরীপে। স্বদেশ আর স্বভূমির ভূগোল ইতিহাস সংস্কৃতি মুঠোয় ধরা না থাকলে এই মানবসমীক্ষা শুধু অসম্ভব নয়, অকল্পনীয়ও বটে। ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাস লেখার সময় তিনি একটি বিশেষ ভাষাভঙ্গিকে ‘নির্মাণ’ করেন এবং গোটা উপন্যাসে তাকে সুনিপুণভাবে চারিয়ে দেন। কোথাও মসৃণতা বা বাস্তবতার অভাব হয় না। পিতৃহীন হয়ে নীলা অল্পবয়সে দরিদ্র মামাবাড়িতে আসে। তার শৈশবের পৃথিবী হারিয়ে যায়। সেই শৈশব, যেখানে তার না দেখা সমুদ্রের উথালপাথাল ঢেউ-এর গল্প ছিল। শ্বশুরবাড়িতে এসেও তার বিপর্যয় থামে না। শৈশব থেকেই কান্না তার সঙ্গী। অশ্রুই তার একমাত্র বুকফাটা দোসর। আধপাগলা স্বামীকে নিয়ে তার দমবন্ধ সংসার। ‘ছিচকাঁদুনে’ মেয়ে হিসেবে তার পরিচিতি। একদিন পুরী-প্রত্যাগত প্রতিবেশীর কাছ থেকে প্রসাদ খেতে খেতে, সমুদ্রস্নানের কাহিনি শুনতে শুনতে সে আবার কাঁদে। বঁটিতে হাত কেটে যায়। সে গালের গড়িয়ে পড়া লোনাজল চাটে। চাটতেই থাকে। গল্পের নাম ‘সমুদ্রের স্বাদ’। নীলা নামের ঐ মেয়েটি কি আমাদের চেনা চৌহদ্দির, আমাদের সমাজ-স্বদেশের প্রতিনিধি নয়? সংকীর্ণ জীবনযাপনে আমাদের প্রত্যেকেরই জন্য কি অপেক্ষা করে না, এমন ‘সমুদ্রের স্বাদ’? ‘সমুদ্র’ শব্দের তাৎপর্য কি অভিধাটুকুতে আটকে আছে?
৫
একটি চিঠিতে মানিক যেন তাঁর দৃষ্টি প্রসারিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে কয়েকটি কথা বলেছিলেন। ‘বয়স অপরাধ নয়। অসুস্থতা ব্যক্তিগত দোষ নয়। যে বৃদ্ধ শেখাতে পারেন, তরুণকে শিক্ষা দেবার মতো অনেক মালমশলা যাঁর প্রাচীন মগজে মজুত—তাঁর কাছে শিক্ষা নিতে যে তরুণ দ্বিধা বা সঙ্কোচ বোধ করবে—আমি তাকে ধিক্কার দেবো। পিতার সঙ্গে খুঁটিনাটি ব্যাপার নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করা চলে—পিতারও অনেক রকম দোষ থাকে। কিন্তু পিতৃত্বকে যে অস্বীকার করতে চাইবে, যে বলবে ঐতিহ্য বলে কিছু নেই—তাকে আমি অসভ্য অমানুষ বলবো, তাকে আমি ধিক্কার দেবো’।(১৯৫৩?)
মনিক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সেই পিতৃপুরুষ। ‘যে-বুকের/যে-আঁধারেই ভরে রাখি না কেন/ভালবাসাগুলো আমার—/আমারই থাকবে।’ তাঁর ঐতিহ্য আমাদের সময়ের বুকে-বুকে সঞ্চিত থাকুক। সংরক্ষিত থাকুক। তিনি শিখিয়েছেন, আবার বলি, লেখকের একমাত্র পরিচয়—লেখার প্রতি দায়বদ্ধতা, পাঠকের প্রতি দায়বদ্ধতা। তাঁর পিতৃত্বকে অস্বীকার করার হিম্মত যেন কারও না হয়।
সুন্দর পর্যবেক্ষন ও বিশ্লেষন