সোমবার | ৯ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৩:১১
Logo
এই মুহূর্তে ::
মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয় ভাষায় সিন্ধুসভ্যতার মেলুহার ভাষার প্রভাব : অসিত দাস বঙ্গতনয়াদের সাইক্লিস্ট হওয়ার ইতিহাস : রিঙ্কি সামন্ত নন্দিনী অধিকারী-র ছোটগল্প ‘ঝড়ের পরে’ ভালো থাকার পাসওয়ার্ড (শেষ পর্ব) : বিদিশা বসু গাছে গাছে সিঁদুর ফলে : দিলীপ মজুমদার ভালো থাকার পাসওয়ার্ড : বিদিশা বসু সলিমুল্লাহ খানের — ঠাকুরের মাৎস্যন্যায় : ভাষা-শিক্ষায় সাম্প্রদায়িকতা : মিল্টন বিশ্বাস নেহরুর অনুপস্থিতিতে প্যাটেল, শ্যামাপ্রসাদও ৩৭০ অনুমোদন করেছিলেন : তপন মল্লিক চৌধুরী সিঁদুরের ইতিকথা আর কোন এক গাঁয়ের বধূর দারুণ মর্মব্যথা : দিলীপ মজুমদার সাহিত্যিকদের সংস্কার বা বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে শ্রীপাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশীর মাহাত্ম্য : রিঙ্কি সামন্ত দশহরার ব্যুৎপত্তি ও মনসাপূজা : অসিত দাস মেনকার জামাই ও জামাইষষ্ঠী : শৌনক ঠাকুর বিদেশী সাহিত্যিকদের সংস্কার ও বাতিক : মৈত্রেয়ী ব্যানার্জী ভক্তের ভগবান যখন জামাই (শেষ পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত মৌসুমী মিত্র ভট্টাচার্য্য-এর ছোটগল্প ‘সময়ের প্ল্যাকটফর্ম’ গুহাচিত্র থেকে গ্রাফিটি : রঞ্জন সেন জামিষষ্ঠী বা জাময়ষষ্ঠী থেকেই জামাইষষ্ঠী : অসিত দাস কার্বাইডে পাকানো আম দিয়ে জামাইষষ্ঠীতে জামাই খাতির নয়, হতে পারে ক্যান্সার : মোহন গঙ্গোপাধ্যায় ভক্তের ভগবান যখন জামাই (প্রথম পর্ব) : রিঙ্কি সামন্ত কাশ্মীর নিয়ে বিজেপির নেহরুকে দোষারোপ ধোপে টেকেনা : তপন মল্লিক চৌধুরী রবীন্দ্র নাটকের দুই ট্র্যাজিক রাজা : শৌনক দত্ত কবির মৃত্যু : দিলীপ মজুমদার শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণের সপ্তসঙ্গিনী : স্বামী তেজসানন্দ মহারাজ দীঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টার স্ট্রোক : সন্দীপন বিশ্বাস সিঁদুরে মেঘের গর্জন : অসিত দাস শতবর্ষে অন্য বিনোদিনী — তৃপ্তি মিত্র : শৌনক দত্ত আমার প্রথম অভিনয় দেখে সত্যেন বসুই বলেছিলেন— তোর হবে : জ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রজিৎ আমাকে ক্লান্ত করে কেবলই ক্লান্ত : তপন মল্লিক চৌধুরী মনোজ বসু-র ছোটগল্প ‘বাঁশের কেল্লা’
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা (গুরু পূর্ণিমা) আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

নক্ষত্র ঢলে পড়লো, কিন্তু প্রকৃত নক্ষত্রের কি মৃত্যু হয়? লিখছেন ফরিদা আক্তার ববিতা

ফরিদা আক্তার ববিতা / ৮৬৪ জন পড়েছেন
আপডেট মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০

বাংলা চলচ্চিত্রের একজন অভিভাবক তিনি, এক বিশাল বটবৃক্ষ, তার তলায় বিরাজ করছে বর্তমান বাংলা সিনেমার জগৎ’—প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার পপি, দর্শকদের কাছে যিনি ববিতা নামেই পরিচিত।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ১৯৭৩ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ ছবিতে অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ববিতা। ‘অশনি সংকেত’ ছবিতে অভিনয় করতে তারা বীরভূমের শান্তি নিকেতনে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘তখন তো আমি খুব ছোট ছিলাম। আমার বয়স ছিল ১৫/১৬ বছর। সৌমিত্রদা সম্পর্কে আমি খুব একটা জানতাম না। অপুর সংসার ছবিটি দেখেছি। তার আগে আমি একটি মাত্র ছবি করেছি ঢাকায়। তখনও পর্যন্ত চলচ্চিত্রে আমার অভিজ্ঞতা ছিল খুব কম।’

“তখন পুরনো ঢাকার গেণ্ডারিয়াতে থাকি। হঠাৎ আমাদের বাড়ির ঠিকানায় আমার নামে একটি চিঠি এলো। চিঠির বিষয় ছিলো, সত্যজিৎ রায়ের মতো বিখ্যাত পরিচালকের সঙ্গে ছবির ব্যাপারে দেখা করতে যেতে হবে ভারতে। চিঠি পড়ে হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে প্রায় পড়েই গিয়েছিলাম। বিশ্বাসই হচ্ছিলো না। মনে হচ্ছিলো, কেউ বুঝি মজা করার জন্য অমন চিঠি লিখেছে। কিছুদিন পর বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাস থেকে ফোন করে আমাকে আবারো বলা হয়, সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে। তখন আমরা সবাই সিরিয়াস হলাম। ভাবলাম, ওটা মজা ছিলো না, সত্যি ছিলো। তারপর সুচন্দা আপাকে নিয়ে কলকাতায় যাই সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা করতে। আমারও যাত্রা শুরু হলো তার ‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় কাজ করার মাধ্যমে। শান্তি নিকেতনে শুটিং করার দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে। বিশেষ করে শান্তি নিকেতনে যে বাড়িটিতে শুটিং করেছিলাম, সেই বাড়িটির কথা এবং শুটিং করার কথা এবং শুটিং করার ফাঁকে আড্ডার সময়ের কথাগুলো খুব মনে পড়ে।

সেটাই ছিল ববিতার প্রথম বিদেশে যাওয়া। ভারতে শুটিং করতে যাবেন বলেই তার পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। তার ভাষায়, ‘এই প্রথম আমি বিদেশ কোথাও যাচ্ছি। সেসময় খুব ভয় পেয়েছিলাম। এক তো হল মানিকদার (সত্যজিৎ রায়) ছবিতে অভিনয় করছি। তার পর এতো বড় একজন অভিনেতা সৌমিত্রদার সঙ্গে কাজ করছি। আমি পারবো কি পারব না! ওনাকে দেখলাম গঙ্গাচরণ চরিত্রের পোশাক পরা— ধুতি পরা। গোল গোল চশমা। আমি দাঁড়িয়ে আছি। ওনার সঙ্গে আমি শট দিলাম। তার পর উনি বললেন, বাহ তুমি তো খুব সুন্দর শট দিয়েছ! খুব সুন্দর!’

অশনি সংকেত ছবির একটি দৃশ্যের প্রসঙ্গ তুলে ববিতা বলেন, ‘একটি দৃশ্য না বললেই নয়। আমি স্নান করে এসে দাঁড়িয়ে আছি। আর সৌমিত্রদা পা ধুচ্ছেন। একটি ট্রলি শট হবে। শটটি এরকম— আমি হেঁটে হেঁটে আসবো। এসে সৌমিত্রদার দিকে তাকিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে আমি ওনার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়বো। এবং চোখের জল টসটস করে পড়বে।’

সেই সময় সত্যজিৎ রায় ববিতাকে বললেন, গ্লিসারিন ব্যবহার না করে তাকে সত্যি সত্যি কেঁদে দেখাতে হবে। কিংবদন্তি পরিচালক তাকে বলেন, ‘দেখবো তুমি কেমন শট দিতে পারো। কেমন অভিনেত্রী তুমি দেখবো! তার পর আমি হেঁটে হেঁটে সৌমিত্রদার বুকের ওপর এসে পড়লাম এবং ঠিক জায়গা মতো চোখের অশ্রুটাও পড়লো। তখন সৌমিত্রদা, মানিকদা-সহ সবাই হাততালি দিয়ে উঠলেন। বললেন, বাহ খুব অপূর্ব শট হয়েছে, অপূর্ব শট হয়েছে।’

বছরটা মুক্তিযুদ্ধের পরপর, ১৯৭২ সাল। তাই স্পষ্ট মনে আছে। অশনি সংকেত ছবির শুটিংয়ে আমাদের দুই দফায় শান্তিনিকেতনে (বীরভূম) যেতে হয়। প্রথমবার গিয়ে থেকেছিলাম মাসখানেক। আমার শুটিং অভিজ্ঞতায় এর আগে যা কখনো দেখিনি, সে অভিজ্ঞতাই হলো। আমাদের এখানে একজন শিল্পীর অভিনয় দৃশ্যে অন্য কোনো সহ-অভিনেতার শুটিং না থাকলে ইউনিটের অন্য কাউকে দিয়ে সংলাপ বলিয়ে দেওয়া হয়। সৌমিত্রদাকে দেখেছি, ক্যামেরার পাশে দাঁড়িয়ে থেকে সহশিল্পীর জন্য সংলাপ বলে যাচ্ছেন। তাতে সংলাপটা কী যে স্বাভাবিক ও সুন্দর হয়ে উঠত। অন্যের অভিনয়ের জন্য, কেবলই শিল্পের জন্য এই দরদ কজনের হয়!

ক্যামেরার বাইরেও শুটিংয়ের সময় সৌমিত্রদাকে নানা কাজে জড়িয়ে থাকতে দেখেছি। এমনও দেখেছি, তিনি নির্দ্বিধায় ট্রলি ঠেলছেন। অথচ তখনই তিনি কত বড় অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন। তাঁর কাছ থেকে শিল্পের প্রতি এই ভালোবাসাটা শিখেছি।

শান্তিনিকেতন থেকে কলকাতায় আমরা ট্রেনে যাওয়া-আসা করতাম। সৌমিত্রদা, মানিকদা, অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়, আমি—সবাই দল বেঁধে যাতায়াত করতাম। ট্রেন ভ্রমণের সময় হঠাৎ হঠাৎ শুনি, সবাই ‘দুগ্‌গা, দুগ্‌গা’ হেঁকে উঠছেন। দুর্গা দাশগুপ্ত ছিলেন মানিকদার সিনেমার সাউন্ড রেকর্ডিস্ট। আমার বয়স কম। অতশত কি বুঝি?

সৌমিত্রদাকে জিজ্ঞেস করলাম, মানিকদার ছবিতে বুঝি সাউন্ড রেকর্ডিস্টের গুরুত্ব অনেক বেশি। দাদা বললেন, ‘তা হবে কেন? সবাই গুরুত্বপূর্ণ।’ একটু পরে হেসে বললেন, ‘বুঝেছি, তুমি কেন এ কথা জিজ্ঞেস করেছ।’ আমার এ কথা শোনার পর সবার সে কী হাসাহাসি। আমি তো লজ্জায় অধোবদন।

প্রথম দেখায় সৌমিত্রদা তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে। আমার বয়স তখন খুবই কম। সিনেমার পর্দায় যাঁকে দেখে অভিভূত হচ্ছি, সেই তিনি এমন করে তাকাচ্ছেন। বেশ ভয়ই লেগেছিল। এত বড় মাপের অভিনেতা, মনে হয়েছিল, নিশ্চয়ই অহংকারী হবেন। কিন্তু এমনভাবে কথা বলতে শুরু করলেন, যেন খুবই আপন কেউ। ভয় মুহূর্তে উবে গেল।

ববিতা জানালেন, শুটিং এর কোন একদিন তিনি কাঁদছিলেন। কারণ সেদিন ছিল ঈদ। আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দের কথা মনে করে তার চোখ ছলছল করছিল। তারপরের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘সৌমিত্রদা সেটা খেয়াল করেছেন- কী ববিতা, তোমার চোখ ছল ছল করছে কেন, কী হয়েছে তোমার? আমি বললাম সৌমিত্রদা আজকে তো আমাদের ঈদ, আমি আজকে শুটিং করছি, তাই একটু মনটা খারাপ লাগছে। তখন উনি বললেন যে মোটেও ভেবো না, দেখ আমরা কী করি।’ সেদিন সন্ধ্যায় ঈদের আয়োজন করা হয়েছিল, উদ্যোক্তা সৌমিত্রদা। তাঁর কথায়, ‘আমরা গেস্ট হাউজের যে রুমে ছিলাম সেখানে দেখি সন্ধ্যার সময় বাজি পটকা ফাটানো হচ্ছে, তারাবাতি জ্বালানো হয়েছে। বাবুর্চিকে বলা হয়েছে সেমাই পাকাতে। তিনি বললেন এই দেখ আমরা ঈদ করছি।’

অশনি সংকেত নিয়ে আমরা একসঙ্গে দেশের বাইরেও গিয়েছি। ছবিটি তখনো থিয়েটারে মুক্তি পায়নি। বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি আমন্ত্রণ পেল। আমিও তখনো ছবিটি দেখিনি। একদিন শুটিং-ডাবিংয়ের শেষের দিকে সত্যজিৎ রায়ের ফোন এলো। তিনি জানালেন, ছবিটি নিয়ে তিনি জার্মানির একটি চলচ্চিত্র উৎসবে যাবেন। তাও মুক্তির আগেই ছবিটি দেখানো হবে বার্লিন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে। আমাকে নিমন্ত্রণ করা হলো। আমি তো মহাখুশি! আমার সিনেমা যাচ্ছে এতো বড় একটি দেশের উৎসবে! রাজি হয়ে গেলাম। সৌমিত্রদা, মানিকদা, মানিকদার স্ত্রী সবাই ছিলেন। কী যে আনন্দ, কী যে উত্তেজনার সেসব দিন। আমরা দিল্লি থেকে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট গেলাম। সেখান থেকে যাব পশ্চিম বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্ট এয়ারপোর্টে সবার ইমিগ্রেশন শেষ। আমার বাংলাদেশি পাসপোর্ট। আমাকে আটকে দেওয়া হয়। তখনো সম্ভবত জার্মানি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। আমি একেবারে ভেঙে পড়লাম। কেঁদেকেটে একাকার। মানিকদা উৎসব কমিটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন। আর সৌমিত্রদা আমাকে অবিরাম সান্ত্বনা দিয়ে চলেছেন। একপর্যায়ে অনুমতি পাওয়া গেল। সে বছর ‘অশনি সংকেত’কে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘গোল্ডেন বিয়ার’ দেওয়া হয়। সত্যজিৎ রায়ের নামের পাশাপাশি আমার নামটিও সবাই জানলেন। ওটা ছিলো বিরাট প্রাপ্তি। ‘অশনি সংকেত’র নায়িকা হিসেবে আমি ভারতে বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিজম এসোসিয়েশনের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ নায়িকার পুরস্কার পাই। পুরস্কার নেওয়ার দিনটি ছিলো আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় একটি দিন। এখনো সেই দৃশ্য চোখে ভাসে।

১৯৭৩ সাল আমার অভিনয়জীবনের সেরা বছর। সে বছর অশনি সংকেত মুক্তি পেল। এই সুবাদে কলকাতায় সৌমিত্রদার সঙ্গে আবার দেখা। কী একটা ছবির যেন শুটিং করছিলেন। তাঁকে দেখেই ‘দাদা’ বলে চিৎকার করে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। তিনিও স্নেহে আগলে নিলেন। বললেন, ‘বাংলাদেশে নাকি তুমি অনেক বিখ্যাত হয়ে গেছ। অনেক ছবিতে কাজ করছ। পুরস্কারও পাচ্ছ।’ অমন অভিনয়শিল্পীর মুখে এমন কথা শুনে লজ্জায় যেন মরে গেলাম। ‘কেমন আছ’, ‘শরীর কেমন’, এ ধরনের প্রশ্ন সৌমিত্রদা মোটেও করতেন না। যখনই বাংলাদেশে কোনো কাজে আসতেন, দেখা হতো, কথা হতো। অসাধারণ সময় কাটত। সাত বছর আগে আমাদের শেষবারের মতো দেখা হয়। এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, সৌমিত্রদা নেই। আমার হৃদয়ে এবং বাংলা চলচ্চিত্রে তিনি, তাঁর মৃত্যু হবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন