১৪ আগস্ট ২০২০ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠক
দেবতা করম আসলে শক্তি ও যৌবন কিংবা সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধির প্রতীক। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্ল একাদশী তিথিতে করম পরব পালন করা হয়। এর সাতদিন আগে মেয়েরা ভোরবেলায় শালের দাঁতন কাঠি ভেঙে নদী বা পুকুরে স্নান করে বাঁশ দিয়ে বোনা ছোটো টুপা ও ডালায় বালি দিয়ে ভর্তি করেন। তারপর গ্রামের প্রান্তে একস্থানে ডালাগুলিকে রেখে জাওয়া গান গায়।
করম উৎসবে জাওয়া গান
দেবতা করম আসলে শক্তি ও যৌবন কিংবা সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধির প্রতীক। আদিবাসীদের এই করম পরব পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় সাধারণত অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পুরুলিয়া জেলার ভূমিজ, কুর্মী, বীরহড়, বীরনিয়া, খেরওয়ার, হো, খেড়িয়া, শবর, কোড়া, লোহার, মাহালি, রাজপুত, সিংসরদার, সিংমুড়া, পাহাড়িয়া, মাহাতো, বাউরি, হাড়ি, বাগদি, বেদে, সরাক, ঘাসি, মাহালি ও বৃহৎ জনগোষ্ঠী সাঁওতাল, মুন্ডা, ওঁরাও প্রভৃতি সম্প্রদায়ের আরণ্যক ও কৃষিভিত্তিক লোকউৎসব।
করম উৎসবে রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি
‘হারবার্ট’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হওয়ার পরে পরেই নানা পুরস্কারে সংবর্ধিত হন লেখক নবারুণ ভট্টাচার্য্য। শুধু পুরস্কার বা সম্মান নয়, ক্ষুদ্রকায় ওই বইটি খুব দ্রুত বাংলাভাষী পাঠকদের মধ্যে সতর্কতাই জারি করল। নরম কোমল গল্প সুখে নিটোল এমনতর উপন্যাস ‘হারবার্ট’ মোটেও নয়। বরং প্রত্যাখ্যানের ভয় দূরে সরিয়ে অজানা পথেই হাঁটছেন নবারুণ। এই বার্তাই চাউর হলো। ততদিনে অবশ্য ‘হালালঝান্ডা’, ‘ভাসান’ প্রভৃতি গল্পের সূত্রে পাঠক কিছুটা এই লেখকের জাত চিনেছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে তার কাব্যগ্রন্থ ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’। ক্রমশ প্রকাশিত হলো ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’, ‘খেলনা নগর’, ‘লুব্ধক’, ‘কাঙাল মালসাট’ প্রভৃতি বই। ইতিমধ্যে কলকাতার গলি থেকে রাজপথ ছেয়ে ফেলেছে ফ্যাতাড়ুর দল। পুরন্দর ভাটের কবিতা জিন্স টি-শার্ট পরা তরুণদেরও বেশ ঝাঁকুনি দিয়েছে। ‘মবলগে’ লেখাটি বোধহয় শেষও হয়নি। এরকমই আকস্মিকতায় ভরা দিনরাত্রির চক্রকে বিদায় জানিয়ে চলে গেলেন নবারুণ 31 জুলাই 2014। পৃথিবীজোড়া অতিমারীর দিনগুলিতে আমরা নবারুণ ভট্টাচার্যকে স্মরণ করেছি। বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি ও প্রাবন্ধিক অভীক মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেছেন দৃশ্য সংস্থার বন্ধু তরুণ গদ্য লেখক দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়।