হাঁটতে হাঁটতে পা ফুলে গেলে পায়ের বিশ্রাম দরকার নিরাপদ জানে। পুরনো কথা মনে পড়ে। রাতে পলিথিনের শিটে ঘেরা ছাউনিতে পুরনো বৌটা গালাগাল দিত কারণ যেই সে থামত তারপর আর হাঁটতেই পারত না। পা যেন জগদ্দল পাথর, এমনই ভারী হয়ে উঠত। এখন তো আরও কত দিন গড়িয়ে গেছে। পুরনো বউ নতুন সঙ্গী জোগাড় করে তার সেই ছাউনি দখল করেছে। সে বেঘর হয়েছে। এই নিয়ে সে বেঘর বা বেঠেক হয়েছে সাতবার। সব হিসেব এখন তার কাছে নেই। বর্তমানে তার আশ্রয় এই শিমূলতলা।
ভিক্ষা চাইতে গেলে হাঁটতে হয়। আজকাল ভিক্ষা দিতে চায় না মানুষ। নাহলে আগে সে ভিক্ষা পেয়েছে। সেই লোকগুলো আর নেই। কেউ এখান থেকে চলে গেছে, কেউ বা মরে গেছে।
পায়ের কোণ ফেটে রক্ত বেরোচ্ছে। একটা জুতো আগে ছিল। রমেশবাবু দিয়েছিল। এখন রমেশবাবুও নেই। ছেলেমেয়ে কোথায় দূরদেশে চাকরি করে, বুড়ো হয়ে যাওয়ায় ওখানে চলে গেছে। রমেশবাবুর জুতোর দোকান ছিল। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একদিন ডেকে তাকে একটা ভাল দেখে জুতো দিয়ে বলল — এটা পায়ে দে! পায়ের অবস্থা দেখেছিস? পরে হাতের মত পা-টাও যাবে। ভাল মানুষ থাকে একজন দুজন। আকাশে যেমন ধূমকেতু, হঠাৎ দেখা যায়, তারপর মিলিয়ে যায়। রমেশবাবুও চলে গেল, বলা ভাল মিলিয়ে গেল। জুতোর দোকানটা আছে, তবে রমেশবাবুর জায়গায় আরেকটা লোক বসে। একদিন সে গিয়ে বলেছিল-বাবু, আমার পা-টা দেখছেন, ফেটে রক্ত বেরোচ্ছে, একটা জুতো পাওয়া যাবে? পুরনো দেখে যদি দ্যান দয়া করে।
লোকটা বলল — মামাবাড়ি?
নিরাপদ বুঝতে না পেরে বলেছিল – কি বাবু?
লোকটি মুখ ভেংচে বলল — কি বাবু? বলি, এটা কি তোর মামার বাড়ি? আবদার যে খুব। যা ভাগ!
সে দোকান থেকে বেরিয়ে এসেছিল। বাইরে দাঁড়িয়ে এক বৃদ্ধ লোক ব্যাপারটা দেখছিল। সে বেরিয়ে আসতেই বলল — রমেশবাবু এই দোকানটা এই লোকটার কাছে বিক্রি করে চলে গেছে, ও তোর কষ্ট বুঝবে না। আর আসিস না।
সে-ও যদি এখান থেকে চলে যেতে পারত! না না সে কি করে যাবে! এই আকাশে বাতাসে শ্বাস নিয়েই তো তার পথ চলা। এই পুরনো শিমুল গাছটা, তার গায়ে জড়িয়ে থাকা লতাপাতা, আশপাশের বড় বড় গাছগুলো, সকালবেলায় উড়ে আসা পাখি গুলো, দূর আকাশে তাদের উড়ে উড়ে যাওয়া, তাদের নিজেদের মাঝে কথা বলা, কথা বলা তার সাথে, নিজের টুকিটাকি খাবার থেকে ওদের ভাগ দেওয়া, তাছাড়া রাতের আকাশে একটা শুনশান আওয়াজ, যা শুধু সে-ই শোনে, তার আকাশে, তার দুনিয়ায় এইসব অনেক কিছু। অন্য আকাশে, অন্য দুনিয়ায় এসব কি আছে? না না সে কোথায় যাবে!
দুপুরবেলায় সার সার গাড়ি, কাচ নামানো জানালার গাড়ি খুঁজে খুঁজে সে হয়রান। যদি পাওয়া যায় তাহলে হাতটি বাড়িয়ে দেওয়া। ঠুক ঠুক হেঁটে হেঁটে যেতে যেতে সিগন্যালের সবুজ আলো জ্বলে ওঠে। সাঁই সাঁই করে গাড়ি ছোটে। তখন তো আর গাড়ির কাছে নয়, এঁকেবেঁকে দ্রুততালে ফুটপাথে ফিরে যেতে হয়।
সেদিন শিমূল গাছটার নিচে বসে থেকে থেকে তার চোখে পড়ল শিমূলের ফল ফেটে তুলো বেরিয়েছে। শিমূলতুলো। ছোট ছোট কচি সবুজ ঘাসে ছেয়ে গেছে কিছু জায়গা। এই মাটির পৃথিবীর বড় মায়া।
তার পুরনো বউ রঙ্গিলা তার পুরুষ সঙ্গী বিল্লুকে নিয়ে রাস্তার ওধার থেকে এধারে আসবে। সিগনাল লাল হবার অপেক্ষায় আরও পথচারীদের সাথে দাঁড়িয়ে আছে। এই বৌটাকে সে যৌবনে সংগ্রহ করেছিল। এই ফুটপাথেরই বাসিন্দা। বেশ যত্ন আত্তি করেছে তাকে যৌবনকালে।এখন ঘোর শত্তুর। এই গাছতলা থেকে তাকে তাড়াতে পারে, এমনি দড় হয়েছে বদমাশ বিল্লুটাকে পেয়ে। বিল্লুর নাকি ভিখারির এজেন্সি আছে। তার পুরনো বউ রঙ্গিলার এখন খুব পাওয়ার। তাকে দেখলেই বলে, তুই বিল্লুর আন্ডারে আয়। আপদবিপদ হলে বিল্লু দেখবে। নুলো মানুষ হাত গেছে পা গেলে কী হবে ভেবে দেখেছিস? পায়ের অবস্থা তো ভাল নয়! ‘দেখি কি করি’ বলে কাটান দিয়েছে দু’বার। যা ডেঞ্জারাস বিল্লু, বাপরে! কেউ কেউ তো বলে বিল্লু নাকি হাত পা কেটে নুলো বানিয়ে দেয়। তাকে এখানে দেখে বলে উঠতে পারে — এ্যাই এখান থেকে ভাগ। জোর করে এখান থেকে তুলেও নিয়ে যেতে পারে। সুতরাং পালাও! এত পালাতে হয়! এত ভয়! শিমূলগাছকে কতবার বলেছে সে — তোমার মত গাছ হতে পারলাম না কেন গো। বৃক্ষজন্ম কত ভাল। কত পোকামাকড় লতাপাতা তোমাকে জড়িয়ে বেঁচে আছে। আর আমি শুধু পালাচ্ছি। পায়ের জোর কমছে। আর তুমি? কী সুন্দর শিকড়বাকড় ছড়িয়ে শক্তপোক্ত দাঁড়িয়ে আছ। ছায়া দিচ্ছ, প্রাণের আরাম তুমি। গাছ উত্তরে টুপটাপ জল ঝরায় মাথার ওপর।
শিমূল গাছটির পাশ ঘেঁষে একটা চারতলা অফিসবাড়ি। একটু পুরনো।এর খাঁজেখোঁজে অন্ধকার, আড়াল এসব আছে। এত্তবড় কলকাতা শহরের কোণে কোণে আড়ালে আবডালে কত্ত মানুষ ধরে। সে-ও ধরে গেছে এভাবে। রাতে গাছতলায় না শুয়ে এই অফিসবাড়ির ঘুপচি আঁধারের ভেতর সে ঘুমোয়। লুকোনোর জায়গা হিসেবেও এই জায়গাটা মন্দ নয়।
ডানহাতটা থেৎলে না দিলে সে কাজ করতে পারত, যে কোনও কাজ। মেরে ডান হাতটাকে থেৎলে দিয়েছিল ওরা। ঐ থেৎলানো হাত নিয়ে সে যে চলতে শুরু করেছিল সে, আর থামেনি। ওরা কারা ছিল? ওসব কেউ তাকে কখনও জিজ্ঞেসও করেনি। একদিন কাকে যেন বলতে গিয়েছিল সে শোনেনি। বলল — আচ্ছা আচ্ছা আমার মেলা কাজ, পরে শোনা যাবে। — তবে রঙ্গিলা জানে। সোহাগের সময় বলেছিল। রঙ্গিলা আঁচল দিয়ে চোখ মুছেছিল আর কি!
ওরা কারা? ওরা তো ওরাই। ওরা আছে। এযুগে আছে, ওযুগেও হয়ত ছিল। নিরাপদর পরিজনেরা নাকি ওপার বাংলা থেকে এসেছিল দেশভাগের সময়। বাবা বলত হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে ছুটতে ছুটতে ছুটতে ছুটতে আগুন লুটতরাজ মারামারি এসবের ভেতর দিয়ে তারা এদেশে এসে ঢুকেছিল। একই দেশ হয়ে গেল এদেশ ওদেশ। তারপর একটা বস্তি এলাকা। এখানে সার সার ঘর সার সার ছাউনি। একটা খোড়ো ঘরের ভেতর জন্ম হয়েছিল নিরাপদর। রাতে জন্ম হয়েছিল তার। একটা ছিমছাম সুপুষ্ট চাঁদ নাকি তখন নীলাকাশে সাঁতার কাটছিল। একটা মনমাতাল করা অজানা ফুলের গন্ধ নাকি ভেসে আসছিল কোথা থেকে। ঠাকুরদা আঁতুড়ের বাইরে থেকে বলেছিল-খোকা হয়েছে? এর কিন্তু নাম হবে নিরাপদ। মানুষের চারপাশে বড় আপদবিপদ, এ যেন সব কাটিয়ে উঠতে পারে।
কিন্তু নাম দিয়ে কী হবে, ওরা যে আছে। আঁধারে আলোয় আড়ালে আবডালে সামনে পেছনে ওরা আছে, ওরা থাকে, ওরা থাকবে, ওরা ফুরিয়ে যায় না। ঠাকুদ্দা বলত ওরা রক্তবীজ, ওদের একফোঁটা রক্ত মাটিতে পড়লেই আরেকজনের জন্ম হয়। তাইতো ওরা আছে ওদের শেষ নেই ওরা ফুরিয়ে যায় না।
এসব দুঃখজালের কথা সে শিমূলগাছটাকেই খুলে খুলে বলে। গাছ তার ব্যাপক শাখা প্রশাখা বিস্তার করে শোনে। এখানেই নিরাপদের প্রাণের আরাম। শিমূল গাছটার পাশ ঘেঁষে আরও বড় বৃক্ষ দু-চারটি আছে। কিছু খোলা জায়গা আছে ছায়াও আছে, ছায়ার শান্তি আছে। অনেকদিন পর সে থিতু হয়েছে না খানিকটা? সে তো এই গাছের জন্যেই। গাছ তো কাউকে তাড়িয়ে দেয় না।
একবার তো রাতবিরেতে সে পথ হাঁটছিল। উদ্দেশ্যহীন। কোথায় যাবে সে জানে না। ঘুমিয়ে পড়েছিল তার রোঁয়া ওঠা কম্বলটা গায়ে দিয়ে। ঘুম ভাঙ্গল লাঠির খোঁচায়।
—এই শালা এখানে শুয়ে আছিস কেন? মগের মুলুক? ওঠ। —লালচোখো পুলিশের বাঁজখাই গলা।
শুরু হল নিরাপদর পথ চলা। রাতের পথঘাট, কোথাও আলো কোথাও আঁধার, ধোঁয়াটে নিথর আকাশ। তারপর কোথায় গিয়ে থেমেছিল সে, মনেই পড়ে না। সকালে পা ফুলে ঢোল। বসে পড়েছিল এক ছোট পাকা ব্রিজের একপাশে। সাঁই সাঁই করে ছুটছে চকচকে সব গাড়ি। ব্রিজের একপাশে রাস্তা থেকে উঁচু সরু পায়ে চলা পথ। ওখানে বসেই পড়েছিল। তারপর আবার জোর ধমকে পথ চলা। কতদিন চলেছিল পথ, মনে পড়ে না, বিলকুল মনে পড়ে না, চলছে, বসে পড়ছে, ঘুমিয়ে পড়ছে, উঠছে, আবার চলছে… পথেঘাটে খাবার যা জোটে, কেউ তাড়িয়ে দেয় আবার কেউ খাবার দেয়। এই টানাপোড়েনের ভেতর জুটে যায় খাবার কোনরকম, তাই তো এতদিন বেঁচে আছে দিব্যি। উল্টোদিকের ইশকুলটাতে ছাত্ররা লেফটরাইট করছে। নিরাপদও লেফটরাইট পারে, পারে না, পারত। ঠাকুদ্দাটা ইশকুলে ভর্তি করে দিয়েছিল। ইশকুলের একটা গন্ধ আছে। ইশকুল থেকে বাড়ি ফিরলে ঠাকুদ্দাটা তার গায়ের গন্ধ শুঁকত। বলত ইশকুল ইশকুল গন্ধ। ঠাকুদ্দা নাকি ইশকুলে যেত, ওপারে মানে ওদেশে। তাদের নাকি ঘর ছিল বাড়ি ছিল গাছপালা মাঠঘাট ছিল। তবে বাবা যায়নি। বাবাটা পায়নি ইশকুলের গন্ধ। বাবা আগুন দেখেছে লুটপাট দেখেছে ভিনদেশে এসে ঘরামির কাজ করেছে। তারপর মরে গেছে, মা-টাও অমনি মরে গেল অসুখে। তারপর সেই যন্তরটা এল।ক্রেন। গুঁড়িয়ে দিল বস্তি। ঠাকুদ্দাটা লাঠি নিয়ে বেরিয়েছিল। সে ঠাকুদ্দার সাথে সাথে। তারপর কি হয়েছিল? একটা তিরবেঁধা যন্ত্রণা। যখন চেতনা এল তখন ডানহাত চিরতরে গেছে। আর ঠাকুদ্দাটা মরে গেছে। মানে মেরে ফেলেছে।
— ও ভাই ঘুমিয়ে পড়েছ বুঝি, ওঠো ওঠো।এখানে একটা নাটক হবে।
নিরাপদ শুয়ে পড়েছিল শিমূলতলায়। ঝিরিঝিরি হাওয়া দিচ্ছে। চোখ মেলে তাকাতেই শিমূলগাছটি বলে — শুয়ে থাক নিরাপদ। ওরা ওদেরটা করে নেবে। এমন তো মাঝেমাঝেই করে। তুই তখন হয়ত ভিক্ষে করতে গেছিস। আমি ঝিরিঝিরি হাওয়া ছাড়ছি, ঘুমো। এরা তোকে কিছু বলবে না। ঐ যে উল্টোদিকে ইউনিভার্সিটি, ওটার ছাত্র ছাত্রী ওরা। খেয়ালি। শুয়ে থাক মটকা মেরে। চোখ পিটপিট করে নাটক দেখতে পারিস। ওরা খেয়ালি তো, তোকে কিছু বলবে না, দেখে নিস।
সত্যিই শুনতে পেল নিরাপদ একজন বলছে-আরে ও শুয়ে থাক। ঘুমোচ্ছে।এতটা খোলা জায়গা, আমাদের কাজ হয়ে যাবে। নিরাপদ খুশি হয়, আমোদ অনুভব করে নাটক দেখবে ভেবে। কিন্তু এদের সাজগোজ নেই, হুংকার নেই, কথাবার্তায় নাটুকে চাল নেই। নাটক শুরু হল। তার মতই একটা লোক পথ হাঁটছে হাঁটছে হাঁটতে হাঁটতে নদী পেরোল… ছেলেমেয়েগুলো নদী হল, লোকটি পাহাড় পেরোল.. ছেলেমেয়েগুলো পাহাড় হল, লোকটি জঙ্গল পেরোলো… ছেলেমেয়েগুলি গাছপালা হল, পশুপাখি হল এমনি করে করে লোকটি এমন এক দেশে এল যেখানে সবার মুখে অন্ন জোটে। ভাল ভাল খাবার মিলে যায় সহজে অথচ টাকা খরচ করতে হয় না। বিনি পয়সার ভোজ হয়ে যায় অনায়াসে। খাবার, কাপড় চোপড়, বড় বড় বাড়ি, চমৎকার বিছানা, শীতল জল, মাথার ওপর ছাদ, কোনও কিছুর বিনিময়ে টাকা দিতে হয় না। লোকটা ভালো ভালো খায়, নিশ্চিন্তে নিদ্রা যায়। আরও কীসব চলল নাটকে ঠিক বোঝা গেল না।
ওরা নাটক সেরে চলে গেলে শিমূলগাছটি বলে — কি খবর নিরাপদ, নাটক কেমন লাগল, মনে হল কি এমন দেশ আছে কোথাও?
নিরাপদ বলে — আছে গো আছে। কিন্তু কত পথ হাঁটতে হবে সে তো বলে গেল না। আর সবকিছু তো বুঝতেও পারলাম না। পায়ের যা অবস্থা, তবে একবার যেতে পারলে… কত পথ হাঁটতে হবে গো?
—সে কি আমি জানি? তুইও হাঁটতে পারিস না। আমিও না। তাই এত বিপত্তি। তুই তো সেদিন ভিক্ষে করতে গেলি, কতগুলো লোক এল, বলল, এখানে বড় উঁচু বাড়ি হবে। যন্ত্র এসে আমাকে কাটবে। ক্রেন…
—নাআ… ! নাআ… —চিৎকার করে ওঠে নিরাপদ। গাছ কাঁদে। নিরাপদ কাঁদে। গাছের মাথা থেকে, শাখাপ্রশাখা থেকে জল পড়ে পড়ে নিরাপদ ভিজে যায়। সকালবেলায় নিরাপদর তুমুল জ্বর আসে। আসে তুমুল শব্দ করে ক্রেন। শাখাপত্রে ধনী ছায়াদায়ী বৃক্ষগুলো কাটা পড়ে। নাটকের ছেলেমেয়েগুলো বাধা দেয়, বিক্ষোভ দেখায়, শ্লোগান দেয়, ক্রেনের কাজ চলতেই থাকে।
বিকেলে বিল্লু ও তার বউ রঙ্গিলা এসে দেখে নিরাপদ কাটা শিমূলগাছের গুঁড়ি আঁকড়ে বেদম মরে পড়ে আছে।
একটা শ্বাস ফেলে রঙ্গিলা বলে — ঠাকুদ্দাটা আহ্লাদ করে নাম রেখেছিল নিরাপদ।
বিল্লুও ছোট্ট শ্বাস ফেলে বলে — ধুর! নামে কি!
পেজফোর-এর শারদোৎসব বিশেষ সংখ্যা ২০২৩-এ প্রকাশিত