শনিবার | ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ১:২৮
Logo
এই মুহূর্তে ::
হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (তৃতীয় পর্ব) : অভিজিৎ রায় নানা পরিচয়ে গৌরী আইয়ুব : গোলাম মুরশিদ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (দ্বিতীয় পর্ব) : অভিজিৎ রায় কেন বারবার মণিপুরে আগুন জ্বলে আর রক্ত ঝড়ে : তপন মল্লিক চৌধুরী শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (শেষ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ হাইপেশিয়া — এক বিস্মৃতপ্রায় গনিতজ্ঞ নারীর বেদনাঘন উপাখ্যান (প্রথম পর্ব) : অভিজিৎ রায় শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (ষষ্ঠ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ জগদীশ গুপ্তের গল্প, কিছু আলোকপাত (শেষ পর্ব) : বিজয়া দেব শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (পঞ্চম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ? : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (চতুর্থ পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (শেষ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী : সন্দীপন বিশ্বাস সাজানো বাগান, প্রায় পঞ্চাশ : অমর মিত্র শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (তৃতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (একাদশ পর্ব) : দিলীপ মজুমদার খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের : তপন মল্লিক চৌধুরী মিয়ানমারের সীমান্ত ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্যোগ : হাসান মোঃ শামসুদ্দীন শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (দ্বিতীয় পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (দশম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার বুদ্ধদেব গুহ-র ছোটগল্প ‘পহেলি পেয়ার’ ‘দক্ষিণী’ সংবর্ধনা জানাল সাইকেলদাদা ক্যানসারজয়ীকে : দিলীপ মজুমদার শিবনাথ শাস্ত্রী ও তাঁর রামতনু লাহিড়ী (প্রথম পর্ব) : বিশ্বজিৎ ঘোষ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (নবম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘তোমার নাম’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (অষ্টম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত-র ছোটগল্প ‘হাওয়া-বদল’ কার্ল মার্কসের আত্মীয়-স্বজন (সপ্তম পর্ব) : দিলীপ মজুমদার প্রবোধিনী একাদশী ও হলদিয়ায় ইসকন মন্দির : রিঙ্কি সামন্ত সেনিয়া-মাইহার ঘরানার শুদ্ধতম প্রতিনিধি অন্নপূর্ণা খাঁ : আবদুশ শাকুর
Notice :

পেজফোরনিউজ অর্ন্তজাল পত্রিকার (Pagefournews web magazine) পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানাই দীপাবলি এবং কালীপুজোর আন্তরিক শুভনন্দন।  ❅ আপনারা লেখা পাঠাতে পারেন, মনোনীত লেখা আমরা আমাদের পোর্টালে অবশ্যই রাখবো ❅ লেখা পাঠাবেন pagefour2020@gmail.com এই ই-মেল আইডি-তে ❅ বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন,  ই-মেল : pagefour2020@gmail.com

ছাতি ছাপান্ন ইঞ্চি, অর্থ অঢেল, তাঁবেদার মিডিয়া, অন্ধভক্তের দল তবু ফিয়ার সাইকোসিস : দিলীপ মজুমদার

দিলীপ মজুমদার / ৩২২ জন পড়েছেন
আপডেট সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একাই ৩৭০ পাবে, তাদের জোট ৪০০ পার করে দেবে। এ কথা প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন জোর গলায়। সভা-সমিতিতে বলছেন জোর গলায়। তাঁদের মিডিয়া সেল সে কথা প্রচার করে যাচ্ছেন আরও জোর গলায়। তাঁদের তাঁবে আছে যে সব মিডিয়া হাউস, তাঁরাও তারস্বরে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত ঢাক পিটিয়ে যাচ্ছেন সে কথা।

জয় সম্বন্ধে যে নিশ্চিত, তার কি এ রকম ঢাক পেটানোর দরকার আছে? তাই এই চিৎকারের মধ্যে একটা গন্ধ আছে এবং গন্ধটা সন্দেহজনক।

এ কথা ঠিক যে, ঠিক এই মুহুর্তে ভারতের কোন রাজনৈতিক দল বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হতে পারবে না কিছুতেই। তাই একটা জোট হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও জট সৃষ্টি হয়েছে। জোটের কেউ কেউ একলা চলো নীতি গ্রহণ করতে চলেছেন। একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণও করে ফেলছেন। এর ফলে ভোটদাতাদের মধ্যে বিভ্রান্তি বাড়ছে। সেটাকে কাজে লাগাচ্ছে শাসকদল। স্বাভাবিক।

তাহলে তো প্রায় ফাঁকা মাঠ। তাহলে ভয় কিসের? তাহলে জয়ঢাক পেটানোর দরকার কোথায় ? শাসকের কয়েকটি কাজের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ভয়ের ছায়া। এই যেমন এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ। শতাধিক বিরোধী সাংসদকে সংসদ থেকে বহিষ্কার না করলে কি ক্ষতি হত ? কিন্তু গোপন ভয় যখন মানুষকে গ্রাস করে, তখন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না তার। এটা ‘ফিয়ার সাইকোসিস’এর খেলা।

এই খেলার আর একটি দৃষ্টান্ত বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধী সরকারকে ভেঙে ফেলা। যেমন বিহারে নীতিশকুমারকে হাত করে সরকার বদল। ঝাড়খণ্ডে অবশ্য সে খেলা জমল না। দিল্লিতেও জমছে না। আগেও এই খেলা খেলেছে বিজেপি। কিন্তু এখনকার মতো এত নির্লজ্জ খেলা আগে হয় নি। মানুষের স্মৃতিশক্তিকে থোড়াই কেয়ার করে শাসকরা। কিন্তু মানুষের অবচেতন মনে সঞ্চিত ক্রোধ ও ঘৃণা তুষের আগুনের মতো ধিকি ধিকি জ্বলতে জ্বলতে একদিন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে সহসা।

গোদি মিডিয়া খুলে দেখুন, সেখানে সারাদিন তারস্বরে প্রচার করা হচ্ছে লোকসভা ভোটে বিজেপির নিশ্চিত জয়ের কথা। ক্লান্তিহীনভাবে বলে যাচ্ছেন সঞ্চালকরা। বিরোধীদের মনে ভয় ধরিয়ে দিতে চাইছেন এই জন্য যে তাঁরা নিজেরাই আছেন ভয়ে। আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি গলাবাজি করে যে নিজের শক্তি জাহির করতে চায়, সে আসলে ভিরু।

কথা উঠছে ইভিএম নিয়ে। তা, সে মেশিন যদি গঙ্গাজলে ধোয়া হয়, তাহলে চ্যালেঞ্জ নিতে দোষ কোথায়? কেন নির্বাচন কমিশন বুক ফুলিয়ে বলছেন না, এই নাও ইভিএম, এটা যে হ্যাক করা যায় তা দেখিয়ে দাও তো বাপু!

ছাতি ছাপান্ন ইঞ্চি, অর্থ আছে অঢেল, তাঁবেদার মিডিয়া আছে, আছে অন্ধভক্তের দল, তবু ভয়। তাই সব অস্ত্র ব্যবহার করে ফেলো। দমন-পীড়নের অস্ত্র ব্যবহার করেও ভয়। তখন তোষণের অস্ত্র প্রয়োগ করতে হয়। থলি থেকে বেরোয় ভারতরত্ন। এই ২০২৪-এ পাঁচ–পাঁচজনকে দেওয়া হল ভারতরত্ন। নামগুলি দেখুন। লালকৃষ্ণ আদবানি। তাঁকে ছেঁটে ফেলেছিলেন মোদি। এখন দেখছেন আদবানিকে ঘিরেও একটা বলয় আছে দলের মধ্যে। একটু প্রলেপ দিতে আদবানিকে ভারতরত্ন। নরসীমা রাও কংগ্রেসের লোক। তাঁকে ভারতরত্ন দিয়ে কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি। কর্পূরী ঠাকুর বিহারের রাজনীতিক। সদ্য বিহারে সরকার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাই কর্পূরী ঠাকুরকে ভারতরত্ন দিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল। চটিয়ে রেখেছেন যে কৃষকদের, তাদের মনে প্রলেপ দেবার জন্য চৌধুরী চরণ সিং আর কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনকে ভারতরত্ন।

ফিয়ার সাইকোসিস। ফিয়ার সাইকোসিস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বিশেষ সংখ্যা ১৪৩১ সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন